তরঙ্গ ও শব্দ
-
-
● যে পর্যায়বৃত্ত অান্দোলন কোন জড় মাধ্যমের একস্থান থেকে অন্য স্থানে শক্তি সঞ্চারিত করে কিন্তু মাধ্যমের কণাগুলোকে স্থানান্তরিত করে না তাকে বলে – তরঙ্গ।
● তরঙ্গ – দুই প্রকার। যথা: অনুপ্রস্থ তরঙ্গ ও অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ।
● কোন একটি কম্পমান বস্তু বা কণা এক সেকেন্ডে যতগুলো পূর্ণ কম্পন সম্পন্ন করে, তাকে বলে – তার কম্পাংক।
● কম্পাংকের একক – হার্জ।
● শক্তির একটি বিশেষ তরঙ্গ রুপ যা অামাদের কানে অনুভূতি জাগায়, তাকে বলা হয় – শব্দ।
● শব্দ সঞ্চারনের জন্য প্রয়োজন হয় – জড় মাধ্যম।
● চাঁদে শব্দ সঞ্চালনের জন্য জড় মাধ্যম অর্থাৎ বায়ু নেই বলে – চাঁদে শব্দ শোনা যায় না।
● শব্দের বেগের তীব্রতার ক্রম – কঠিন>তরল>বায়বীয়।
● ভ্যাকিউয়ামে শব্দের বেগ – শূন্য।
● ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এবং স্বাভাবিক চাপে শব্দের গতিবেগ:
➺ লোহাতে শব্দের বেগ – ৫২২১ মিটার/সেকেন্ড।
➺ পানিতে শব্দের বেগ – ১৪৫০ মিটার/সেকেন্ড
➺ শুষ্কবায়ুতে শব্দের বেগ – ৩৩২ মিটার/সেকেন্ড।
● বাতাসের অার্দ্রতা বেড়ে গেলে শব্দের বেগ – বেড়ে যায়।
● শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে যে বিমান চলে তাকে বলে – সুপারসনিক বিমান।
● কোন উৎস থেকে সৃষ্ট শব্দ যদি দূরবর্তী কোন মাধ্যমে বাধা পেয়ে উৎসের কাছে ফিরে অাসে তখন মূল ধ্বনির যে পুনরাবৃত্তি হয় তাকে বলে – শব্দের প্রতিধ্বনি।
● শব্দের প্রতিধ্বনি শোনার জন্য উৎস ও প্রতিফলকের মধ্যবর্তী নূন্যতম দুরত্ব হওয়া প্রয়োজন – ১৬.৬ মিটার।
● শব্দের কম্পাংক ২০ হার্জ থেকে ২০০০০ হার্জ এর মধ্যে সীমিত থাকলে অামরা যে শব্দ শুনতে পাব, তাকে বলে – শ্রাব্যতার সীমা।
● যে শব্দ তরঙ্গের কম্পাংক ২০০০০ হার্জ এর চেয়ে বেশি তাকে বলে – শ্রবণোত্তর বা শব্দোত্তর তরঙ্গ।
● তাপ বা ঘনত্বের বৃদ্ধির সাথে সাথে শব্দের দ্রুতি – বেড়ে যায়।
● লোহার মধ্যে শব্দ বাতাসের তুলনায় – ১৫ গুণ দ্রুত চলে।
● শব্দের তীক্ষ্মতা নির্ভর করে – শব্দ তরঙ্গের বিস্তারের উপর।
● একটি মাত্র কম্পাংক বিশিষ্ট শব্দকে বলে – সুর।
● একাধিক কম্পাংক বিশিষ্ট শব্দকে বলে – স্বর।
● শ্রবণোত্তর শব্দ সাধারণভাবে শুনতে পায় না মানুষ।
● অালট্রাসনোগ্রাফি হলো – ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের শব্দের দ্বারা ইমেজিং।
● শব্দের তীব্রতা পরিমাপ করা হয় – অডিওমিটারের মাধ্যমে।
● ‘শব্দ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যম প্রয়োজন’ এটি প্রথম প্রমাণ করেন – অটো ভন গেরিক।
● শব্দের সাহায্যে নির্ণয় করা যায় না – বস্তুর ঘনত্ব।
● শব্দ সবচেয়ে দ্রুত চলে – অার্দ্র ও ভেজা বাতাসে।
● সমটান সম্পন্ন টানা তারের দৈর্ঘ্য দ্বিগুণ করলে কম্পাংক হবে – অর্ধেক।
● একটি শূন্য পাত্রকে অাঘাত করলে পানি ভরা পাত্রের চেয়ে বেশি শব্দ হয়, করণ – বাতাসে শব্দ তরঙ্গের বিস্তার বেশি।
● কুকুর বিড়াল, চামচিকা শুনতে পায় – অাল্ট্রসনিক শব্দ।
● বায়ু অপেক্ষা পানিতে শব্দের বেগ – প্রায় ৪ গুণ বেশি।
● তরঙ্গ দৈর্য্য বাড়লে শব্দের তীব্রতা – কমে।
-