বি ও ডি ইউনিটে যারা পরীক্ষা দিবে, কিন্তু বাংলা,ইংরেজি, সাধারন জ্ঞান কিভাবে পড়বে বুঝতে পারতেছোনা?
তাদের জন্য এ পোস্ট........
বুঝতে সমস্যা না হওয়ার জন্য প্রত্যেক বিষয়ে বিস্তারিত বলার জন্য পোষ্টটা অনেক বড় হয়ে গেছে।এটা বি ও ডি ইউনিটের জন্য পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা মূলক সাজেশন।তাই পুরোটা পড়লে লাভ তোমারি হবে ইনশাআল্লাহ✌।
(তোমার ১০ ঘন্টার রুটিনের উপর ভিত্তি করে)
(ক)বাংলার জন্যঃ
বাংলাকে তুমি ১০ ঘন্টার মধ্যে সময় দিবে ৩.০০ ঘন্টা।এখন ১০ ঘন্টার চেয়ে বেশি পড়তে পারলে
সময় আরো বাড়াবে।কম পড়লেও তেমনি।তবে
এসময় ১০ ঘন্টার চেয়ে নিচে পড়ে চান্স পাওয়াটা ঝূকিপূর্ন।
★বাংলাকে চারটা পার্টে ভাগ করবা। যেমন,
১.বাংলা ১ম পত্র মেইন বই
২.বাংলা গ্রামার
৩.বিরচন (মুখস্থ অংশ)
৪.প্রশ্নব্যাংক পর্যালোচনা।
১.বাংলা মেইন বইঃ
★প্রশ্নঃকয়টা প্রশ্ন আসে?
বাংলা মেইন বই থেকে সাধারনত ৭-৮টা প্রশ্ন আসে।কিরকম প্রশ্ন আসে তা প্রশ্নব্যাংক
পর্যালোচনা করলেই বুঝতে পারবা।
★কিভাবে পড়বো?
এজন্য বইয়ের প্রত্যেকটা লাইন ভালোভাবে বুঝে
পড়বা।শুধু রিডিং পড়ে গেলে কোন ফায়দা নেই।
তথ্যবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলো বারবার পড়বা।গ্রুুপে মৌ আপু ও রাজন দা পোস্ট দেয় সেগুলো ভালোকরে পড়বা।আর লেখকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য,শব্দার্থ,টীকা,সমার্থক শব্দ,বিপরীত শব্দ ইত্যাদিগুলোতে মনোযোগ দিবা।
গল্পে বা কবিতায় ফুল,ফল,নদী,গাছ,পোকা,পাখি,মাছ,বা গল্পের বিশেষ শব্দগুলো ইত্যাদি কি কি আছে আর কতগুলো আছে তা ভালোভাবে লক্ষ্য করে পড়বা।পারলে নোট করে নিবে।আর কবির জন্মমৃত্যু যদি মনে না থাকে এটা বাদ দাও,
প্রশ্ন আসেনা বললেই চলে।
এবার প্রশ্ন, বাংলা মেইন বই প্রতিদিন কতটুকু পড়বো? কতমিনিট?
প্রতিদিন ১ টা গদ্য অথবা একটা পদ্য।
অর্থাৎ একদিন পদ্য পড়লে অন্যদিন গদ্য।
আর এরজন্য সময় নিবে মাত্র ১ ঘন্টা।
আমার মতে এই ১ঘন্টা পদ্য শেষ করা সহজ।
কিন্তু অধিকাংশ গদ্য(গল্প) অনেক বড় বিধায় শেষ করা সম্ভব নাও হতে পারে।সেক্ষেত্রে গদ্যকে অংশে ভাগ করে পড়বে।
পড়ার পর তুমি কৌচিংএ পড়লে তোমার সিটটা নিয়ে ঔ গদ্যের/পদ্যের যা কিছু লেখা আছে সব পড়ে ফেলো।কৌচিং এ না পড়লে বাংলা বিচিত্রা বা এরকম একটা বই নিয়ে সব শেষ করে ফেলো ঔ গদ্য/পদ্য সংশ্লিষ্ট। এই বইও না থাকলে মেইন বইয়েরটা আবার রিভিশন দাও।😊😊
(খ)বাংলা গ্রামারঃ
★কতটি প্রশ্ন আসতে পারে?
বাংলা গ্রামার থেকে প্রশ্ন আসে প্রায় ৮-১০ এর মতো।কি রকম প্রশ্ন আসে তা জানতে প্রশ্নব্যাংক দেখো।
★কি কি টপিকস থেকে প্রশ্ন আসে?
(★★★ (3 star) গুলা বেশি গুরুত্বপূর্ণ)
♥♥ব্যাকরণিক অংশ♥♥
-----------------------
★বাক্যের শ্রেণীবিভাগ
★★★বাক্য প্রকরণ
★ব্যাকরণ ও এর আলোচ্য বিষয়
★★★বিরাম চিহ্ন ও ব্যাকরণিক চিহ্ন
★বাচ্য
★ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ ও উচ্চারণবিধি
★★★ধ্বনি পরিবর্তন
★দ্বিরুক্ত শব্দ
★কারক ও বিভক্তি
★ক্রিয়া পদ
★★ক্রিয়ার কাল
★★★ণত্ব ও ষত্ব বিধান
★অনুসর্গ
★পদ প্রকরণ
★বচন
★পদাশ্রিত নির্দেশক
★প্রকৃতি-প্রত্যয়
★★পুরুষ ও স্ত্রী বাচক শব্দ
★শব্দের শ্রেণীবিভাগ
★★সমাস
★★★সন্ধি
★সংখ্যাবাচক শব্দ
★উক্তি পরিবর্তন
★★★উপসর্গ
★ভাষা, বাংলা ভাষা ও বাংলা ভাষারীতি
★কতটুকু সময় দিবো দৈনিক?
এসে গেলাম সবচেয়ে কঠিন জিনিসটা বলতে।
এর জন্য দৈনিক ১ঘন্টা সময় বরাদ্দ করবে ১০ ঘন্টার পড়ায়।একদিনে একটা গ্রামাটিক্যাল টপিকস শেষ না হলে কয়েকদিনে ভাগ করে শেষ করো।
★কিভাবে পড়বো?
গুরুত্বপূর্ণ টপিকসগুলো প্রথমে শুরু করো।৯-১০ এর বাংলা ব্যাকরন বইটা নাও।টপিকস বাছাই করো।প্রথম থেকে নিয়ম বুঝে বুঝে পড়া শুরু করো।না বুঝলে আবার পড়ো।বারবার মনোযোগ দিয়ে পড়লে আই বিলিভ তুমি বুঝতে পারার কথা।তাও যদি না পারো তাহলে সর্বশেষ কারো সাহায্য নাও।
আসলে আমরা, প্রথমেই চেষ্টা করার আগেই চাই কেউ গিলিয়ে দিক,নিজে নিজে বুঝার চেষ্টা করিনা,অথচ একান্তভাবে নিজে চেষ্টা করলে মনুষ্যজাতির ব্রেণে খুব কম জিনিসই না বুঝার আছে।
পড়ার সময় উদাহরনগুলো দেখে নিবে আর নিয়মের সাথে উদাহরনের লিংক খুজে বের করে
সেটা মাথায় সেট করে রেখে দিবে।
আর এটাই হলো ব্যাসিক।এই জিনিসটা পরীক্ষার হল পর্যন্ত নিতে পারলে কেল্লাফতে।
যারা কৌচিং এ পড়ো,তারা শিটটা দেখে নিবে।
আর যারা পড়োনা, তারা বাংলা বিচিত্রা বা এরকমের একটা বই থেকে অনুশীলনীগুলো করে নিবে আর এই টপিকসের বিগত সালগুলো দেখে নিবে।
ব্যাস ব্যাকরণের ক্ষেত্রে এরকম ভাবে চললেই
ভালো রেজাল্ট হবে ইনশাআল্লাহ।
আর হ্যা, যদি ব্যাকরনের কোনো টপিকস একেবারেই মাথায় না ডুকে,আর ভাবেন কস্মিনকালেও আর বুঝা সম্ভব না,তাহলে আল্লাহর ওয়াস্তে সেগুলো ছেড়ে দিবেন গুডবাই বলে।
এই না পারা কয়েকটা টপিকসের জন্য হয়তো সর্বোচ্চ রেজাল্ট হবেনা, তবে এগুলোর জন্য যাতে "দূর কিচ্ছু বুঝিনা,কিচ্ছু পারিনা,আমার দ্বারা হবেনা"এই বলে একেবারেই হতাশ হওয়ার চেয়ে ছেড়ে দিয়ে অন্য পারা টপিকসগুলোতে বেশি মনোযোগ দিন,যাতে ঔগুলাতে মিস না হয়।আমি নত্ব-ষত্ব বিধান,বানান শুদ্ধিকরন আর ১-২ টা বাদ দিয়েছিলাম।😊😊
(গ) বিরচন অংশঃ
★কতটি প্রশ্ন আসে?
৬-৮ টি প্রশ্ন আসে "সাধারনত" এ টপিকস থেকে।
★কি কি টপিকস আছে বিরচন অংশে?
♥বাগধারা
♥এক কথায় প্রকাশ
♥বিপরীত শব্দ
♥সমার্থক শব্দ
♥শুদ্ধি-অশুদ্ধি
♥সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ
★কতটুকু সময় পড়তে হবে?
৪৫ মিনিট করে পড়তে পারো ১০ ঘন্টার বরাদ্দে।
★পড়ার সিস্টেম
২ টা সিস্টেমে পড়তে পারো
(১)একদিন একটা করে টপিকস পড়বে।
কোনদিন কোন টপিকস পড়বে রুটিন করে নিও...
(২)অথবা প্রতিদিন সবগুলো টপিকস থেকে ১০ টা করে পড়বা।অর্থাৎ বিপরীত শব্দ, সমার্থক শব্দ ইত্যাদি সবগুলো বিরচনের টপিকস
থেকে প্রতিদিন প্রত্যকটি থেকে ১০ টি করে পড়বা।
★কিভাবে পড়বে?
এগুলা মূখস্থের বিষয়।প্রথম প্রথম পড়তে অসহ্য লাগবে,পড়লে মনে থাকবেনা।চিন্তা করার কিছু নেই। কয়েকবার করে পড়বে।বারবার রিভিশন দাও।কয়েকদিন পর তুমি বস।
★বুক সাজেস্টঃ
সৌমিত্র শেখরের বাংলা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা(বেস্ট)/কৌচিংএর সিট/বাংলাবিচিত্রা
(ঘ)প্রশ্নব্যাংক পর্যালোচনাঃ
প্রতিদিন ১৫ মিনিট সময় দিয়ে কমপক্ষে একটা বিগত সালের প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ সমাধান করবে।
_______________________________________________
💜ইংরেজি (যেভাবে পড়তে হবে)
এডমিশনে সবচেয়ে কঠিন আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইংরেজী।দেখা যায় প্রতিবছর ৮০%+ ছাত্র ফেল করে ইংলিশে।তার একটা অন্যতন কারন হলো এডমিশনের এই ক্ষুদ্র সময়ে ইংলিশ কিভাবে পড়তে হবে তা না জানা।তাই আজকের পোস্ট ইংলিশ নিয়ে।
হয়তো পোস্টটা অনেক বড় বিস্তারিত লিখতে গিয়ে
কিন্তু পোস্টটা মনোযোগ দিয়ে পড়লে ইংলিশে অনেক
কিছু জানতে পারবে।
অনেকটা এরকম বলা যায়,
ইংলিশে পাশ মানে চান্স নিশ্চিৎ আর ভালো নাম্বার পাওয়া মানে ভালো সাবজেক্ট পাওয়া।
এ সাবজেক্টেই সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হবে।সেইজন্য ১০ ঘন্টা বরাদ্দের ৪ ঘন্টা ইংলিশের পেছনে দিতে হবে অবশ্যই।
এখন ইংলিশকে টি ভাগে ভাগ করতে পারো আর কোনটায় কত সময় দিবে তা হলোঃ
(১)প্যাসেজ/কম্পিহেনশন [২০মিনিট]
(২)গ্রামার [১.৩০ মিনিট]
(৩)ভোকাবুলারি [১.৩০ মিনিট]
(৪)টেক্সট বুক [২০ মিনিট]
(৫)প্রশ্নব্যাংক পর্যালোচনা[২০ মিনিট]
(১)প্যাসেজ/কম্প্রিহেনশনঃ
একটা ইংরেজী প্যাসেজ থাকে।তার থেকে ৪-৬ টা প্রশ্ন থাকে।প্যাসেজের ভেতর থেকেই প্রশ্ন আসে।
তবে সরাসরি প্রশ্ন থাকেনা। একটু ঘুড়িয়ে-পেচিয়ে প্রশ্ন করবে।অনেক সময় উত্তর প্যাসেজের ওয়ার্ডটির সিনোনিম ও এনটোনিম হিসেবে থাকে।
প্যাসেজ ইংলিশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারন প্যাসেজ ভালোভাবে আনসার করতে পারলে ভালো মার্কস ক্যারি করা যায়।তবে দুঃখজনক সত্য হলো বিভিন্ন কারনে খুব কমই এর সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম হয়।
তবে যাদের রিডিং স্কিল ভালো তারা সহজে এর উত্তর করতে পারে।এজন্য ভোকাবুলারির ক্ষেত্রেও ভালো দক্ষতা থাকতে হয়।
★প্যাসেজের প্রশ্ন কিভাবে আসে তার একটা নমুনা প্রথম কমেন্টে দেওয়া থাকবে।শেষে দেখো।
★প্যাসেজ আনসারের কিছু টিপসঃ
প্যাসেজ আনসারের ক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত
কিছু টিপস দেওয়া হলো।তোমরা পারলে গ্রহন করতে পারে।
(১)প্রথমে প্যাসেজটা না পড়ে,প্যাসেজের প্রশ্নগুলো পড়বে।প্রশ্নে কি জানতে চায় তার ধারনা নাও আর প্রশ্নের কি(মূল)ওয়ার্ডগুলো মাথায় রাখো।
(২)এবার প্যাসেজটা পড়তে থাকো।পড়ার সময় দেখবে প্রশ্নগুলোর উত্তর প্যাসেজের কোন বাক্যে আছে? প্রশ্নের উত্তর হুবহু পাবেনা।ঘুড়িয়ে পেচিয়ে দেওয়া থাকে বলে মাথাটা একটু খেলাতে হবে।অনেকসময় প্যাসেজের উত্তরের সিনোনিম থাকে অপশনে।এভাবে খেয়াল করেই তুমিই প্রশ্নের উত্তর করতে পারো।
(৩)প্যাসেজে সেরকম দক্ষতা না থাকলে সবার শেষে আনসার করাই বেটার।কারন আগে আনসার করলে অনেকসময় সময়ের অপচয় হতে পারে। তাছাড়া কঠিন বলে প্রথমে এতে মাথা গরম করে ফেললে গ্রামার আনসার করার সময়
সমস্যায় পড়তে পারো ও সময় পর্যাপ্ত না পেতে পারো।
(৪)প্যাসেজে দক্ষতা অর্জনে প্রিভিয়াস প্যাসেজগুলো বিশ্লেষন করতে পারো।
(৫)ইংরেজিতে রিডিল স্কিল বাড়াতে প্রতিদিন একটি ইংরেজী নিউজপেপার পড়তে পারো বা ইংরেজী খবর শুনতে পারো। তবে এটা আবশ্যক না।
(৬)প্রতিদিন কমপক্ষে একটা প্রিভিয়াস ইয়ার সলভ করলে প্যাসেজে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারো।
★কতটুকু সময় পড়বে?
প্রতিদিন একটা প্যাসেজ পড়ার জন্য এই টপিকসের জন্য ২০ মিনিট সময় দিতে পারো।
_______________________________________________
(২)গ্রামারঃ
গ্রামার থেকে প্রতিবছর ৭-৮ প্রশ্ন থাকে।আমার মতে ইংলিশে যে প্রশ্ন আসে তার মধ্যে এটা সবচেয়ে সহজ নাম্বার পেতে।
★গ্রামারের কোন টপিকস থেকে প্রশ্ন আসে?
[থ্রি স্টার(★★★)গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ]
-Right Form of Verb★★★
-Subject verb aagreement★★★
-Tense★★★
-Article★★★
-Causative★★★
-Subjunctive★★★
-Noun★★
-Pronoun★★★
-Verb★★★
-adverb★★
-conditional★
-degree★★
-tag question★
-parallelism★
-Voice★
-Dangling modifiers★
-modal auxiliaries★
-Conditional sentence★
-narration★
-Transformation of sentence★
★কিভাবে পড়বো গ্রামার?
ইংরেজি ভাষাকে একটা সুশৃঙ্খল সিস্টেমে আনার জন্য গ্রামারের সৃষ্টি।
গ্রামার বোঝার জিনিস,মূখস্থের জিনিস না।
আবার বলছি গ্রামার বুঝে পড়ার জিনিস,মূখস্ত
করার জিনিস নয়।যারা মূখস্ত করে তারা কখনো সে গ্রামার প্রেকটিক্যালি কাজে লাগাতে পারবেনা।
#কি কি টপিকস আছে জানলে।এবার কোন বই থেকে পড়ে সেটা নির্দিষ্ট করো।তুমি যদি কৌচিং এর শিট পড়তে চাও তাহলে তাই বা English For Competitive Exam বইটা চাইলেও পারবে বা Toefl Cliff's & Barron's পড়তে পারো।
প্রথমে ঠিক করে নাও কোন বইটা মূলবই হিসেবে পড়বে।যেমন তুৃমি ইংলিশ ফর কমপেটিটিভ এক্সাম বইটা মূল বই হিসেবে রাখলে।এবার বইটা
খুলে একটা নির্দিষ্ট টপিকস পড়তে থাকো।
মাঝে মাঝে একবই/শিট থেকে না বুঝলে অন্যান্য
বই থেকে হেল্প নিতে পারো।
গ্রামারের ক্ষেত্রে সফলতা পেতে হলে যে ধাপগুলো পার হতে হবে,
-যে রুলসটা পড়তেছো,তা ভালোভাবে বুঝতে হবে।
-রুলসটা মাথায় সেট করে নিতে হবে
-এ রুলসের আওতায় যত উদাহরন আছে সব করতে পারার সক্ষমতা অর্জন করতে পারা
-পরীক্ষার প্রশ্নে কোন প্রশ্নটা কোন গ্রামারে পড়বে সেটা ধরতে পারার সক্ষমতা
-প্রশ্নে সেটা প্রয়োগ করতে পারা...
রুলসটা ভালোভাবে বুঝতে পারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।আমি আগেও বলেছি, খুব কম সময়ই
আমরা নিজে নিজে বুঝে চেষ্টা করার আগেই, "দূর,ইংলিশ!!কঠিন, পারবোনা/আমার দ্বারা হবেনা "বলে বসে থাকো বা অন্যের দারস্থ হতে চাও।কিন্তু ইংলিশ গ্রামার মোটেও এত কঠিন না।
রুলসটা মনোযোগ দিয়ে একবার পড়ার চেষ্টা করো।রুলসটা কি জানাতে চাচ্ছে তুমি তা গ্রহন করো।মাথায় সেট করে উদাহরনের সাথে রুলসের লিংক খুজে বের করো।কিসের কারনে কি পরিবর্তন হচ্ছে তা মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষন করো।
এরপর কয়েকবার এ রুলসের আওতাভূক্ত সব উদাহরন বারবার প্রেকটিস করো।ইনশাআল্লাহ আর ভূলবেনা।
#গ্রামার এর রুলস মুখস্থ করার চেয়ে উদাহরনগুলো দিকে বেশি নজর দিতে হবে।আর প্রেকটিস করার সময় সঠিক আনসার জানার পাশাপাশি অন্যান্য অপশনগুলো কেন ভূল তাও বুঝে নিতে হবে।
অপশনে কোনটা সঠিক জানা যেমন জরুরী তেমনি বাকীগুলো কেন ভূল সেটাও জানা দরকার।ভূল কেন হলো তা বিশ্লেষন করতে
পারলে তুমি গ্রামারে পারফেক্ট সেটা ভাবতেই পারো।
#গ্রামারের জন্য একটা হ্যান্ডনেট বানিয়ে নাও।
যে গ্রামারটা পড়বা সেটাই এড করবা উদাহরনসহ।কোথায় সহজ নিয়মে পেলে সেটা এড করবে।আর এ হ্যান্ডনোটটা কয়েকদিন পর পর রিভিশন দিবা।এরফলে যে সুবিধা হবে;
(১)বিভিন্ন জায়গায় থেকে হিজিবিজিভাবে গ্রামার পড়ার থেকে একজায়গায় সবগুলো রুলসের ভান্ডার থাকবে।
(২)এর ফলে হঠাৎ গ্রামারে সমস্যা হলে দ্রুত খুজে নিয়ে দেখতে পারবে
(৩)হ্যান্ডনোটের গ্রামারগুলো বারবার রিভিশন দিতে দিতে কয়েকদিন পর এমনেই আত্মস্থ হয়ে যাবে।ফলে এগুলা আজীবন মনে থাকবে।
এটা খুবই কার্যকরী, কারন আমি এরকম করে খুবই হেল্প পেয়েছি।
#গ্রামার শেখার সেরা উপায় হচ্ছে "নিজে শেখা"।কৌচিং এর টিচাররা বা প্রাইভেটের স্যাররা সব ভালোভাবে পড়িয়ে শেষ করে ফেলেছে তার চেয়ে বড় কথা হলো তুমি নিজে কি বুঝলে বা পড়লে?
কৌচিং এ প্রাইভেটে স্যাররা যা বলে তা নোট করে রাখবা।না বুঝলে জানতে চাইবা।বাড়িতে এসেই ঔদিনের টপিকসটা আবার খতিয়ে দেখবে।আগাগোড়া সব বুঝার চেষ্টা করবা।সবচেয়ে ভালো হয় যদি টপিকস পড়ানোর আগের দিন একটু চোখ বুলিয়ে যাও..
#এক শ্রেণির ছাত্র আছে যারা গ্রামারে খুবই দুর্বল।পড়লে কিছুই মনে থাকেনা,কিছুই বুঝেনা।
গ্রামারের চিন্তায় ঘুম আসেনা,গ্রামার পড়তে বসলেই ভাবে, "দূর পারিনা,আমার দ্বাড়া কি হবে?"
তাদের আসলে সমস্যা হচ্ছে গোড়ায়।স্কুল,কলেজে ফাকিবাজির ফলে যে গ্যাপ পড়েছে এর ফলে এডমিশনে এসে চোখে সর্ষে ফুল দেখে।কিন্তু সমস্যা হয় তখনি গোড়ায় পরিচর্যার বাদ দিয়ে আগায় পরিচর্যা করতে থাকে।যেমন ;যে Sentence, Person, Tense, Verb,case ভালোভাবে বুঝেনা তাকে যদি প্রথমেই Narration পড়ানো শুরু করেন/পড়েন তাহলে সে কিছুই বুঝবেনা।কারন নেরাশন পড়তে হলে আগে ঔসব জানতে হবে।তার ব্যাসিক গ্রামার জানা নেই।
তাহলে তারা কি করবে?
তাদের ক্ষেত্রে বলব, সর্বশেষ সুযোগ হিসেবে একটা কাজ করতে পারো।একটা ক্লাস সিক্স-সেভেনের গ্রামার গাইড বই থেকে এক্কেবারে প্রথম থেকে শুরু করো।Sentence,subject,object,person,number,Formation of verb,parts of speech,tense,phrase ইত্যাদি ব্যাসিক গ্রামার গুলো ভালোকরে শেষ করো।
এতদিন ফাঁকিবাজির ফলে যে গ্যাপগুলো রয়ে গেছে সেগুলো পূরন করতে প্রত্যেকটা টপিকস প্রথম থেকে বুঝে বুঝে পড়বে।হয়তো অল্পসময় আছে,কিন্তু এখনো প্রতিসেকেন্ড কাজে লাগালে সময় যথেষ্ট।এভাবে গোড়া থেকে পড়লে গোড়াতে উঠলে অনেক উন্নতি দেখতে পাবা,
আর রুলসগুলো বুঝতে সহজ হবে।
#গ্রামারে কোন প্রশ্ন হুবহু রিপিট আসেনা তবে টপিকস রিপিট হয়।
যেমনঃ নিচের ২ টা প্রশ্ন লক্ষ্য করো,
(1)When ____________ here?
a.have you get
b.did you get(ans)
c.you get
d.had you get
(2)Why _________ return the money?
a.you did not
b.you
c.did you not (ans)
d.you didn't
এই প্রশ্ন দুইটি ঢাবির দুইটি বছরে এসেছে,লক্ষ্যে
করলে দেখতে পারবে একই রুলস কিন্তু একটু
ওয়ার্ডগুলো ঘুড়িয়ে এসেছে মাত্র।
প্রশ্নব্যাংকের বিগতসাল ব্যাখ্যাসহ বুঝে পড়লে
অধিকাংশ টপিকসপ্রশ্ন এভাবে কমন পড়বে।তো হেলা না করে প্রতিদিন কমপক্ষে ১ টা হলেও বিগতসাল সলভ করবে।
#কিছু কিছু গ্রামার আছে যেগুলোর জন্য রুলস জানা লাগেনা,এমনেই স্বাভাবিকভাবেই বুঝা যায় কি হবে।
যেমনঃ Subject Verb agreement এর একটা রুলস হলো anybody,someone,anyone,no one, nobody ইত্যাদি থাকলে verb সর্বদা সিংগুলার হয়।
কিন্তু রুলসের হিসাব বাদ দাও তুমি যদি এগুলার বাংলা অর্থ লক্ষ্যে করো তাহলে বুঝতে পারবে ওয়ার্ডগুলো সিংগুলারই।যেমন somene হলো কেউ-একজন।এটার বাংলা অর্থ করলেই জানা যায় এটা সিংগুলার।তাই Verb ও সিংগুলার-ই হবে।
★প্রতিদিন কতটুকু সময় দেওয়া যায়?
১০ ঘন্টার রুটিনে তুৃমি গ্রামারে ১.৩০ মিনিট সময় দিতে পারো।তুমার ইচ্ছেমতো সময় কমাতে বাড়াতে পারো।
_______________________________________________
♥ভোকাবুলারিঃ®
ভোকাবুলারি হলো শব্দভান্ডার।কথায় আছে,যে যত ভোকাবুলারি জানে সে তত রাজা।ইংরেজি লিখতে,পড়তে,বলতে সবক্ষেত্রেই ভোকাবুলারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
★ভোকাবুলারিতে যেসব টপিকস আছেঃ
-Synonym
-Antonym
-Spelling
-Group verb
-Translation
-Idioms and phrase
-Preposition
★কতটুকু সময় পড়তে হবে?
প্রতিদিন ভোকাবুলারির জন্য কমপক্ষে ১.৩০ ঘন্টা সময় দিবে।
★ভোকাবুলারি পড়ার স্টাইলঃ
তোমাদের একটা সহজ হিসাব দেই।ভোকাবুলারি মাত্র দেড় মাসে শেষ!!
কি অবাক লাগছে? তাহলে দেখো,
সিনোনিম-এনটোনিম ছাড়া বাকি টপিকসগুলা
থেকে ইম্পর্ট্যান্ট ৩০০-৫০০ টা পড়লেই এনাফ।
তো এখন প্রতিদিন প্রতিটা টপিকস থেকে অন্তত ১০ টা করে পড়লে আগামী ৫০ দিনে ৫০০ টা করে পড়া যাবে।আমার মনে হয়না সিনোনিম ও অনটোনিম বাদে বাকি টপিকস থেকে গুরুত্বপূর্ণ ৫০০ টা করে পড়লে আরো পড়তে হবে।
#অর্থ্যৎ ড্রিল-০১
প্রতিদিনে দেড়ঘন্টায় Spelling, Group verb, Translation, Preposition, idioms & phrase প্রত্যেকটা টপিকস থেকে ১০ টা করে পড়বে।মাত্র ১০ টা করে!! একটা টপিকসের ১০টা পড়তে সময় নিবে ১০ মিনিট করে।তাহলে ৫ টপিকসে ৫০ মিনিট।
#ড্রিল -০২
বাকি Antonym & Synonym পড়ার জন্য প্রতিদিন সময় নিবে ২০মিনিট করে।
এই সময়ে যা পড়তে পারো।
#ড্রিল-০৩
বাকি ২০ মিনিটে গত সপ্তাহে যা পড়ছো তা দ্রুত রিভিশন দাও।
এত সহজে এত কম করেও যদি না পড়তে পারো তাহলে আর কি করার আছে?
তারপর কয়েকদিন অন্তর বারবার রিভিশন দাও।
একমাস পর ভোকাবুলারিতে তোমার অবস্থান দেখে তুমিই বিস্মিত হবে।ভোকাবুলারিতে অসাধারন দক্ষতা চলে আসবে।
এভাবে পড়লে যা লাভ হবেঃ
(১)যেহুতু তুমি একসাথে অনেকগুলো পড়তে বরিং লাগে বা মনে থাকেনা, তো ১০ টা করে পরলে তেমন বরিং লাগার কথা না।
(২)যেইদিন যে টপিকসের যা পড়বা তা ভিন্ন ভিন্ন নোটে সংরক্ষন করবে আর কয়েকদিন পর পর রিভিশন দাও পরীক্ষার আগ পর্যন্ত।একসময়
রিভিশন দিতে দিতে আত্মস্থ হয়ে যাবে।
(৩)একসাথে অনেক শিখার চেয়ে প্রতিদিন অল্প অল্প করে শিখলে মনে থাকে বেশি,বিরক্তি আসেনা।
এভাবে প্রতিদিন পড়লে এক-দেড়মাস পর তুমি জিরো থেকে হিরো হতে পারবে।
★ভোকাবুলারি পড়ার কিছু টিপসঃ
ভোকাবুলারি সবচেয়ে বিরক্তকর ও কঠিন বিষয়।পড়তে খুবই বিরক্ত লাগে,কিছুই মনে থাকেনা।এটা পড়তে ইচ্ছে হয়না।কিন্তু এটা
এড়ানোর কোন পথ নেই।পরীক্ষায় ভালো করতে হলে অবশ্যই ভোকাবুলারি জানতে হবে।ভোকাবুলারি পড়ার কিছু টিপস দেওয়া হলো,
(১)প্রথমে একটা ভালো বই নির্বাচন করো।কৌচিং এর শিট/ইংলিশ ফর কমপেটিটিভ এক্সাম/সাইফুরস স্টুডেন্ট ভোকাবুলারি বা এরকম বিভিন্ন বই আছে সেগুলো থেকে একটা বই প্রথমে ঠিক করো।আমার মতে বিভিন্ন বই থেকে পড়ার চেয়ে প্রথমে একটা মূল বই হিসেবে ধরে সেটার সব শেষ করে তারপর আরো বই পারলে পড়বে।আমি কি পড়ছিলাম জানতে চাইলে বলব আমি ওয়ার্ডমিনিং এর জন্য সাইফুরস স্টুডেন্ট ভোকাবুলারি থেকে আর বাকিগুলা ইংলিশ ফর কমপেটিটিভ থেকে পড়ছিলাম।তবে সব বই কমবেশি ভালো।
(২)পড়ার সময় একটা শব্দ বারবার পড়বা।
সব শেষ করে আবার পুনঃবার রিভিশন দিবা।
ভোকাবুলারি কখনো কেউ একদুইবার পড়ে শিখতে পারেনি,তাই তোমাকেও বারবার পড়েই
আত্মস্থ করতে হবে।তাই বলে বিরক্ত হলে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারবে।ধৈর্য নিয়ে বারবার পড়তে হবে তাহলেই তুমি সফল।
(৩)নিজের এন্ড্রয়েড ফোনটাকে এডমিশনের সময় কাজে লাগানোর সবচেয়ে সেরা জায়গা হলো ডিকশনারী।
"Bangla dictionary" নামে একটা এপস আছে।হঠাৎ কোন অপরিচিত শব্দ দেখলে
এ এপস থেকে দেখে নিবে।
জাভা ফোনে "E2B Dictionary" নামে এপস ইনস্টল করতে পারো।
(৪)নোট খাতা বানাবে।যেগুলা পড়বে সেগুলা লিখে রাখতে চেষ্টা করবে।১ সপ্তাহ অন্তর অন্তর
রিভিশন দিবে।
(৫)মনে মনে না পড়ে অবশ্যই কমবেশি শব্দ করে পড়বে।তাহলে অধিক সময় মনে থাকবে।
(৬)খুব ভোরে ভোকাবুলারি পড়লে মনে থাকে বেশিদিন।
(৭)তাছাড়া গ্রুপের এডমিনরা যে টেকনিকে পোস্ট গুলা দেয় সেগুলো পড়বে।এগুলো পড়তে মজা পাবে এবং অনেকদিন মনে থাকবে।
______________________________________________
♥টেক্সটবুকঃ
ইংরেজিতে টেক্সটবুক প্রত্যক্ষভাবে গুরুত্ব না থাকলেও পরোক্ষভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আগে টেক্সটবুক থেকে অনেক প্রশ্ন আসতো।কিন্তু সম্প্রতি তেমন প্রশ্ন আসেনা।
★যা যা প্রশ্ন আসতে পারে?
মূলত এডমিশনে যে ভোকাবুলারি আসে তার অধিকাংশই টেক্সবুক বা টেক্সবুক রিলেটেড।
তাই বি ও ডি উভয় ইউনিটের জন্য অন্তত টেক্সটবুকের ওয়ার্ডমিনিং, আর গুরুত্বপূর্ণ প্রিপজিশন,গ্রুপ ভার্ব,স্পেলিং,ইডিয়ম এন্ড ফ্রেইজ দেখে নিতে পারো।
আগে কবিতা থেকে প্রশ্ন আসতো বা গুরুত্বপূর্ণ লাইন থেকে প্রশ্ন আসতো বি ইউনিটে।এবছর আসে কিনা সিউর বলা যাচ্ছেনা তবে পড়ে রাখতে পারলে ভালো হবে।
★এর জন্য প্রতিদিন ২০ মিনিট সময় নিতে পারো।
★বাজারে টেক্সটবুক রিলেটেড একটা গাইড কিনে সেখান থেকে পড়তে পারো।
_______________________________________________
♥প্রশ্নব্যাংক পর্যালোচনাঃ
তোমার পরীক্ষা দেওয়ার আগে জানতে হবে কেমনে প্রশ্ন আসে।আর সেটা প্রশ্নব্যাংক দেখে বুঝতে পারবে।এরফলে কোনগুলা বেশি গুরুত্ব দিতে হবে,কোনগুলো না পড়লেও চলবে বুঝতে পারবে।মনে রাখবে, "যার কি প্রশ্ন আসে সে সম্পর্কে ধারনা আছে,তার অর্ধেক বই না পড়লেও চলে।
তাছাড়া প্রশ্নব্যাংক পড়ার আরেকটা লাভ হলো পরীক্ষায় প্রশ্নব্যাংক থেকে প্রায় সেম টু সেম প্রশ্ন না আসলেও একই প্রশ্ন একটু ঘুড়িয়ে পেচিয়ে আসে,যা তোমরা প্রশ্নব্যাংক সলভ করলে সহজেই উত্তর করতে পারবে।
প্রতিদিন ২০ মিনিট করে কমপক্ষে ১ টা বিগত সালের ইংরেজি প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ সলভ করবে।
প্রশ্নব্যাংকে যে টপিকসগুলো থেকে বেশি প্রশ্ন আসে সেগুলোকে গুরুত্ব দিবে।
______________________________________________
ইংলিশ নিয়ে কিছু ওভারঅল সাজেশন্সঃ
(১)বি ও ডি ইউনিটে বেশিরভাগ ফেল করে ইংলিশে। তাই সচেতন হও।
(২)ইংলিশে পাস করে মোটামোটি নাম্বার অর্থ্যৎ ৯+ পেলেই সাবজেক্ট পাওয়া যায় সাধারনত।
কিন্তু প্রতিবছর ইংরেজিতে পাশনাম্বার ৮ পায়না
৮০%+ স্টুডেন্ট।আর অধিকাংশ সাবজেক্ট পেতে ইংলিশে কন্ডিশন লাগে।কি বুঝলে?
(৩)পাশ করার জন্য ইংলিশ পড়লেই চলবেনা,ইংলিশ পড়তে হবে জীবনের জন্য।
কারন পরবর্তী ভার্সিটিতে অধিকাংশই লেকচার, পরীক্ষা ইংলিশে নিবে।
(৪)ইংলিশকে বাঘ নয় যে ভয় পেয়ে না পড়ে পড়ে থাকতে হবে এবং আর একসময় সে আসলেই পরীক্ষার মাঠে বাঘ সত্যি সত্যি রূপান্তরিত হয়।
ইংলিশকে ভালোবাসো,ইংলিশকে সময় দাও,দেখবে ইংলিশও তোমায় ভালোবাসবে।
এক্কেবারে রিয়াল লাইফের ভালোবাসার মত😂
(৫)এডমিশনে মাঝামাঝি সময়টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টাই বলে দিবে কে চান্স পাবে আর কে পাবেনা।তাই এই সময়ে অন্য সাবজেক্ট পড় বা না পড় ইংলিশ মাস্ট পড়তে হবে এবং
সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।
(৬)বারবার পরিক্ষা দাও আর নিজেকে যাচাই করে না।আর প্রপার টাইমমেইনটেনিং শিখে নাও।
এককথায়,ইংলিশে ভালো পাওয়া মানে তুমি চান্স পাবে আর ভালো একটা সাবজেক্ট পাওয়া
_______________________________________________
💜সাধারণ জ্ঞান (যেভাবে পড়বে)
বাংলায় বলে সাধারণ জ্ঞান, ইংলিশে General
Knowledge সংক্ষেপে জিকে (GK)।
এডমিশনে সাধারণত যে বিষয়গুলোতে পরীক্ষা দেওয়া হয় তার সবগুলোই স্কুল-কলেজে তোমরা পড়ে এসেছো,কিন্তু একমাত্র জিকে বিষয়টা নতুন।তাই বলে চিন্তা করার কিছু নেই।
এডমিশন টেস্টে বি ও ডি ইউনিটে যে পরীক্ষা হয় সেই পরীক্ষায় সবচেয়ে সহজে বেশি নাম্বার তোলার সাবজেক্ট হলো সাধারণ জ্ঞান।
ইংলিশ ও বাংলার মত এত কঠিন প্রশ্ন আসেনা।
তাছাড়া এ অংশে তেমন কেউ ফেল করেনা।
তাছাড়া গত দু-এক বছরে কঠিন প্রশ্নের বদলে ব্যাসিক প্রশ্নগুলো বেশি করা হয়।
★ঢাবির বি ও ডি ইউনিটে সাধারন জ্ঞান আসে।
★সাধারণ জ্ঞান থেকে মূলত দুইটি বিভাগ থেকে প্রশ্ন আসে।
[১]বাংলাদেশ বিষয়াবলী অংশ।
[২]আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী অংশ।
এই দুইটি অংশের আবার দুইটি শাখা আছে।
(১)সাম্প্রতিক তথ্য
(২)মৌলিক বিষয়সমূহ
এই দুইটি শাখা আলাদা কিছু নয় বরং উপরের মূল দুইটা বিভাগের মধ্যেই এদের অবস্থান।অর্থ্যৎ
সাম্প্রতিক তথ্য ও মৌলিক বিষয়সমূহ থেকে আসা প্রশ্নগুলো বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক অংশের সাথেই সম্পর্কিত।
★মানবন্টনঃ
প্রতিটি বিভাগ থেকে ২৫ টা করে মোট ৫০ টা প্রশ্ন আসবে।৫০ টি প্রশ্নের মোট নম্বর ৬০।তাহলে
প্রত্যেকটি সঠিক উত্তরের জন্য পাবে ৬০÷৫০=১.২০ নম্বর।আর ভূল উত্তর দিলে .৩০ মাইনাস মার্ক হবে।
আর জিকেতে পাসমার্ক মাত্র হলো ৮+৮=১৬।
তবে চান্স পেতে হলে আরো বেশি হতে হবে।
★সাধারন জ্ঞান ভর্তি পরীক্ষায় কেন গুরুত্বপূর্ণ?
-------------------------------------
ইংলিশে ও বাংলায় পাশ করাটা যতটা কঠিন কিন্তু সাধারন জ্ঞানে পাশ করা তত সহজ।
১৬ তে পাস বলে ফেল করে না তেমন কেউ।তবে পাশ করলেই শুধু হবেনা।এডমিশনে মূলত সাধারন জ্ঞানের গুরুত্বগুলো হলো.....
(১)সাধারন জ্ঞান মূলত এডমিশন রেজাল্টের পজিশন/সিরিয়াল আগানোর গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগে।সাধারন জ্ঞানে যেহেতু ৬০ মার্ক সুতরাং একটুভালো করে পড়লেই অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকা যায়।
(২)সাধারন জ্ঞানে ভালো করে পজিশন আগাতে পারলে মনের মত সাবজেক্টগুলা পাওয়া যায়।তবে সেই ক্ষেত্রে সাবজেক্ট গুলোর ওপর আরোপিত শর্ত(কন্ডিশন) অবশ্যই পূরন হবে।
যেমন বি ইউনিটে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাবজেক্ট পেতে হলে কন্ডিশন হিসেবে কমপক্ষে ইংরেজিতে ১৩ আর বাংলায় ১২ পেতে হয়।আর সেই জন্য পজিশন/সিরিয়াল ৫৫০ এর মধ্যে থাকতে হবে।
এখন তুমি ইংরেজিতে ১৩ ও বাংলাতে ঠিকত ১২ পেলে কিন্তু সাধারন জ্ঞানে খারাপ করায় সিরিয়াল ৫৫০ এর বাইরে চলে গেলে সাধারনত এই সাবজেক্ট পাবেনা।
সুতরাং এ কথাটা বলা যায়, একটা ভালো সাবজেক্ট পেতে কন্ডিশনের জন্য ইংরেজি ও বাংলা গুরুত্বপূর্ণ আর ঔই সাবজেক্টের আসন শেষ হওয়ার আগেই পেতে সিরিয়াল ভালো রাখতে হয়,আর সিরিয়াল ভালো রাখতে সাধারন জ্ঞানে ভালো করতে হয়।
★জিকে থেকে প্রশ্ন আসার টপিকস
----------------------------
এই টপিকসগুলো ভালো করে পড়লেই
ঢাবিসহ বাংলাদেশের যেকোনো পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন কমন পড়বে।
এইজন্য সবগুলো টপিকস টাচড করতে হবে।
[3 stars are more important]
💜বাংলাদেশ বিষয়াবলী
★★সংক্ষেপে বাংলাদেশ
★জনসংখ্যা
★★★উপজাতি
★★জাতীয় দিবসসমূহ
★চুক্তি
★আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ
★★★ভৌগোলিক তথ্য
★নদ-নদী
★দ্বীপ
★পাহাড়-পর্বত-পর্বতমালা
★বন
★বিভিন্ন স্থানের পুরাতন নাম
★★★সীমানা
★ছিটমহল
★ প্রশাসনিক বিষয়াবলী
★★সংসদ
★★★সংবিধান
★★প্রশাসন
★★★অর্থনীতি
★★★বাজেট
★শিল্প
★খনিজ সম্পদ
★কৃষি ও কৃষিজ সম্পদ
★বন্দর
★★★বাংলার ইতিহাস:প্রাচীন ইতিহাস
★★★বাংলার ইতিহাস: ইউরোপীয়দের আগমন ও বৃটিশ আমল
★★★বাংলার ইতিহাস: পাকিস্তান আমল
★★★বাংলার ইতিহাস: মুক্তিযুদ্ধ
★★★বিভিন্ন স্থানের পুরাতন/প্রাচীন নাম
★★★ঐতিহাসিক স্থানসমূহ
★যোগাযোগ ব্যবস্থা
★ডাক ও টেলিযোগাযোগ
★গণমাধ্যম (রেডিও ও টেলিভিশন)
★যোগাযোগ ব্যবস্থা
★★★সাহিত্য-সংস্কৃতি
★বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
★গুরুত্বপূর্ণ সংবাদপত্র ও সাহিত্যপত্রিকা
★★ভাস্কর্য
★★বিখ্যাত বই
★চলচ্চিত্র
★★বিখ্যাত চিত্রকর্ম
★★★ঐতিহাসিক, গুরুত্বপূর্ণ ও বিখ্যাত স্থান
★ঢাকা শহর
★★★ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
★★★খেলাধুলা
★★বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ইন্সটিটউট
💜আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
★★★সংক্ষেপে পৃথিবী
★★বিভিন্ন দেশের রাজধানী
★পার্লামেন্ট
★বিভিন্ন দেশের মুদ্রা
★★★পূর্বনাম
★বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রতীক
★★★আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ
★★★বিভিন্ন দেশের উপজাতি/ আদিবাসী
★★ভৌগোলিক বিষয়াবলী
★★★ভৌগোলিক উপনাম
★সীমান্ত
★★★বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, স্থাপনা, শহর, বন্দর ও রুট
★প্রণালী
★★বিশ্ব রাজনীতি
★★★জাতিসংঘ
★★★আন্তর্জাতিক সংস্থা, সংগঠন ও জোট
★★আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সদর দপ্তর
★আন্তর্জাতিক সম্মেলন
★★আন্তর্জাতিক চুক্তি
★পারমাণবিক তথ্য
★★★বিভিন্ন দেশের গেরিলা ও অন্যান্য সংগঠন
★★সামরিক অপারেশন
★আন্তর্জাতিক কেলেংকারি
★★★বিশ্ব ইতিহাস
★★★গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধসমূহ
★সাবেক উপনিবেশ
★★সাহিত্য-সংস্কৃতি
★★নোবেল পুরস্কার
★অস্কার
★★অন্যান্য পুরস্কার
★বিখ্যাত বই
★বিখ্যাত চলচ্চিত্র
★★★বিখ্যাত চিত্রকর্ম
★★বিখ্যাত ভাস্কর্য
★★★জনক ও প্রবক্তা
★★★বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
★মহাশূণ্য অভিযান
★★গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ও আবিষ্কারক
★অর্থনীতি
★abbreviation
★★★বিখ্যাত ব্যক্তি
★উক্তি
💜প্ল্যানিং
---------
যেকোনো কাজ প্ল্যানিং করে শুরু করলে সেই কাজ কম সময়ে,কম পরিশ্রমে, সুশৃঙ্খলভাবে শেষ করা যায়। তেমনি জিকে অল্পসময়ের মধ্যে ভালোভাবে শেষ করতে হলে প্ল্যান করে বসতে হবে।প্ল্যানিংগুলো হলো:
(১)প্রথমে প্রশ্নব্যাংক কিনে বিগত সালের প্রশ্নগুলো দেখো।এতে করে প্রশ্নের ধরন বুঝতে পারবে।ফলে বই পরার সময় তুমি নিজেই বুঝতে পারবা এটা আসার মত আর এটা স্কিপ করলেও সমস্যা হবেনা।
তাছাড়া বিগত সালের প্রশ্ন পরীক্ষায় অনেক কমন পড়ে। এক ঢিলে দুই পাখি আরকি!!
(২)প্রথমে কয়টা টপিকস পড়বে তা নির্দিষ্ট করে নাও। তারপর প্রতিদিন কয়টা টপিকস পড়বা এটাও নির্দিষ্ট করো।এটা ডিপেন্ড করে তোমার মেধা,পড়ার গতির ওপর।
(৪)যেগুলো পড়বা সপ্তাহশেষে নির্দিষ্ট দিনে সেগুলা কমপক্ষে কর একবার রিভাইস দিবা।
(৫)দুইভাবে পড়তে পারো,
[১]একদিন বাংলাদেশ অংশ পড়বা আরেকদিন
আন্তঃজাতিক অংশ পড়বা।
[২]অথবা একদিনে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক অংশ ভাগ করে পড়তে পারো।
★সাধারন জ্ঞান পড়ার কৌশলসমূহ
--------------------------------
জিকে সাধারনত মুখস্তবিদ্যা বলা হলেও আমার
কাছে জিকে দীর্ঘদিন প্র্যাকটিস করে বুঝে বুঝে
আত্মস্থ করার বিষয়।জিকে সাধারনত সারাদিন
পড়লেও যদি কৌশলগত ভাবে না পড়া হয়কোন লাভ হবেনা।
★প্রথমে একটা টপিকস নির্দিষ্ট করো কি পড়বে।একটা বই থেকে পড়বে।একবার না ২-৩ বার পড়বা।তারপর তার থেকে আসা বিগত সালের প্রশ্ন গুলো পড়বা।
(১)পূর্বেও উল্লেখ করা হইছে যে বিগত সাল থেকে
অনেক প্রশ্ন রিপিট হয়।তাই প্রশ্নব্যাংক থেকে বিগত
১০-১৫ বছরের প্রশ্ন সলভ করতে পারলে অনেক
প্রশ্ন কমন পাবে।
(২)একটা টপিকস পড়ার সময় মুখস্থ করার আগে বিষয়টা বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করবা।পারলে পড়ার সময় বিষয়টা অন্তরদৃষ্টিতে সচিত্র দৃশ্যতে আনতে চেষ্টা করবা।তাহলে অনেকদিন মনে থাকবে।
(৩)ইতিহাস পড়ার ক্ষেত্রে কোন ঘটনার পর
কোন ঘটনা আসছে তা লক্ষ রাখবা।
(৪)পড়ার সময় কঠিন ও অপরিচিত তথ্যগুলো
খাতায় বার বার লিখবা।
(৫)প্রত্যেক টপিকস পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ন তথ্যগুলো একটা নোট খাতায় লিখবা।পরে সময়ে সময়ে সেগুলো রিভাইস দিবা।
(৬)পড়ার টেবিলের সামনে বাংলাদেশ ও পৃথিবীর মানচিত্র টা টানিয়ে দিবে।ভৌগোলিক বিষয়ক জিকে পড়ার সময় স্থানগুলোর অবস্থিতি মানচিত্রে দেখে নিলে মনে থাকবে অনেকদিন।মানচিত্র রিলেটেড প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ১০-১৫ টা প্রশ্ন আসেই।
(৬)যেই টপিকসটা সহজ লাগে সেটা আগে পড়বা।
(৭)একটা টপিকস একটা বই থেকে পড়ার পর
পারলে একই টপিকসের ওপর অন্যান্য ২-১ টা
বই দেখে নিতে পারো।
(৮)পারলে দুই-তিনজন মিলে গ্রুপস্টাডি করতে পারো।
একজন আরেকজনকে প্রশ্ন করতে পারো।
এরকম গেম করে খেললে পড়াতে ইন্টারেষ্ট আসে,
পড়া মনে থাকেও অনেকদিন।হোস্টেলে- মেসে বন্ধু বান্ধবীদেরর সাথে আড্ডা দেওয়ার বদলে এ কাজটা করলে লাভ হবে।
(৯)প্রত্যেকটা তথ্য পড়ার সময় এর সাথে
অন্য কোন তথ্য সম্পর্কিত কিনা ভেবে দেখবে।
(১০)সব সাল পড়ার লোভ ত্যাগ করে কমন
সাল গুলো পড়লেই চলে।দেখা যায় সাল গুলো
পড়লে অনেক সময়,শ্রম ও বরিং লাগে।
অথচ পরীক্ষায় সাল আসে মাত্র ২-৫ টি।
যা আসে তার অধিকাংশই কমন গুলোই।
সংখ্যাবিষয়ক তথ্যগুলোর ক্ষেত্রেও একই।
আর যে জিকে খুব কঠিন মনে হয় তাকে সালের বিষয়গুলো ছেড়ে দেওয়াই ভালো মনে হয়।
(১১)মুদ্রা, রাজধানী একটা কঠিন বিষয়।দুর্বল ছাত্রদের এটা স্কিপ করাই ভালো বা শুধু বিগত সাল পড়লেই চলে।কারন ১-২ টা প্রশ্নের জন্য অনেককিছু মূখস্থ করা সবাই পারেনা।
(১১)অনেকে বলে ভাই যা পড়ি তাই ভূলে যাই।
একবার পড়ে কখনো মনে না থাকাটাই স্বাভাবিক।এজন্য পড়ার সময় কয়েকবার করে পড়তে হবে।কঠিন শব্দগুলো খাতায় বারবার লিখবে।তারপর কয়েকদিন পর পর রিভিশন।
এভাবে ৩-৪ টা রিভিশন পড়লে তখন তথ্য মনে থাকবে।১ বার পড়ে মনে না থাকলে তুৃমি যদি হতাশ হয়ে যাও তাহলে সেটা তোমার নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারা।
তাই বারবার পড়ার পর পড়াশোনাকে নিজের আয়ত্বে নিয়ে আসো।
(১২)বিভিন্ন সংগঠন,জোট,প্রতিষ্ঠান পড়ার সময়
এর সাল বা গভীরের জিনিস না পড়ে সাধারন ব্যাসিক তথ্যগুলো পড়লেই এনাফ।বুঝতে এ টপিকসের বিগত সাল পড়ো।
(১৩)বিসিএসের যারা প্রশ্নগুলো সলভ করছো,তাদের বলবো আগে বইয়ের টপিকস গুলা শেষ করো।
তারপর বিসিএস এর প্রশ্নব্যাংক সলভ করতে পারলে ভালো।তবে প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট করেও পড়তে পারো।
💜সাম্প্রতিক তথ্য নিয়ে আলোচনা
সাম্প্রতিক তথ্য বলতে সাম্প্রতিক বা বর্তমান সময়ে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তথ্যসমূহ।
যেমন এইযে ঘূর্নিঝর "মোরা" বা বাজেট এগুলাই সাম্প্রতিক ঘটনাবিশেষ।
প্রতিবছর ঢাবিতে সাধারন জ্ঞান অংশে সাম্প্রতিক তথ্য
থেকে প্রশ্ন এসে থাকে।তবে সাম্প্রতিক পূর্বে বেশি আসলেও গত কয়েকবছরে এর হার কমে গেছে।
গত কয়েকবছরের প্রশ্ন তুলনা করলে দেখা যায়
সাম্প্রতিক তথ্য আসে গড়ে ৫-৮ টির মতো।তবে ডি ইউনিটে আরো বেশি এসে থাকে।
তবে এ সাম্প্রতিক প্রশ্নগুলো উত্তর করতে
পারলে প্রাপ্ত নাম্বরে অনেক উন্নতি ঘটে।
♥কি কি টপিকস আসে?
আসলে সাম্প্রতিক এর নির্দিষ্ট টপিকস নেই।
প্রশ্নকর্তারা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ন যে কোনো
ঘটনা থেকে প্রশ্ন করতে পারেন।তবে কিছু
কমন টপিকস থাকে।সেগুলো হলঃ
★বাজেট
★রিপোর্ট -সমীক্ষা
★প্রাকৃতিক দুর্যোগ
★বিখ্যাত কোনো ব্যক্তির মৃত্যু
★পদক-পুরষ্কার বিশেষ করে নোবেল প্রাইজ
★হামলা,যুদ্ধ
★গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ
★রেকর্ড
★খেলাধুলা
★বিভিন্ন শুমারি,গবেষনা তথ্য
★নির্বাচন
★অধিক আলোচিত সমালোচিত ব্যক্তি,ঘটনা,বিষয়
★আবিষ্কার
.
এইসব কমন বিষয় থেকেই প্রতিবছর প্রশ্ন হয়।
বাংলাদেশ ও আন্তঃজাতিক উভয় অংশের
সাম্প্রতিক এই টপিকসগুলো পড়তে হবে।
♥কোথা থেকে পড়ব?♥
★সাম্প্রতিক বিষয়ে চোখ-কান খোলা রাখো।
★প্রতিমাসের কারেন্ট ওয়াল্ড/কারেন্ট এফেয়ার্স
পড়বে।
★প্রতিরাতে বিবিসি বাংলার খবর শুনবে।
★পারলে একটা জাতীয় দৈনিক পত্রিকা নিয়মিত
পড়তে পারো।এখন মোবাইলেই পড়া যায়।
তবে এটা বাধ্যবাধকতা নেই
★পরীক্ষার আগে সাম্প্রতিক বিষয়ে স্পেশাল সাজেশন্স
বের হয়।সেটা পড়বে।আমরা বের করার চেষ্টা করবো
ইনশাআল্লাহ।
♥সাম্প্রতিক পড়ার সময় করনীয়♥
সাম্প্রতিক তথ্য হালনাগাদ করার জন্য একটা আলাদা
নোট করবা। যেকোনো সাম্প্রতিক তথ্য পাওয়ার সাথে
সাথে তথ্যটা নোট করে ফেলবে।
কয়েকদিন পর পর তা রিভিশন দিবে।
আর গ্রুপের সাম্প্রতিক পোষ্টগুলা
শেয়ার দিয়ে রাখবে।
যারা দুর্বল ছাত্র, সাম্প্রতিক মনে থাকেনা বা কারেন্ট এফেয়ার্স ইত্যাদি এতকিছু পড়তে ভালো লাগেনা তাদেরকে বলবো অন্তত পরীক্ষার আগে যদি সাম্প্রতিক শর্ট সাজেশনের শিটগুলো পড়ে যাও তাহলেও হবে
💜সাধারন জ্ঞানের জন্য কি বই পড়া যায়?
------------------
আসলে কোন বই পড়লে সবচেয়ে বেশি কমন
পড়বে তা বলা মুশকিল।আর যারা বলে শতভাগ
কমন এটাও ঠিকনা, বিজ্ঞাপন বৈকি।কারন
কোন বই নির্ভূল নয়।তবে বাজারে কয়েকটি
বই বর্তমানে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সেগুলো হল ;
১.এমপিথ্রি
২.জোবায়ের'স জিকে
৩.জ্ঞানকোষ
৪.জ্ঞান-সিন্ধু
৫.আজকের বিশ্ব
তাছাড়া তুমি যে কৌচিং এ ভর্তি হবে সে কৌচিং
এর শিটগুলা পড়লেও হবে।
আমি নির্দিষ্ট করে কোন বই সাজেস্ট করবোনা, তোমরা এতদিন যে বইটি পড়ে আসছো বা শিট সেটাই ভালো করে শেষ করলেই হবে।
দেখা যায় সব বই বা শিট পড়তে গিয়ে
কোনটাই ভালো ভাবে পড়া হয়না।
তাই যেকোনো একটা বই আগে ভালো
কররে শেষ করবে, তারপর পারলে অন্য বই পড়ো।তবে একটা বই থেকে একটা টপিকস
পড়ার পর পারলে অন্য বই থেকে এ টপিকসটা দেখে নিবে।এতে করে অন্য বই থেকে নতুন কিছু থাকলে জানতে পারবে।তবে অত্যাবশ্যক না।
★পরিক্ষার মোট সময়ের কতটুকু অংশ দিবে জিকে দাগানোতে?
এডমিশনে সাধারন জ্ঞান দাগানোতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট ব্যয় করবে।কারন বাংলা ও ইংলিশে তোমাকে প্রশ্ন ভেবে উত্তর দিতে হবে।সাধারন জ্ঞানে ভাবার কিছুনেই।পারলে সেটা প্রথম দেখাতেই পারবা।তাই ২০-২৫ মিনিটে ফটাফট দাগিয়ে নিবে ৫০টা সাধারন জ্ঞান।আর অতিরিক্ত সময়টা বাংলা ও ইংলিশে দিয়ে চান্স নিশ্চিত করো।
পোস্ট বিষয়ক কিছু কথাঃ
(১)পোস্টে টাইপিং মিস্টেক মাফ করে দিবেন।
(২)যারা এ ও সি ইউনিটে পরীক্ষা দিবা তারা,ডি কে দ্বিতীয় অপশন হিসেবে রাখছো তাদের এসব সাবজেক্ট পড়ার মেথড একই হবে।তবে পড়ার জন্য সময়টা কমিয়ে নিবে তোমার নিজের ইউনিটের সাবজেক্টগুলো পড়ার জন্য।
(৩)আমার পোস্টের কোনো পদ্ধতি তোমার এতোদিনের পদ্ধতির সাথে সাংঘর্ষিক হয় তাহলে,
তাহলে কনফিউজড না হয়ে নিজের পদ্ধতিতে চলো।
(৪)পোস্টে যেসব বই সাজেস্ট করা হইছ তাই পড়তে হবে এমন কোন কথা নেই।আমি বিশ্বাস করি যেকোনো একটা বই ভালোভাবে শেষ করলেই হবে।তাই কনফিউশন হওয়ার কিছু নেই।
(৫)এখানে রুটিনের সময় অন্তত ১০ ঘন্টা দেওয়া হইছে, এখন তুৃমি যদি আরো বেশি পড়ো তাহলে সে অনুপাতে প্রত্যেক বিষয়ে সময় বাড়াও।
(৬)পোস্টটা ভাবতে,তারপর ভেবে কাটছাট করে লিখতে মোট ৪-৫দিন লেগেছিলো।
(৭)পোস্টটা একবার না পড়ে বারবার পড়ে বিষয়টা মাথায় গেথে নাও।বেস্ট হয় টাইমলাইনে শেয়ার করে রেখে দাও।সময় করে পড়ে নিতে নিতে বিষয়গুলো আত্মস্থ করে নিবে।আমি মনে করি এ পোস্টটা ফ্লো করলে জিকেতে ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।
(৮)শুধু নিজে জানলেই হবেনা ম্যানশন করে বন্ধুদের জানিয়ে দাও।
আর মতামত জানাতে ভূলোনা😃
Joynal Abedin Imran
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়