“পরীক্ষার দুই দিন আগে থেকে পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত” যা যা করা প্রয়োজন এবং যা যা করা উচিৎ নয় তা নিয়ে আজ এই পোস্টে বলবো। আর এর আগের দিন এর এক পোস্টে পরীক্ষা নিয়ে আমার কিছু অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছিলাম আর কিছুটা বাকি থেকে গেছে সেটাও এই পোস্টেই বলে দিচ্ছি।
-
তবে এই পোস্টে আমি ঢাবির গ ইউনিটের উদাহারণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করবো যেহেতু গ ইউনিটের পরীক্ষা দিয়েই এ বছরের এডমিশন যুদ্ধ শুরু হচ্ছে। তাই যারা অন্য ইউনিটের আছো তারাও পোস্টটা ভালো করে পড়ো। ইউনিট ও তারিখগুলো না মিললেও, কথাগুলো অবশ্যই কাজে দিবে। কখন কিভাবে কি করতে হবে তার একটি আগাম ধারণা পাবা।
প্রথমেই বলে নেই, পরীক্ষার দুইদিন আগে থেকে অর্থাৎ পরীক্ষার আগের আগের দিন থেকে বা ১৫ তারিখ গ ইউনিটের এক্সাম হলে, ১৩ তারিখ থেকে পরিক্ষা শুরু হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কি করা প্রয়োজন আর কি করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
ক)যারা ঢাকার বাইরে থাকো, তার অবশ্যই ১৩ তারিখ সকালের মধ্যে নিজের প্রিপারেশন শেষ করে ফেলবা এবং টার্গেট রাখবা যেন ঢাকায় এসে না পড়তে হয়। কারণ পরীক্ষার সন্নিকটে এসে বেশী পড়াশুনার চাপ মাথায় রাখলে নার্ভাস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে।
খ) অবশ্যই চেষ্টা করবা ১৩ তারিখ এমন একটা সময়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে যেন ঢাকায় পৌছানোর পরে ১৩ তারিখ রাতে তোমার ভালো একটা ঘুম হয়। কারণ ১৩ তারিখ রাতে যদি তুমি জার্নিতে কাটিয়ে দাও, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ১৪ তারিখ সকালে এসে ঘুম দিবা, আর এর ফলে ১৪ তারিখ রাতে আর ঘুম আসবে না অর্থাৎ তোমাকে আধঘুম অবস্থায় ১৫ তারিখ সকালে পরীক্ষা দিতে হবে। তাই এটা করা অত্যন্ত জরুরী।
গ) আর যারা ঢাকায় থাকো তারা ১৩ তারিখ রাতেই প্রিপারেশন শেষ করে ফেলবা। এরপর তোমরা এবং যারা ঢাকার বাইরে থাকে এসেছো তারাও ১৩ তারিখে ঢাকায় এসে ঘুমানোর পরে ১৪ তারিখ খুব সকালে ঘুম থেকে উঠবা। না, ঘুম থেকে উঠে পড়া লাগবে না কারণ আগেই বলে দিয়েছি, প্রিপারেশন ১৩ তারিখেই শেষ করে ফেলা ভালো। ১৪ তারিখ নিজেকে কুল মাইন্ডে রাখার চেষ্টা করবা। এজন্য সারাদিন ঘুরাঘুরি করতে পারো, বা মুভি দেখতে পারো বা গেম খেলতে পারো বা যা খুশী করতে পারো। গ্যারান্টি দিচ্ছি, যখন তোমার প্রিপারেশন শেষ হয়ে যাবে আর তুমি উরাধুরা টাইম কাটাবা এক্সামের আগের দিন তখন দেখবা নার্ভাসনেস অনেক দূরে চলে গিয়েছে।
ঘ) ১৪ তারিখ নিজেকে টায়ার্ড করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য ওইদিন তুমি একটু বেশী হাটাহাটি করতে পারো বা অন্য যা খুশী করতে পারো যেন শরীরে টায়ার্ডনেস আসে। ১৪ তারিখ যেহেতু খুব সকালে উঠবা আর শরীরে যেহেতু টায়ার্ডনেস থাকবে তাই ওইদিন রাতে খুব সহজেই ঘুম চলে আসবে তুমি যতোই নার্ভাস থাকো না কেন। কিন্তু ১৪ তারিখ ঘরের মধ্যে অলসতায় কাটিয়ে দিলে ওইদিন ঘুম আসবে না এটাই স্বাভাবিক।
ঙ) আর হ্যা, ঘুম না আসলে ভুলেও ঘুমের ঔষধ খেতে যেওনা। কারণ সেটার ইফেক্ট এক্সামের সময়ও থাকবে অর্থাৎ তোমাকে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে পরীক্ষা দিতে হতে পারে।
চ) ১৪ তারিখ রাতেই পরীক্ষার জন্য যা যা প্রয়োজন হবে যেমন এডমিট কার্ড, কলম, এগুলো গুছিয়ে রাখো। এবং একাধিকবার চেক করে নাও, যা যা নেওয়া প্রয়োজন তা নিয়েছো কি না।
ছ) এক্স্ট্রা কিছু থাকলে সেগুলো বাসায় রেখে যাও। যেমন হেডফোন, মোবাইল, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি ইত্যাদি। কারণ এসব নিয়ে গেলে তোমাকে বিভিন্ন পদে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে।
জ) অবশ্যই এডমিট কার্ডের একাধিক কপি প্রিন্ট দিয়ে নিজের কাছে রাখবা। পারলে অভিভাবকের কাছেও এক কপি রাখবা।
ঝ) তোমার সিট যেখানে পড়েছে, চেষ্টা করবা ১৪ তারিখে সেখানে যেয়ে একবার ঘুরে আসার। ভেতরে হয়তো ঢুকতে দিবে না তারপরেও তুমি যেয়ে ঘুরে আসলে জায়গাটার সাথে একটু পরিচিত হবা। যা পরীক্ষার দিনের ভয়টাকে একটু হলেও কমিয়ে আনবে।
ঞ) ১৪ তারিখ সম্পূর্ণ ছক করে রাখবা, যে ১৫ তারিখে ঘুম থেকে উঠে কয়টার মধ্যে কোন কাজটা করে ফেলবা এবং কিসের মাধ্যমে তুমি তোমার এক্সাম হলে পৌছাবা।
ট) ১৪ তারিখ রাত ১০-১১ টার মধ্যে ঘুমিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবা। ৬ থেকে ৭ ঘন্টার একটা টানা ঘুম যেন হয় সেদিকে খেয়াল রাখবা।
ঠ) একটা কথা মাথায় রাখবা, এক্সামের দিন সকালে এক্সাম হলের আশেপাশের রাস্তায় জ্যাম থাকবে এবং সেইদিন ওইদিকের যানবাহন পেতেও একটু সময় লাগতে পারে। তাই হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হবা। এবং বের হওয়ার আগে আরেকবার চেক করে নিবা প্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়েছো কি না।
ড) ১৫ তারিখে সকালে উঠে সময় মতো বাসা থেকে বের হওয়ার পরে ভুলেও হিসাব করতে বসবা না যে চান্স পেলে কি কি হবে আর না পেলে কি কি হবে। এসব ওইসময় চিন্তা করলে সত্যিই নার্ভাস হয়ে যাবা। তবে মেন্টালি প্রস্তুত থাকতে হবে যে তুমি এক্সাম হলে অনেক স্টুডেন্টস দেখতে পাবা। এটার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে নাহলে একসাথে অনেক স্টুডেন্টস দেখে তুমি নার্ভাস হয়ে যাবা।
ঢ) সবসময় মনের মধ্যে বিশ্বাস রাখবা যে তোমার এক্সাম হল থেকে যদি কেউ চান্স পায়, তাহলে তুমিই সেটা। এটা মনের মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে হবে। তোমার প্রিপারেশন যতোই বাজে হোক না কেন, সবসময় ভাববা এখানে যারা পরীক্ষা দিতে এসেছে তাদের চেয়ে তুমি অবশ্যই বেশী জানো।
ণ) পরীক্ষার হলের সামনে যেয়ে দেখবা যে অনেক স্টুডেন্ট সবাই পাগলের মতো পড়ছে এক্সাম হলে ঢুকার আগে। এটা দেখেও ঘাবড়ানোর কিছু নাই কারণ এক্সামের আগ মুহূর্তে এতো এতো পড়ে মাথা নষ্ট করার চেয়ে কিছু না পড়াই ভালো। কারণ তুমি ২ বছরে যদি তোমার পড়া না শেষ করতে পারো তাহলে এক্সামের আগ মুহূর্তে হাজার পড়লেও তোমার পড়া শেষ করতে পারবা না। আর এটা এডমিশন টেস্ট, এইচ এস সি এক্সাম না যে পরীক্ষার আগে দুইটা জিনিস দেখে গেলা আর হুবুহু ঐখান থেকেই প্রশ্ন আসলো।
ত) কম করে হলেও ৩০ মিনিট হাতে রেখে পরীক্ষার হলে ঢোকার চেষ্টা করো। কারণ নতুন জায়গায় সিট খুঁজে পেতে একটু সময় লাগে। আর সিটে বসে পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নাও হাতে সময় রেখে।
থ) এক্সাম হলে ঢুকার আগে অবশ্যই নিজের পকেট ও সাথে থাকা সবকিছু চেক করে নাও যে অপ্রয়োজনীয় কিছু যেমন পকেটে পুরোনো কোনো কাগজ বা অন্য যেকোনো অপ্রয়োজনীয় কিছু তোমার কাছে আছে কি না। যদি থাকে তাহলে সেটা কারো কাছে রেখে পরীক্ষা দিতে ঢুকো, দরকার হলে ফেলে দাও।
দ) এবার তোমার সিটটা হাতে সময় নিয়ে খুঁজে বের করে সিটে যেয়ে বসো, আর মনের মধ্যে জেদ তৈরী করো যে ঢাবিতে চান্স পেতেই হবে। না পেলে কি হবে না হবে এসব ভুলেও মাথায় আনবা না।
এবার বলি পরীক্ষার সময় কি কি করা লাগবে। নিচের পয়েন্টগুলোই গত পোস্টের ‘বাকি অংশ’ যেটা পরে শেয়ার করবো বলে রেখে দিয়েছিলাম।
ক) সামনে পিছে কারো সাথে ভাব জমানোর দরকার নাই। নিজে নিজে যতটুকু পারবা তা ই উত্তর করবা। কারণ একটা প্রশ্নের উত্তর অন্যের কাছে জেনে নেওয়ার মধ্যে যে পরিমাণ রিস্ক আছে আর যে পরিমাণ টাইম লাগে তার চেয়ে ভালো হয় তুমি যদি সেটাকে ব্ল্যাংক রেখে বাকিগুলা পূরণ করতে থাকো।
খ) টিচার ঢোকার সাথে সাথেই তিনি বলে দিবেন কারো কাছে মোবাইল, ক্যালকুলেটর বা ঘড়ি থাকলে সেগুলো যেন সবাই সামনে এসে জমা দিয়ে যায়। আবার অনেক টিচার এসব বলে না কিন্তু পরে দেখতে পেলে এক্সফেইল করে দেয়। তাই টিচার যদি এরূপ কোনো ইন্সট্রাকশন না দেয় তাহলে অবশ্যই তার কাছে যেয়ে ভয় না পেয়ে প্রশ্ন করবা, যে তোমার সাথে তুমি মানিব্যাগ ও ঘড়ি রাখতে পারবা কি না। অনেক টিচার এই দুইটা জিনিস কাছে রাখতে দেয় আবার অনেকে দেয় না। তবে মোবাইল ক্যালকুলেটরের কথা প্রশ্ন করে লাভ নাই কারণ ঐগুলো রাখতে কোনোমতেই দিবে না। মানিব্যাগ ও ঘড়ি রাখতে দেওয়ার তাও একটু চান্স আছে।
গ) প্রশ্ন হাতে পেয়ে কি করতে হবে না করতে হবে এসব টিচাররাই বলে দিবে, তারপরেও বলে দিচ্ছি, প্রশ্ন হাতে পেয়ে খুব সাবধানে প্রশ্ন থেকে OMR Sheet টা আলাদা করে নিতে হবে। তোমরা মিনিপ্যাক শ্যাম্পু দেখেছো না? একটির সাথে আরেকটি লেগে থাকে কিন্তু খুব সহজে ছেড়া যাও সেগুলো। OMR Sheet ও সেভাবেই প্রশ্নের পেছনের অংশে লাগানো থাকবে। একটু সাবধানতা অবলম্বন করে সেটিকে আলাদা করতে হবে যেন সেটি ভুলবশত ছিড়ে না যায়। কারণ ওইটা ছিড়লে তোমার আর পরীক্ষা দেওয়া হবে না। কারণ একটা রুমে যতোগুলো স্টুডেন্টস ঠিক ততোগুলোই প্রশ্ন দেওয়া হয়, একটাও এক্স্ট্রা থাকেনা।
ঘ) গত বছর প্রশ্নে কোনো সেট কোড ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু প্রশ্নের একাধিক সেট অবশ্যই ছিল। তবে মজার বিষয় হচ্ছে সেট কোডটা প্রশ্নের ওপরে লেখা ছিল না। কিন্তু সেটা ছিল OMR Sheet এর মধ্যে এনকোড করা বা লুকিয়ে রাখা। অর্থাৎ তুমি যে সেটের প্রশ্ন পেয়েছো, তোমার OMR টাও সেই সেটের জন্যই প্রস্তুত করা থাকবে। তাই প্রশ্ন পাওয়ার পরে ভালো করে দেখে নিবা যে কোনো সেট কোড দেওয়া আছে কি না। যদি থাকে তাহলে সেটা পূরণ করার ও জায়গা থাকবে সেখানে অবশ্যই ভালোভাবে পূরণ করবা। আর না থাকলে বুঝে নিবা সেট কোড আগে থেকেই লুকিয়ে রাখা আছে তোমার OMR Sheet এর মধ্যে যা তোমাকে আর পূরণ করা লাগবে না। অনেকেই ভাবতে পারো যে সবার একই সেটে পরীক্ষা হচ্ছে হয়তো যেহেতু কোনো সেটকোড নাই। কিন্তু এটা ভুল। তাই আগেই বলে দিলাম।
ঙ) নিজের রোল, সিরিয়াল নম্বর ও অন্যান্য তথ্য সাবধানতার সাথে ভালোভাবে পূরণ করবা।
এবার পরীক্ষায় এন্সার করার ক্ষেত্রে #আমার_ব্যক্তিগত_মতামত দিচ্ছি, সবাইকে ফলো করতে হবে এমন কোনো কথা নাই।
চ) প্রথমেই বাংলা, ম্যানেজমেন্ট, ফিনান্স/মার্কেটিং এর মধ্যে যেকোনো একটা সাব্জেক্ট দিয়ে শুরু করা ভালো কারণ এগুলো করতে সময় কম লাগে। তিনটা এন্সার করতে প্রতিটা ৮ মিনিট করে নিলে ২৪ মিনিটে সহজেই উত্তর করা সম্ভব। এরপরে শুরু করবা একাউন্টিং, তবে শুধু থিওরিগুলো, ম্যাথগুলো রেখে দিবা পরে করার জন্য। একাউন্টিং এর থিওরি শেষ করতে খুব বেশী হলে ৫ মিনিট লাগবে কারণ সব তো আর থিওরি থাকবে না। তাহলে তোমার মোট সময় গেল ২৪+৫/৬= ৩০ মিনিট। বাকি থাকে ২৫ মিনিট কারণ ৫ মিনিট আলাদা ভাবে হাতে রাখা উচিৎ কারণ টিচার আসবে, সই করবে, ছবির সাথে চেহারা মিলাবে আরো মেলা কাহিনী করবে যা একটু হলেও তোমার সময় ব্যয় করাবে। যাই হোক থিওরি এন্সার করা শেষ হয়ে গেলে ইংরেজি উত্তর করবা ঠান্ডা মাথায়।কারণ তোমার কাছে এখন ও ২৫ মিনিট সময় হাতে আছে। ইংরেজির জন্য তুমি নিলা ১৫ মিনিট। ১৫ মিনিটে ইংরেজি শেষ করার পরে বাকি ১০ মিনিটে একাউন্টিং এর ম্যাথ শুরু করবা আবার। এক্ষেত্রে যে ম্যাথগুলো ছোট সেগুলো আগে করবা আর যেগুলো অপেক্ষাকৃত বড় সেগুলো পরে সময় পেলে করবা নাহলে, বাদ। এই স্ট্র্যাটেজিটা সম্পূর্ণই আমার ব্যাক্তিগত, পছন্দ নাহলে নিজের মতো করেও করতে পারো, তোমার ব্যাপার সম্পূর্ণ।
ছ) প্রশ্নে রাফ করা যাবে, অপশনে দাগানো যাবে না। OMR Sheet এ রাফ করা যাবে না। রাফের জন্য আলাদা কোন পেপার দেওয়া হবে না। প্রশ্নের ওপরেই রাফ করতে হবে।
জ) OMR Sheet এ দাগ দেওয়া বা ভাজ করা যাবেনা, এতে খাতা মূল্যায়নে সমস্যা হয়। বিশেষকরে দাগটি বা ভাজটি যদি গোল পূরণের স্থানে হয় বা যে বক্সে তথ্য এনকোড করা থাকে সেখানে হয় তাহলে ঝামেলা বেশী হয় তাই এই বিষয়টি ভালোভাবে লক্ষ রাখবা।
ঝ) নরমাল কাটাওয়ালা ঘড়ি অনেক টিচার এলাও করে আবার অনেক টিচার এলাও করে না। তাই নরমাল ঘড়ি নিয়ে গেলে এবং সেটি নিয়ে ঢুকতে দিলে টিচারকে প্রশ্ন করে নিবা যে ঘড়িটি তুমি সাথে রাখতে পারবা নাকি সেটা জমা দিয়ে দিতে হবে। আরেকটি কথা হচ্ছে, রুমে দেয়াল ঘড়ি থাকতেও পারে, না ও থাকতে পারে। অনেক টিচারই রুমে দেয়াল ঘড়ি থাকলেও তা নামিয়ে রাখে। তবে তোমাকে ঘড়ি দেখতে দিক বা না দিক, তারা ১৫-২০ মিনিট পরপর তোমাকে টাইমের আপডেট জানাবে। তাই টাইম ম্যানেজমেন্টে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।
ব্যক্তিবিশেষে আমার বলা কথাগুলোর সাথে দ্বিমত থাকতেই পারে। তাই তাদেরকে মার্জিত ভাষায় সমালোচনা করার জন্য অনুরোধ করছি। আর যারা পোস্টটাকে কপি করবেন বলে ভাবছেন তারা অনুগ্রহ করে আমার নামটা কেটে দিয়ে নিজের নামটা বসিয়ে দিবেন না। এতে সম্মান টা বাড়ে না বরং কমে।