Dream to BCS

Think positive, Be positive, Do positive

বাংলাদেশের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব

#সিলেক্টেড টপিক
#বাংলাদেশের উপর  জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
#Impact of climate change on Bangladesh
-
#জলবায়ু কি?/What is climate?
জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের উপর প্রভাব কি হতে পারে তা জানার পূর্বে জলবায়ু কি সেটাই জেনে নেওয়া যাক। সাধারণত জলবায়ু বা Climate  বলতে কোন স্থানের আবহাওয়ার ৩০-৪০ বছরের গড়কে নির্দেশ করে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নির্নয়ের মানদণ্ড: (Benchmarks for detecting the impact of climate change):

কোনো দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সত্যিই পড়ছে কিনা, তা চারটি মানদন্ডে বিবেচনা করা হয়:

১. জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ
২. কোথায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেশি হচ্ছে
৩. সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা কোথায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে
৪. ক্ষতিগ্রস্থ দেশটি ক্ষতি মোকাবিলায় বা অভিযোজনের জন্য এরই মধ্যে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে

#এই চারটি মানদণ্ডে #বাংলাদেশ:

বাংলাদেশে একাধারে সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা সমস্যা, হিমালয়ের বরফ গলার কারণে নদীর দিক পরিবর্তন, বন্যা ইত্যাদি সবগুলো দিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং হচ্ছে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রাও অনেক অনেক বেশি।

#আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃষ্টি ফেললে দেখা যায় যে মালদ্বীপ , টুভ্যালু, টোবাগো -এদের সবার ক্ষেত্রেই এই সবগুলো মানদন্ডই কার্যকর নয়। তাছাড়া মালদ্বীপের মোট জনসংখ্যা বাংলাদেশের অনেক জেলার জনসংখ্যার চেয়েও কম। তাই এই চারটি মানদন্ডেই বাংলাদেশ, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকায় শীর্ষে।

#বাংলাদেশের অবস্থান:/Location of Bangladesh:
একটি দেশের জলবায়ু সম্পর্কে ধারণা পেতে হলে বিশ্বের মানচিত্রে দেশটির অবস্থান সম্পর্কে জানা জরুরি। বাংলাদেশের অবস্থান এক নজরে দেখে নেওয়া যাক:-

বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ, যা ২৬° ৩৮' উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২০° ৩৪' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮° ০১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৯২° ৪১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত।

এই দেশটির পশ্চিম, উত্তর, আর পূর্ব সীমান্ত জুড়ে রয়েছে ভারত । পশ্চিমে রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম , মেঘালয় রাজ্য। পূবে আসাম, ত্রিপুরা , মিজোরাম । তবে পূর্বদিকে ভারত ছাড়াও মিয়ানমারের (বার্মা) সাথে সীমান্ত রয়েছে। দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর ।

ভূতাত্ত্বিকভাবে, দেশটি থেকে উত্তর দিকে রয়েছে সুউচ্চ হিমালয় পার্বত্যাঞ্চল, যেখান থেকে বরফগলা পানির প্রবাহে সৃষ্ট বড় বড় নদী ( গঙ্গা , ব্রহ্মপুত্র , মেঘনা ইত্যাদি) বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে প্রবহমান এবং নদীগুলো গিয়ে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে পড়ছে।

#জলবায়ু #পরিবর্তনে বাংলাদেশের উপর #নেতিবাচক #প্রভাব:
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী মূলত উন্নত দেশগুলো। কেবল চীন আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিলেই বিশ্বের প্রায়  ৪০ শতাংশ কার্বন নির্গমন করে। কিন্তু এই দূষণের ফলে সৃষ্ট পরিবেশগত বিপর্যয়ের অন্যতম ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ। নিচু দেশ হবার কারনে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার আশংকায় আছে।

জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ যেসব সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে দেওয়া হল:

♦ বন্যা /Flood:

প্রতি বছর বাংলাদেশ বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলা করে। বন্যায় বেশির ভাগ সময় বোরো ফসল তলিয়ে যায় যা দেশের খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতাকে চ্যালেঞ্জ করে দেয়। বাংলাদেশে বন্যার কারনগুলোর মধ্যে কিছু প্রাকৃতিক আর কিছু মানবসৃষ্ট। বাংলাদেশের নদীগুলোর নাব্যতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি আকষ্মিক বৃষ্টিপাতও বন্যার কারন হিসেবে আবির্ভূত হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টি চক্রে সমস্যা দেখা দেওয়ার কারনে  মাঝে মাঝে অতিবৃষ্টি দেখা দেয়।  এটা বন্যা সৃষ্টির অন্যতম কারন হয়ে দাঁড়ায়। একই সাথে ভারত ফারাক্কার বাঁধ উন্মুক্ত করে দিলে সমগ্র উত্তরবঙ্গে বন্যা সৃষ্টি হয়।

♦বজ্রঝড় /Thunderstorm :

সম্প্রতি বাংলাদেশে  ব্রজপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বজ্রপাতের ফলে মৃত্যুর সংখ্যা ইদানীং দ্রুত বাড়ছে। এটি প্রকৃতির নিষ্ঠুরতার প্রমাণ।  বাংলাদেশে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

♦ বৃষ্টিপাত হ্রাস:/Decrease of rainfall

বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশের বৃষ্টিপাতের চক্র দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বৃষ্টিপাতের প্রবাহে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বছর জুড়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে ২০১০ খ্রিস্টাব্দে ৪৭,৪৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় যা ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দের পরে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। , এমনকি এই পরিমাণ শ্রেফ ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের তুলনায়ই ৯,০০০ মিলিমিটার কম।

♦ লবণাক্ততা বৃদ্ধি/Increasing salinity

বৃষ্টিপাত কমে গেলে তা পানির লবণাক্ততা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় নদ-নদীর পানিপ্রবাহ শুকনো মৌসুমে স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে না। ফলে নদীর পানির বিপুল চাপের কারণে সমুদ্রের লোনাপানি যতটুকু এলাকাজুড়ে আটকে থাকার কথা ততটুকু থাকে না, পানির প্রবাহ কম থাকার কারণে সমুদ্রের লোনাপানি স্থলভাগের কাছাকাছি চলে আসে। ফলে লবণাক্ততা বেড়ে যায় দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের বিপুল এলাকায়। দক্ষিণ-পশ্চিম যশোরে এমনটা দেখতে পাওয়া যায়, সেখানে শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গার পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি পায় । সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে বলা যায় যায়, দেশের দাকোপসহ দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্র ভূভাগের অনেক ভিতর পর্যন্ত লোনাপানি অনেক আগেই ঢুকে পড়েছে। এই সমস্যা উপকূলীয় অঞ্চল থেকে যশোর, কুষ্টিয়া , ফরিদপুর এবং কুমিল্লা পর্যন্ত উত্তর দিকে বিস্তৃত হয়েছে  এবং আরো উত্তরে বিস্তৃত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে দেশে লবণাক্ত ভূমির পরিমাণ ছিল ৮,৩০,০০০ হেক্টর, আর ২০০১ খ্রিস্টাব্দে এসে তা হয়েছে ৩০,৫০,০০০ হেক্টর। কেবল এই একটি পরিসংখ্যানই বলে দেয় বাংলাদেশের চাষযোগ্য জমি কি হারে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। কম বৃষ্টিপাতের কারণে উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার সমস্যা দিনে দিনে আরো প্রকট হয়ে উঠবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। উপকূলীয় অঞ্চল বিশেষ করে কক্সবাজার,  চট্টগ্রাম,  পটুয়াখালী,  বাগেরহাট এসব স্থানের জমিগুলো দ্রুত লবণাক্ত হচ্ছে।

বরিশাল ও পটুয়াখালীতে লবণাক্ততার পরিমাণ ২ পিপিটি (লবণাক্ততা পরিমাপক মাত্রা) থেকে বেড়ে ৭ পিপিটি হয়ে গেছে।  অন্যদিকে চট্টগ্রাম শহর সন্নিকটের হালদা নদীর পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে ৮ পিপিটি হয়ে গেছে।

#সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি/Losses of Sundarbans:

বাংলাদেশের ভূ-প্রাকৃতিক গঠনই এমন যে, কোথাও কোথাও ভূভাগ যথেষ্ট ঢালু।  টারশিয়ারি যুগের পপাহাড়সমূহ আর সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি ব্যতীত সমগ্র বাংলাদেশই প্লাবন সমভূমির আওতাভুক্ত। খুলনার সুন্দরবনের অবস্থান এমন একটা জায়গায়, যা ত্রিভূজাকৃতির বঙ্গোপসাগরের শীর্ষবিন্দুতে গাঙ্গেয় মোহনায় অবস্থিত। এই গাঙ্গেয় মোহনার মহীঢাল খুব মসৃণভাবে সমুদ্রে নেমে গেছে। এর ফলে আন্দামান সাগরে উৎপন্ন জলঘুর্ণিঝড়গুলোর উত্তরমুখী যাত্রায় মহীঢালের অগভীরতার কারণে জলোচ্ছাস অত্যন্ত উঁচু হয়ে আসে। সাগরের জোয়ারও অপেক্ষাকৃত উঁচু হয়। তাই সাগরের লোনাপানি ঢুকে পড়ে উপকূলভাগে, লবণাক্ত করে তোলে ভূ-অভ্যন্তরের পানিও।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যেই সুন্দরবনের সুন্দরী গাছে ব্যাপক মাত্রায় আগামরা রোগ দেখা দিয়েছে। অনেকে একে মানবসৃষ্ট কারণ হিসেবে উল্লেখ করতে চাইলেও গবেষকরা একে প্রাকৃতিক কারণ হিসেবেই শনাক্ত করেছেন। সুন্দরবনের অন্যান্য গাছও আগামরা ও পাতা কঙ্কালকরণ পোকার আক্রমণের শিকার হচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে বাইনের বাগানও।

♦#অস্বাভাবিক তাপমাত্রা/Abnormal Temperature
যেকোন দেশের জলবায়ুর অন্যতম নিয়ন্ত্রক সেই দেশের তাপমাত্রা।  বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণমণ্ডলে অবস্থিত একটি দেশ। এদেশের তাপমাত্রা  অন্যান্য চরমভাবাপন্ন দেশের তুলনায় স্বাভাবিক।  তবে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরসূত্রে জানা যায় গত ৫০ বছরে দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ০.৫%।  ২০৫০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ বাংলাদেশের তাপমাত্রা গড়ে ১.৪° সেলসিয়াস এবং ২১০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ ২.৪° সেলসিয়াস বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

#মরুকরণ :/Desertification
স্বল্প বৃষ্টিপাত দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গিয়ে খরায় আক্রান্ত হবে বিপুল সংখ্যক মানুষ, এর মধ্যে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের লোকই বেশি। এরকম খরায় কত মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তার ব্যাপারে বিভিন্ন উৎস থেকে আলাদা আলাদা উপাত্ত পাওয়া যায়। কারো মতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ২০৫০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ খরায় উদ্বাস্তু হবে প্রায় ৮০লক্ষ মানুষ।

♦ভূগর্ভস্থ পানির স্তর হ্রাস/ Fall of underground water layer

বিভিন্ন স্থানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর হ্রাস পেয়ে দেখা দিচ্ছে স্থায়ী মরুকরণ। রাজশাহীর বরেন্দ্র এলাকায় বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় নেমে যাচ্ছে পানির স্তর।  যদিও এর মধ্যে মানবসৃষ্ট কারণ, বিশেষ করে ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবও দায়ী, তবে অনাবৃষ্টির দরুন ভূগর্ভস্থ পানির স্তর হ্রাস বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া সুপেয় পানির অভাবে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যাপক ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায়ও ভূগর্ভস্থ পানি কমে যাচ্ছে।

♦ ঘূর্ণিঝড়/Cyclones
জলোচ্ছাস বা সাইক্লোন যদিও স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের জন্য একটি নৈমিত্তিক ঘটনা, কেননা ভারত মহাসাগরের উত্তর দিকের এই অঞ্চলটি যথেষ্টই ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ অঞ্চল।

প্রায় প্রতি বছরের এপ্রিল , মে , জুন এবং সেপ্টেম্বর , অক্টোবর, নভেম্বরে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ ও নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় ও তা জল-ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।  আর সেই তান্ডবে ব্যাপক জলোচ্ছাসে তলিয়ে যায় উপকূলবর্তি হাজার হাজার একর স্থলভাগ।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেয়া তথ্য মতে, ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের পর ১৯৯৫ , ১৯৯৭ , ২০০০ , ২০০১ খ্রিস্টাব্দে জল-ঘূর্ণিঝড় হলেও তা তেমন ক্ষয়ক্ষতি করেনি। ২০০১ থেকে ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বলতে গেলে তেমন কোনো ঘূর্ণিঝড়ই হয়নি।

কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনে একদিকে যেমন বাড়ছে এসব জলোচ্ছাসের তীব্রতা, তেমনি বাড়ছে এদের সংখ্যা। ২০০৭ খ্রিস্টাব্দেই ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় সিডর। তার মারাত্মক প্রভাব রেখে যেতে না যেতেই তার পিছু পিছু ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের ২ মে ধেয়ে আসে ঘূর্ণিঝড় নার্গিস, একই বছর ২৬ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় রেশমি, ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় খাইমুক , ২৬ নভেম্বর নিসা , ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ এপ্রিল বিজলি , এবং ঐ বছরই ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলা । ঘূর্ণিঝড় আইলায় কক্সবাজার উপকূলে বেড়িবাঁধের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত নিয়ে এখনও মানবেতর জীবন-যাপন করছে বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক উপকূলীয় মানুষ। কেউ কেউ স্থায়ী জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত।

সম্প্রীতি ২০১৭ সালে ঘূর্ণিঝড় মোড়া বাংলাদেশের উপকূলে ভয়াবহ তাণ্ডব চালায়। উপকূলীয় অঞ্চলের হাজার হাজার বসতবাড়ি এ প্রলয়কারী ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে। এসব ঘটনার পরে এটা বলা যায় যে অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের তুলনায় ঘূর্নিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।

♦ #স্থায়ী জলাবদ্ধতা/ Permanent waterlogging
জলোচ্ছাসের সময় সমুদ্র থেকে আসা লোনা পানিতে অনেক নিম্নভূমিতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘমেয়াদী জলাবদ্ধতা। এছাড়া প্রচন্ড জল-ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভেঙ্গে পড়ে উপকূলীয় অঞ্চলের অবকাঠামো, বেড়িবাঁধ। ফলে অবাধে লোনা পানি প্রবেশ করে জলাবদ্ধতাকে স্থায়ী রূপ দেয। প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী সময়ে সাতক্ষীরা,  খুলনা, বাগেরহাট,  এবং কক্সবাজারের টেকনাফসহ অন্যান্য জায়গায় এই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
অন্যান্য সমস্যা :

♦শিলাবৃষ্টি/Hailstones
♦অতিবৃষ্টি/Excessive rainfall
♦নদী ভাঙ্গন /River Erosion
♦ভূমিধ্বস/Landslide
♦ভূমিকম্প/Earthquake
♦সুনামি/Tsunami

#Source :
1. Wikipedia
2.Internet

By

[সৌরভ দেবনাথ সাগর]
[MBA, SUST.]