সি আর ডি ইউনিটের বাংলা প্রায় এক।শুধু সাধারন জ্ঞানটা নতুন।তোমাদের প্রথমেই ডি ইউনিটের প্রশ্নের প্যাটার্ন সম্পর্কে জানা জরুরী।তাই একটা প্রশ্নব্যাংক কিনে একদিন শুধু প্রশ্নের প্যাটার্ন সম্পর্কে ধারণা নাও।
কথায় আছে "কি আসবে জানলে বইয়ের অর্ধেক এমনেই শেষ হয়ে যায়।"
এবার বাংলা, ইংলিশ, সাধারণ জ্ঞান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ-
♦বাংলা প্রথম পত্রঃ
সি ইউনিটে বাংলা যা পড়েছো ডি ইউনিটে বাংলা প্রায় এক।তোমাদের সি ইউনিটের বাংলা প্রশ্ন থেকে ডি ইউনিটে বাংলা আরো সহজ হবে।
ডি ইউনিটে বাংলা ১ম পত্র এর মেইন বই থেকে সাধারনত ৭-১০ টা প্রশ্ন থাকে।আর বাংলার এই অংশটা সবচেয়ে সহজ।
তাই এই অংশ থেকে যাতে একটাও প্রশ্ন মিস না হয় সেদিকে খেয়াল রাখো।
💜অর্থ্যৎ মেইন বই রিলেটেড যেসব বিষয়গুলো থেকে প্রশ্ন আসতে পারে সেগুলো হলো,
-শব্দার্থ ও টীকা
-গল্পের গুরুত্বপূর্ন লাইন থেকে প্রশ্ন
-অনুচ্ছেদ আকারে প্রশ্ন
-কোথায় কোন ফুল,ফল,নদী,
পোকামাকড় বা গুরুত্বপূর্ণ শব্দ আছে।
💜বাংলা ২য় পত্রঃ
বাংলা ২য় পত্রের জন্য ৯-১০ এর বইটা ভালো।
বিরচন অংশ এতোদিন যা পড়ছো সেখান থেকে শুধু রিভিশন দাও।নতুন পড়ার দরকান নাই।
💜ডি ইউনিটে কিছু কিছু টপিকস থেকে প্রায় প্রতিবছর প্রশ্ন আসে সেগুলো
-বিরাম চিহ্ন
-ণত্ব ষত্ব বিধান
-বাক্য প্রকরন (জটিল,সরল,যৌগিক)
-পদ প্রকরন (বিশেষ্য,বিশেষ্যন,ক্রিয়া ইত্যাদি)
-সন্ধি
-উপসর্গ/অনুসর্গ(এই লাইনে কয়টা উপসর্গ আছে)
-ধ্বনি পরিবর্তন
-শব্দের শ্রেনিবিভাগ (বিষেশ করে শব্দের উৎস এবং কোনটা কোন শব্দ)
-সমাস ও কারক
💜বিরচন অংশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
-ট্রান্সলেশন(এটা বাংলা ও ইংলিশ দুইখানেই প্রশ্ন আসে)
-এক কথায় প্রকাশ
-সমার্থক শব্দ
-শুদ্ধি অশুদ্ধি
করনীয়ঃ
(১)যেহেতু বাংলা আগেই পড়েছো সেহেতু এটা জাস্ট ওপরের মতো ধরে রেখে যাওয়ার চেষ্টা করো।
(২)প্রতিদিন প্রশ্নব্যাংক ব্যাখ্যাসহ সলভ করবা। কমপক্ষে ১টা বিগত সালের প্রশ্নবলী।
সাথে চলবে রিভিশন।
(৩)আগে যেখান থেকে পড়েছো সেখান থেকেই পড়বে।নতুন কোথাও থেকে পড়ার দরকার নেই।
(৪)সারাদিন যতক্ষন পড়বে তার ১৫% সময় দিবে বাংলায়।অনেক পড়ছো বাংলা।জিকে পড়তে হবে সামনে।
♦ইংলিশঃ
ডি তে মূলত যেটা সবচেয়ে আটকায় তা হলো ইংলিশ ।তবে সি ইউনিটে যারা ইংলিশটা ভালো করে পড়ছো তাদের এত সমস্যা হবেনা।তবে অন্যান্যবারের চেয়ে এবার সি ইউনিটে ইংরেজি প্রশ্ন সহজ হয়েছে, ডি ইউনিটে এরকম সহজ প্রশ্ন আসা বিনে এরচেয়ে কঠিন আসবেনা।
ডি তে ইংলিশ ভালো মার্কস মানেই চান্স ও ভালো সাবজেক্ট প্রাপ্তি।
নিচে ডি ইউনিটে প্রশ্ন আসার মতো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টপিকস দেখে নাও,
-Right forms verbs
-subject verb agreement
-Verb
-pronoun
-adjective & adverb
-causative
-subjunctive
-tense
♦আরো কিছু তথ্য ডি ইউনিটের ইংরেজি সম্পর্কে→
★ডিতে সিনোনিম, এনটোনিম আসে ৩-৪ টার মতো।
★ট্রান্সলেশন টা অনেক সহজ। এখান থেকে প্রশ্ন আসবেই এবং সহজে আনসার করা যায়।
★সবাইকে টপকিয়ে ৪১০ জনের ভেতর আসতে হলে গ্রামার ও ভোকাবুলারি সমান গুরুত্বপূর্ণ।
★প্যাসেজ সিএর মতো একই।
★ইংলিশে প্রশ্ন হুবহু কমন না আসলেও টপিকস কমন আসে।তাই প্রশ্নব্যাংক ব্যাখ্যাসহ ছাড়খার করতে পারলে তুমি ইংলিশে অধিকাংশ প্রশ্ন সলভ করতে পারবে।তাই দৈনিক কমপক্ষে ১ টা প্রশ্নাবলী সলভ করো।
★আগে যেহেতু পড়ছো তাই এখন ইংলিশে সারাদিনে ২০%সময় দেওয়াই বেটার।তবে সমস্যা কম-বেশি থাকলে আরো সময় কমাতে-বাড়াতে পারো।
★আগে যেখান থেকে ইংলিশ পড়ছো সেখান থেকে পড়লেই এনাফ।
♦সাধারন জ্ঞানঃ
এতক্ষন বাংলা ও ইংলিশ নিয়ে বললেও তোমাদের মূল আকর্ষন মূলত সাধারণ জ্ঞান নিয়ে।সাধারন জ্ঞান কমার্সের ছাত্ররা কখনো পড়ার দরকার হয়নি।আর সি এর সাথে বাংলা ও ইংরেজির সাথে প্রায় মিল থাকলেও সাধারণ জ্ঞানটা নতুন করে শুরু করতে হয়।
আসলে সাধারন জ্ঞান ততটা কঠিন নয় যতটা ভাবা হয় যদি কেউ শুধু পরিক্ষার জন্য না বরং জানার আগ্রহ নিয়ে পড়ে।
ডি ইউনিটে যে পরীক্ষা হয় সেই পরীক্ষায় সবচেয়ে সহজে বেশি নাম্বার তোলার সাবজেক্ট হলো সাধারণ জ্ঞান।
★সাধারণ জ্ঞান থেকে মূলত দুইটি বিভাগ থেকে প্রশ্ন আসে।
[১]বাংলাদেশ বিষয়াবলী অংশ।
[২]আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী অংশ।
★মানবন্টনঃ
প্রতিটি বিভাগ থেকে ২৫ টা করে মোট ৫০ টা প্রশ্ন আসবে।৫০ টি প্রশ্নের মোট নম্বর ৬০।তাহলে
প্রত্যেকটি সঠিক উত্তরের জন্য পাবে ৬০÷৫০=১.২০ নম্বর।আর ভূল উত্তর দিলে .৩০ মাইনাস মার্ক হবে।
আর জিকেতে পাসমার্ক মাত্র হলো ৮+৮=১৬।
তবে চান্স পেতে হলে অন্তত ৪০+ রাখতে হবে।
♦সাধারণ জ্ঞান এর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিকস হলোঃ-
♥[বাংলাদেশ অংশ]
-উপজাতি
-জাতীয় দিবসসমূহ
-চুক্তি
-আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ
-ভৌগোলিক তথ্য
-নদ-নদী,দ্বীপ,পাহাড়,বন
-বিভিন্ন স্থানের পুরাতন নাম
-সীমানা
-সংসদ,সংবিধান
-অর্থনীতি
-বাজেট
-বাংলার প্রাচীন,মধ্য ও আধুনিক যুগের ইতিহাস
-বিভিন্ন স্থানের পুরাতন/প্রাচীন নাম
-ঐতিহাসিক স্থানসমূহ
-ভাস্কর্য
-বিখ্যাত বই
-বিখ্যাত চিত্রকর্ম
-ঐতিহাসিক, গুরুত্বপূর্ণ ও বিখ্যাত স্থান
-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
-খেলাধুলা
-বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ইন্সটিটউট
♥[আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী]
-পূর্বনাম
-আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ
-বিভিন্ন দেশের উপজাতি/ আদিবাসী
-ভৌগোলিক বিষয়াবলী
-ভৌগোলিক উপনাম
-বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, স্থাপনা, শহর, বন্দর ও রুট
-জাতিসংঘ
-আন্তর্জাতিক সংস্থা, সংগঠন ও জোট
-আন্তর্জাতিক সম্মেলন
-আন্তর্জাতিক চুক্তি
-বিভিন্ন দেশের গেরিলা ও অন্যান্য সংগঠন
-বিশ্ব ইতিহাস
-গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধসমূহ
-বিভিন্ন পুরস্কার
-বিখ্যাত চিত্রকর্ম
-বিখ্যাত ভাস্কর্য
-জনক ও প্রবক্তা
-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
এই টপিকসগুলা থেকেই ডি ইউনিটে বেশি প্রশ্ন আসে।তবে আরো ভালো করতে হলে আরো কিছু টপিকস পড়তে হবে।সেজন্য বিগত সালের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষন করলেই বুঝবে।
♦সাধারন জ্ঞান ভর্তি পরীক্ষায় কেন গুরুত্বপূর্ণ?
(১)সাধারন জ্ঞান মূলত এডমিশন রেজাল্টের পজিশন/সিরিয়াল আগানোর গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগে।সাধারন জ্ঞানে যেহেতু ৬০ মার্ক সুতরাং একটুভালো করে পড়লেই অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকা যায়।
(২)সাধারন জ্ঞানে ভালো করে পজিশন আগাতে পারলে মনের মত সাবজেক্টগুলা পাওয়া যায়।তবে সেই ক্ষেত্রে সাবজেক্ট গুলোর ওপর আরোপিত শর্ত(কন্ডিশন) অবশ্যই পূরন হবে।
♦প্ল্যানিং
---------
যেকোনো কাজ প্ল্যানিং করে শুরু করলে সেই কাজ কম সময়ে,কম পরিশ্রমে, সুশৃঙ্খলভাবে শেষ করা যায়। তেমনি জিকে অল্পসময়ের মধ্যে ভালোভাবে শেষ করতে হলে প্ল্যান করে বসতে হবে।প্ল্যানিংগুলো হলো:
(১)প্রথমে প্রশ্নব্যাংক কিনে বিগত সালের প্রশ্নগুলো দেখো।এতে করে প্রশ্নের ধরন বুঝতে পারবে।ফলে বই পরার সময় তুমি নিজেই বুঝতে পারবা এটা আসার মত আর এটা স্কিপ করলেও সমস্যা হবেনা।
তাছাড়া বিগত সালের প্রশ্ন পরীক্ষায় অনেক কমন পড়ে। এক ঢিলে দুই পাখি আরকি!!
(২)প্রথমে কয়টা টপিকস পড়বে তা নির্দিষ্ট করে নাও। তারপর প্রতিদিন কয়টা টপিকস পড়বা এটাও নির্দিষ্ট করো।এটা ডিপেন্ড করে তোমার মেধা,পড়ার গতির ওপর।
(৪)যেগুলো পড়বা সপ্তাহশেষে নির্দিষ্ট দিনে সেগুলা কমপক্ষে একবার রিভাইস দিবা।
(৫)দুইভাবে পড়তে পারো,
[১]একদিন বাংলাদেশ অংশ পড়বা আরেকদিন
আন্তঃজাতিক অংশ পড়বা।
[২]অথবা একদিনে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক অংশ ভাগ করে পড়তে পারো।
♦সাধারন জ্ঞান পড়ার কৌশলসমূহ
★প্রথমে একটা টপিকস নির্দিষ্ট করো কি পড়বে।একটা বই থেকে পড়বে।একবার না ২-৩ বার পড়বা।তারপর তার থেকে আসা বিগত সালের প্রশ্ন গুলো পড়বা।
(১)পূর্বেও উল্লেখ করা হইছে যে বিগত সাল থেকে
অনেক প্রশ্ন রিপিট হয়।তাই প্রশ্নব্যাংক থেকে বিগত ১০-১৫ বছরের প্রশ্ন সলভ করতে পারলে অনেক প্রশ্ন কমন পাবে।আরো ভালো হয় বিসিএস প্রশ্নগুলো পড়তে পারলে।ভালো করে
প্রশ্নব্যাংক+বিসিএস পড়লে ২৫ পাবে।তবে মেইন
বইয়ের পাশাপাশি পড়লে লাভবান হবে বেশি।
(২)একটা টপিকস পড়ার সময় মুখস্থ করার আগে বিষয়টা বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করবা।পারলে পড়ার সময় বিষয়টা অন্তরদৃষ্টিতে সচিত্র দৃশ্যতে আনতে চেষ্টা করবা।তাহলে অনেকদিন মনে থাকবে।
(৩)ইতিহাস পড়ার ক্ষেত্রে কোন ঘটনার পর
কোন ঘটনা আসছে তা লক্ষ রাখবা।
(৪)পড়ার সময় কঠিন ও অপরিচিত তথ্যগুলো
খাতায় বার বার লিখবা।
(৫)প্রত্যেক টপিকস পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ন তথ্যগুলো একটা নোট খাতায় লিখবা।পরে সময়ে সময়ে সেগুলো রিভাইস দিবা।
(৬)পড়ার টেবিলের সামনে বাংলাদেশ ও পৃথিবীর মানচিত্র টা টানিয়ে দিবে।ভৌগোলিক বিষয়ক জিকে পড়ার সময় স্থানগুলোর অবস্থিতি মানচিত্রে দেখে নিলে মনে থাকবে অনেকদিন।মানচিত্র রিলেটেড প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ১০-১৫ টা প্রশ্ন আসেই।
(৭)পারলে দুই-তিনজন মিলে গ্রুপস্টাডি করতে পারো।
একজন আরেকজনকে প্রশ্ন করতে পারো।
এরকম গেম করে খেললে পড়াতে ইন্টারেষ্ট আসে,
পড়া মনে থাকেও অনেকদিন।হোস্টেলে- মেসে বন্ধু বান্ধবীদেরর সাথে আড্ডা দেওয়ার বদলে এ কাজটা করলে লাভ হবে।
(৮)প্রত্যেকটা তথ্য পড়ার সময় এর সাথে
অন্য কোন তথ্য সম্পর্কিত কিনা ভেবে দেখবে।
(৯)সব সাল পড়ার লোভ ত্যাগ করে কমন
সাল গুলো পড়লেই চলে।দেখা যায় সাল গুলো
পড়লে অনেক সময়,শ্রম ও বরিং লাগে।
অথচ পরীক্ষায় সাল আসে মাত্র ২-৫ টি।
যা আসে তার অধিকাংশই কমন গুলোই।
সংখ্যাবিষয়ক তথ্যগুলোর ক্ষেত্রেও একই।
আর যে জিকে খুব কঠিন মনে হয় তাকে সালের বিষয়গুলো ছেড়ে দেওয়াই ভালো মনে হয়।
(১০)মুদ্রা, রাজধানী একটা কঠিন বিষয়।দুর্বল ছাত্রদের এটা স্কিপ করাই ভালো বা শুধু বিগত সাল পড়লেই চলে।কারন ১-২ টা প্রশ্নের জন্য অনেককিছু মূখস্থ করা সবাই পারেনা।
(১১)অনেকে বলে ভাই যা পড়ি তাই ভূলে যাই।
একবার পড়ে কখনো মনে না থাকাটাই স্বাভাবিক।এজন্য পড়ার সময় কয়েকবার করে পড়তে হবে।কঠিন শব্দগুলো খাতায় বারবার লিখবে।তারপর কয়েকদিন পর পর রিভিশন।
এভাবে ৩-৪ টা রিভিশন পড়লে তখন তথ্য মনে থাকবে।১ বার পড়ে মনে না থাকলে তুৃমি যদি হতাশ হয়ে যাও তাহলে সেটা তোমার নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারা।
তাই বারবার পড়ার পর পড়াশোনাকে নিজের আয়ত্বে নিয়ে আসো।
(১২)বিভিন্ন সংগঠন,জোট,প্রতিষ্ঠান পড়ার সময়
এর সাল বা গভীরের জিনিস না পড়ে সাধারন ব্যাসিক তথ্যগুলো পড়লেই এনাফ।বুঝতে এ টপিকসের বিগত সাল পড়ো।
(১৪)ফেসবুক এপ দিয়ে এই গ্রুপে ডুকে "Search" অপশনে "সাধারণ জ্ঞান" লিখলেই আগে যত পোস্ট করা হইছে সব আসবে।পড়ে নিও বিষেশ করে টেকনিকে সাধারন জ্ঞানগুলো সহজে মনে রাখতে পারবে।
💜সাম্প্রতিক তথ্য নিয়ে আলোচনা
সাম্প্রতিক তথ্য বলতে সাম্প্রতিক বা বর্তমান সময়ে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তথ্যসমূহ।
গত কয়েকবছরের প্রশ্ন তুলনা করলে দেখা যায়
সাম্প্রতিক তথ্য আসে গড়ে ১০ টির মতো।
তবে এ সাম্প্রতিক প্রশ্নগুলো উত্তর করতে
পারলে প্রাপ্ত নাম্বরে অনেক উন্নতি ঘটে।
♥কি কি টপিকস আসে?
আসলে সাম্প্রতিক এর নির্দিষ্ট টপিকস নেই।
প্রশ্নকর্তারা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ন যে কোনো
ঘটনা থেকে প্রশ্ন করতে পারেন।তবে কিছু
কমন টপিকস থাকে।সেগুলো হলঃ
★বাজেট (এ বছরের বাজেট থেকে প্রশ্ন আসবেই)
★রিপোর্ট -সমীক্ষা
★প্রাকৃতিক দুর্যোগ
★বিখ্যাত কোনো ব্যক্তির মৃত্যু(আব্দুল জব্বার)
★পদক-পুরষ্কার বিশেষ করে নোবেল প্রাইজ
★হামলা,যুদ্ধ
★ মানবিক বিপর্যয় (রোহিঙ্গা)
★গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ
★রেকর্ড
★খেলাধুলা
★বিভিন্ন শুমারি,গবেষনা তথ্য
★নির্বাচন
★অধিক আলোচিত সমালোচিত ব্যক্তি,ঘটনা,বিষয়
★আবিষ্কার
এইসব কমন বিষয় থেকেই প্রতিবছর প্রশ্ন হয়।
বাংলাদেশ ও আন্তঃজাতিক উভয় অংশের
সাম্প্রতিক এই টপিকসগুলো পড়তে হবে।
♥কোথা থেকে পড়ব?♥
★সাম্প্রতিক বিষয়ে চোখ-কান খোলা রাখো।
★প্রতিমাসের কারেন্ট ওয়াল্ড/কারেন্ট এফেয়ার্স
পড়বে।
★প্রতিরাতে বিবিসি বাংলার খবর শুনবে।
♥সাম্প্রতিক পড়ার সময় করনীয়♥
সাম্প্রতিক তথ্য হালনাগাদ করার জন্য একটা আলাদা
নোট করবা। যেকোনো সাম্প্রতিক তথ্য পাওয়ার সাথে
সাথে তথ্যটা নোট করে ফেলবে।
কয়েকদিন পর পর তা রিভিশন দিবে।
আর গ্রুপের সাম্প্রতিক পোষ্টগুলা
শেয়ার দিয়ে রাখবে।
♦বিকল্পঃ-
যারা দুর্বল ছাত্র, সাম্প্রতিক মনে থাকেনা বা কারেন্ট এফেয়ার্স ইত্যাদি এতকিছু পড়তে ভালো লাগেনা তাদেরকে বলবো অন্তত পরীক্ষার আগে যদি সাম্প্রতিক শর্ট সাজেশনের শিটগুলো পড়ে যাও তাহলেও হবে।যেমন ক্যাপসুল।
আর, মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যত গুরুত্বপূর্ণ সাম্প্রতিক আছে তা পড়তে পোস্ট পড়ে শেয়ার করে সংরক্ষনে রাখবে,
https://m.facebook.com/groups/1877958442425268?view=permalink&id=2038188203068957
♦বুক সাজেষ্টঃ
এই জিনিসটা নিয়ে কনফিউশন সবার।কোন বইটা পড়লে ভালো হবে।একজনে একরকম বই সাজেস্ট করবে।আসলে সব বই-ই ভালো অর্থ্যৎ একবইয়ের সাথে অন্যবইয়ের তত পার্থক্য থাকেনা।তবে কথার কথা হলো তুমি যেই বই পড়োনা কেন সেই বইটাই ভালো করে শেষ করতে হবে।তাহলেই হবে।
তবে বাজারে কিছু বই আছে যেগুলো বেশি প্রচলিতঃ-
★জুবায়েরস জিকে
★এমপিথ্রি
★জ্ঞানসিন্ধু
★জ্ঞানকোষ
★আজকের বিশ্ব
★বুলেট বিশ্ব
তবে আমাকে যেকোনো ১ টা বললে আমি বলবো জুবায়েরস জিকে পড়তে কারন সময় কম আর এটা কম সময়ে শেষ করা সম্ভব।
রুটিনঃ-
আমার মতে ডিতে চান্স পেতে হলে ১২-১৩ ঘন্টা পড়া উচিৎ।
♦পোষ্ট নিয়ে কিছু কথা
-এ পোস্টটা লিখার আগে সি ইউনিট থেকে ডি ইউনিটে চান্সপ্রাপ্ত অনেকের সাথে আলোচনা করে নেওয়া হয়েছে।
-দ্রুত লিখতে গিয়ে টাইপিং মিস্টেক হলে দুঃখিত।
-সামনের পোস্ট ডি এর আসনবিন্যাস,কি কি সাবজেক্ট পাওয়া যায়,যোগ্যতা,বৃত্ত ভরাটে কৌশল,পজিশন,কন্ডিশন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
-পোষ্টটা লিখতে ৩ দিন ভেবে ৩ ঘন্টায় লিখলাম।আশা করি অনেক হেল্প দিবে।আর তোমরা উপকৃত হলেই আমি স্বার্থক।✌
-কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করো আর আরো জানতে কমেন্ট বক্স চেক করবে।
-পোস্টটা একবার পড়লে শুধু মাথার ওপর দিয়ে যাবে।সময় করে বারবার পড়ে পোস্টের আলোচিত বিষয়গুলি মাথায় আনতে পারলে ডি ইউনিটের প্রিপারেশন সহজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।এজন্য নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করে সংরক্ষনে রাখতে পারো।
-শুধু নিজে জানলেই হবেনা ম্যানশন করে বন্ধুদের জানিয়ে দাও।😊
Share & mention 😊
Joynal Abedin Imran,DU