Dream to BCS

Think positive, Be positive, Do positive

ঢাবি সফলতার ধাপসমূহ

ভাই আমার ঢাবিতে পড়ার ইচ্ছা কিন্ত সাহস পাচ্ছিনা। আমি কি চান্স পাব? চান্স পেতে হলে আমাকে কি করতে হবে? এই প্রশ্নের আন্সারত আমি দিতে পারিনা ভাই। আমিত চান্স এর নিশ্চয়তা দিতে পারিনা। একটি সফলতাকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করলে প্রথম ও প্রধান ধাপ হল তীব্র ইচ্ছাশক্তি। তোমার ইচ্ছা, স্বপ্ন, লক্ষ্য পৌঁছে দিতে পারে সফলতার শিখরে। মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। একটি  স্বপ্ন, একটি তীব্র ইচ্ছাশক্তি ই যেকোন সফলতার মূল। ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কোন কিছু অর্জন করা সম্ভব না।

এখন দেখি স্বপ্ন বা লক্ষ্যটা কেমন হওয়া উচিত।  সবাই এইচএসসি ইক্সাম দিছো। ইক্সামের ফলাফল নিয়ে সবার একই লক্ষ্য ছিল না। যে ছাত্র জিপিএ-৫ টার্গেট নিছিলো সে তেমনভাবেই প্রিপারেশন নিছিলো, ইক্সামের খাতায়ও সেই টার্গেট নিয়েই আন্সার করছিল। এখন দুর্ভাগ্যবশত তার জিপিএ-৫ আসল না। তার রেজাল্টটাত অবশ্যই জিপিএ-৫ এর আশেপাশে অর্থাৎ, ৪.৮০+ এর দিকে থাকবে।  আবার যার টার্গেট নূনতম পাশ করে নূনতম রেজাল্ট করা সে তেমন প্রিপারেশন ই নিছে এবং ইক্সামও সেইভাবেই দিছে। তার টার্গেট পাশ করা কিন্ত জিপিএ-৫ এর আশেপাশে যাওয়া কখনো পসিবল না।

একইভাবে আজ যদি তোমার ইচ্ছাশক্তি, তোমার টার্গেট সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হয় তাইলে দুর্ভাগ্যবশত ঢাবিতে চান্স না পেলেও অন্য যেকোন পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স আসতে পারে। কিন্ত টার্গেট যদি অন্যান্য পাবলিক ভার্সিটি তাইলেত ঢাবিতে পড়ার সৌভাগ্য আসবেনা। এভাবে একজন মানুষের ইচ্ছাশক্তি, লক্ষ্য তার অবস্থান নির্ধারণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে।

  প্রথম দিকে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকে আছে কিছুদিন পর ভয়ে পিছিয়ে পরে। এখানে কত মেধাবীরা চান্স পায়, তারা কত ব্রিলিয়ান্ট মনে হয়। তাদের তুলনায় আমিত কিছুইনা। না ঢাবিতে স্বপ্ন দেখে লাভ নাই। আমার জন্য একটা পাবলিক ভার্সিটি হলেই হল। আবার অনেকে ফ্যামিলি প্রবলেম, কোচিং করতে পারবেনা, জিপিএ কম এসব নানাবিধ প্রবলেম এর কারণে ডিপ্রেশনে নিজেকে পিছিয়ে রাখে। কিন্ত এসব ভাবনায় নিজেকে পিছিয়ে রাখা বোকামি ছাড়া কিছুইনা।

আজ যদি তুমি ঢাবির স্বপ্ন দেখো, সেই অনুযায়ী ই পরিশ্রম করবা তখন যেকোন পজিশন থেকেই ঢাবির স্বপ্ন পূরণ হতেও পারে কিন্ত যদি নূনতম একটা পাবলিক এর চিন্তাভাবনা থাকে তখন পরিশ্রমেও অবহেলা থাকবে, মন চায়লে পড়বে মন না চায়লে পড়বে না। এভাবে দেখতে দেখতেই কেটে যাবে। তখন কিন্ত ঢাবির স্বপ্ন পূরণ হওয়া সম্ভব না। তাই বলি যেই পজিশনেই থাকোনা কেন স্বপ্নটা সর্বোচ্চ দেখো, চেষ্টা সর্বোচ্চ পর্যায়ের করো, সেরা পরিশ্রমটা দেও, নিজেকে প্রথমে যোগ্য করো তারপর চান্স পাওয়ার জন্য ইক্সাম হলেও ভাগ্যের একটা বড় ব্যাপার আছে। ভাগ্যের বিষয় পরে আগে নিজেকে যোগ্য করার বিষয়।

যেই স্টুডেন্টরা চারপাশের ভাল জিপিএধারী স্টুডেন্টদের দেখে পিছিয়ে পড়ছে তাদেরও জানা দরকার ঢাবিতে যেমন ভাল জিপিএধারী বোর্ডের ফার্স্ট দিকের স্টুডেন্টরা পড়তেছে তেমনি নূনতম যোগ্যতা নিয়ে পরীক্ষা দেওয়া স্টুডেন্টদের সংখ্যা কম নয়। ভাল জিপিএধারী মেধাবীরা যেমন চান্স পায় তেমনি তাদের মধ্য থেকে ব্যর্থতার সংখ্যাও কম নয়। এর কারণ একটা ই তা হল সামনের এই তিনমাসের পরিশ্রম তোমার ভাগ্য নির্ধারণ করবে। যারা একাডেমিক ভাল পড়ালেখা করছে তারা ভাল রেজাল্ট করছে তাই বলে এখানেও ভাল করবে এমন কথা নয়। যদি তাই হত তাইলে এত ব্যর্থতার সংখ্যা থাকত না। একাডেমিক সিলেবাসের পড়া আর ভার্সিটি এডমিশনের পড়া এক নয়। এখানে প্রতিটি পড়া টেকনিকেলি শেষ করতে হয়। একাডেমিক যাই হোক এখানে ভাল পরিশ্রম করলেই ভাল ফলাফল আশা করতে পারবে।

যারা আগে থেকে অনেক কিছু পড়ে রাখে তারা এখানে অনেক সুবিধা পায়। তাদের পরিশ্রমটা কম করতে হয়। আর যাদের আগে থেকে ধারণা নেই তারা বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এটাই পার্থক্য। কেউ ই বেশি পড়েনা। একজন ভাল মনে রাখতে পারে আরেকজন পারেনা এটাই পার্থক্য। আর এই তিনমাস ভাল করে পরিশ্রম করলে অসম্ভব কিছুনা।

তাই বলি স্বপ্ন দেখতে হবে সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌছার, ইচ্ছাশক্তি থাকবে যেকোন বাধা মোকাবিলার। এই স্বপ্ন বা ইচ্ছাশক্তি ই আমাদের সফলতার প্রধান ধাপ।

এরপর দরকার আমাদের পরিশ্রম, নিরলস শ্রম। সাথে থাকতে হবে একটা প্রপার গাইডলাইন।  এই তিনটার সঠিক সমন্বয়ে ই পারে একটি সফলতার গল্প।

সুতরাং, যার যেই ইচ্ছা ই থাকুক এখন থেকেই নিজের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ শ্রমটা দিয়ে সেরা স্বপ্নটা ছোঁয়ার ইচ্ছাপোষণ করো। পরিশ্রম বৃথা যায়না। ভাগ্য যেদিকে নিয়ে যায় সেদিক থেকেই সফল হতে পারবে ইনশাল্লাহ।

শুভ কামনায়