Dream to BCS

Think positive, Be positive, Do positive

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশমাটিক লিডারশিপে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ

বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশমাটিক লিডারশিপে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ
-
ক. এ মুহূর্তে আমাদের গড় আয়ু ৭২ বছর ৮ মাস,
খ. শিক্ষার হার ৭১%,
গ. বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৪বিলিয়ন মার্কিন ডলার,
ঘ. মাথাপিছু আয় ১৬২০ মার্কিন ডলার থেকে গত এক বছরে ১৪২ ডলার বেড়ে ১৭৫২ ডলার। বিপরীতে মূল্যস্ফীতি ৬%-এর নিচে,
ঙ. জাতীয় প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে ৭%-এর ওপরে। এবার ৭.২৮%, । ৭.৬৫% প্রাক্কলন
চ. বাংলাদেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত,
ছ. মৎস্য উৎপাদনে ৩য়, এখন মানুষ বলতে শুরু করেছে- ডাল ভাত নয়, মাছ-ভাতের আমন্ত্রণ,
জ. সবজি উৎপাদনে চতুর্থ,
ঝ. বাজেটের আকার ৪ লক্ষাধিক কোটি টাকা,
ঞ. নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ,
ত. কর্ণফুলী টানেল, পায়রা বন্দর স্থাপনের পাশাপাশি ২০২১-এ ২৪ হাজার মেগাওয়াট টার্গেট করে রামপালসহ একটার পর একটা বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন,
থ. এখন লোডশেডিং কালে-কস্মিনে হয়। একবারে ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয় না, দ. বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার,
ধ. জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচার,
ন. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার,
প. সর্বোপরি দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তথা মূলধারায় পরিচালনা করছেন,
ফ. হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবন বানানোর মতো নীচতা জীবনে স্থান দেননি,
ব. বছরের প্রথম দিনই বিনামূল্যে ৩৪ কোটি পাঠ্যবই বিতরণ করেন।
এসব সম্ভব হয়েছে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস এবং শেখ হাসিনার মাথার ওপর জাতির পিতার আশীর্বাদ, নীতি, আদর্শ, সততা ও দেশপ্রেমের উদাহরণ আছে বলে। জাতির পিতা তাঁর প্রতিটি বক্তৃতা-বিবৃতিত
ে ‘দাবায়া রাখতে পারবা না’ বলে যে প্রত্যয়ের উদাহরণ রেখে গেছেন শেখ হাসিনা তা শ্রদ্ধাভরে অনুসরণ করে চলেছেন। জাতির পিতা তাঁর রাজনৈতিক জীবনে দুটি শব্দ ব্যবহার করতেন- ‘আমার গরিব-দুঃখী মানুষ।’ শেখ হাসিনা কথাটাকে অনুসরণ করে মুক্তবাজার অর্থনীতির মধ্যেও গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য ওয়েলফেয়ার রাষ্ট্রের নীতি অনুসরণ করেছেন। যেমন তিনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনযাপন মধ্যবিত্ত পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। একই সঙ্গে বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা বাড়িয়েছেন। উপবৃত্তির টাকা সরাসরি ছাত্রছাত্রীদের মায়ের কাছে মোবাইল টু মোবাইলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। সর্বোপরি ঢাকা থেকে ভাঙ্গা, ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা কিংবা ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক ৪ লেনে উন্নীত এবং ডবল সেতু নির্মাণ- মোটকথা দেশব্যাপী অবকাঠামো উন্নয়নের যে কর্মযজ্ঞ চলছে যা নজিরবিহীনই বলা চলে।
সর্বশেষ যে কথাটি বলব তা হচ্ছে, শেখ হাসিনা বহির্বিশ্বেও কূটনৈতিক সাফল্য উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তিনি যেখানে যাচ্ছেন (এ মূহূর্তে লন্ডনে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন) সর্বত্র মধ্যমণি হয়ে ভূমিকা রাখছেন। রোহিঙ্গা ইনফ্লাক্স বা শরণার্থী সঙ্কটকে মানবিক দৃষ্টিকোণ ও দূরদৃষ্টি দিয়ে গ্রহণ করে বিশ্বব্যাপী যে সম্মান অর্জন করেছেন তা নজিরবিহীন। যে কারণে অতীতের সকল উপাধি ও ডক্টরেট ডিগ্রীকে ছাপিয়ে তিনি আজ ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ এবং ‘স্টার অব দ্য ইস্ট।’
//
সূত্র : জনকণ্ঠ ,২১এপ্রিল