ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং নিয়ে যাদের সমস্যা তারা পড়ুন
.
এই পোস্ট অনেক আগে আমি একবার দিয়েছিলাম। এখন আবারো দিলাম কারণ আমার মনে হয় ৩য়, ৪র্থ বর্ষে এখন যারা পড়ছেন তারা যদি এরকম ভাবে কিছু শুরু করতে পারেন এবং একটু নিয়মানুবর্তী হোন তাহলে ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং-এ আপনি অনেক দূর এগোতে পারবেন।
চাকরির পরীক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি যেই সমস্যাটার সম্মুখীন হতে হয় তা হল ইংরেজিতে ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং। ফ্রি হ্যান্ড মানে কিন্তু শুধু হাত সচল তা না; এর জন্য প্রয়োজন একটা ফ্রি থিঙ্কিং মাইন্ড। ফ্রি থিঙ্কিং মাইন্ড বলতে এখানে কল্পনা শক্তিকে বিকশিত করার কথা বলা হয়েছে। আপনি একটা বিষয় যত সুন্দর করে ভাবতে পারবেন ঠিক ততটাই সুন্দর করে লিখতে পারলে তবেই সেটা সার্থক। এখন কথা হল মনের মাঝে অনেক বাংলা শব্দ উঁকি দেয় সেগুলোকে ইংরেজিতে বাগে আনাই হল কঠিন। হ্যাঁ, ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং এর সবচেয়ে বড় বাধা হল ইংরেজির ক্ষেত্রে অপ্রতুল শব্দ ভান্ডার। এখন কথা হচ্ছে আপনি একদিনেই কিন্তু শব্দ ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে পারবেন না। তার উপর আপনাকে বাক্যের গঠন এবং গ্রামারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তবে আমি মনে করি ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং এ গ্রামারের ভূমিকা গৌণ কেননা একটু সময় দিলেই গ্রামার আয়ত্তে চলে আসবে। কিন্তু লেখা আয়ত্তে আনা সময় সাপেক্ষ। সেজন্য আপনাকে কিছু নিয়ম একদম সময় বেঁধে মানতে হবে। ঠেকাটা আপনার তাই আপনি মানতে বাধ্য।
১। এমনভাবে পড়ুন যেন পড়াটাই আপনার চাকরিঃ It is said that you have to read at least twenty good sentences to write one good sentence. আপনি যত পড়বেন তত আপনার ভাবনার জানালা খুলে যাবে সেই সাথে আপনার সাক্ষাত হবে অজানা (সহজ শব্দ কঠিন শব্দ বলতে কিছু নেই; শব্দ হল জানা আর অজানা) অনেক শব্দের সাথে। কথা হচ্ছে কী পড়বেন?? বড় বড় ইংরেজি নভেল পড়তে পারলে তো খুবই ভাল আর তা যদি না পারেন তাহলে সম্পাদকীয় পড়ুন। দ্য ডেইলি স্টার বা নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদকীয়গুলো এবং Star Magazine বা New Age Xtra Magazine আমার কাছে বেশ স্মার্ট মনে হয়। প্রতিদিন পড়তে হবে আর সাথে রাখতে হবে একটা ডায়েরি যেখানে আপনি আপনার কাছে অপরিচিত শব্দগুলো লিখে রাখতে পারবেন। এছাড়াও ইংরেজি আয়ত্তে আনার জন্য সেরা ১০টা ম্যাগাজিনের নাম দিলাম যা আপনি গুগল করলেই পাবেনঃ Mental Floss, Fast Company, Reader’s Digest, Cricket or Cicada, Time and Time For Kids, People, Vogue, ShortList, Sunset, Photography for Beginners। প্রতিদিন যেকোন দুটি বা তিনটিতে ঢুঁ মেরে অন্তত ২/৩টি আর্টিকেল পড়ুন। অজানা শব্দ নোট করে রাখুন। তারপর হাতে ৪০ মিনিট সময় নিয়ে বসে যা পড়লেন তা নিজের মত করে লেখার চেষ্টা করুন। এভাবে যদি আপনি ১ মাস চালিয়ে যান তাহলে এক মাস পর পরিবর্তনটা আপনি নিজেই টের পেতে শুরু করবেন।
২। দোকলা চল রেঃ প্রতিদিন পড়া ও লেখা একঘেয়ে লাগতেই পারে। তাই রিডিং ও রাইটিং পার্টনার খুঁজে বের করুন। এমন না যে একসাথেই বসতে হবে। ইন্টারনেটের যুগে আপনি যেকোন সময়েই আপনার পার্টনারকে পাবেন। কাজেই ঠিক করে নিন কে কী পড়বেন এবং কি লিখছেন। পরবর্তীতে একজন আরেকজনেরটা মিলিয়ে নিতে পারবেন। শুধু দুইজন না হয়ে একটা সার্কেল তৈরি করতে পারলে আরও ভাল হয়।
৩। পড়ার বিষয়বস্তুর ধরণ বদলানঃ প্রতিদিন এক জিনিস বা এক রকম জিনিস না পড়ে ভিন্নতা আনে এমন বিষয় পড়ুন।
৪। সাহিত্যে হাতেখড়িঃ আপনি যখন মোটামুটি ম্যাগাজিন, ওয়েবসাইটের লেখায় অভ্যস্ত হয়ে যাবেন তখনই মোক্ষম সময় ইংরেজি সাহিত্যে আপনার হাতেখড়ি নেওয়ার। Jane Austen, Charles Dickens, George Orwell, James Joyce, Emily Bronte, Virginia Woolf, Joseph Conrad, E.M Forster, J.K Rowling, Stephen King, Hilary Mantel সহ আরও অনেক ঔপন্যাসিক দিয়ে আপনি ইংরেজি সাহিত্য শুরু করতে পারেন।
৫। প্রি রাইটিং প্রসেসঃ লেখা শুরু করার আগে লেখায় কী কী থাকবে তা আপনি Jot Down করে রাখতে পারেন। এটাকে আউটলাইনিং বলে। আউটলাইনিং শেষ হলে আপনি একটা বাক্যে লেখার মূল ভাবটুকু তুলে ধরতে পারেন। এটা হল Topic Sentence। এই বাক্যটা পড়ে যেন পাঠকরা বুঝতে পারে আপনি কোন বিষয়টির উপর আলোকপাত করতে চাচ্ছেন।
৬। ড্র্যাফটিং প্রসেসঃ বলা হয়ে থাকে Good writing is rewriting। একটা লেখা শেষ হওয়ার পর ওটাকে ফার্স্ট ড্র্যাফট বলে। আপনি ওই লেখাটা পড়বেন। পড়ার পর ভেবে দেখবেন কোন কোন দিক থেকে ওটাকে সুন্দর করা যায় বা নতুন কোন শব্দ প্রতিস্থাপিত করা যায় কিনা। তারপর আবার লিখবেন। এটাকে সেকেন্ড ড্র্যাফট বলে। এভাবে এক দুই সপ্তাহ ড্র্যাফটিং করলেই আপনার লেখার ধাঁচে অনেক উন্নতি আসবে।
৭। ওয়াচিং মুভিসঃ সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩টা ইংরেজি মুভি দেখার চেষ্টা করবেন সাবটাইটেল সহ। কোন আবেগের দৃশ্য আসলে সাবটাইটেলে Pause দিয়ে দেখবেন সেই আবেগের জায়গাগুলো শব্দ দিয়ে তারা কিভাবে প্রকাশ করছেন। মন চাইলে কয়েকটি লাইন লিখেও রাখতে পারেন।
৮। গ্রামার জ্ঞানঃ আমি গ্রামারকে একদম শেষেই রাখলাম কারণ এতে বেশি সময় না দিলেও চলবে। ভাল একটি গ্রামার বই দেখে গ্রামার চর্চা করলেই হবে। চৌধুরি এন্ড হোসাইন দিয়ে শুরু করে পরবর্তীতে englishclubএবং englishgrammar. ওরগ তে ঢুঁ মারতে পারেন।
৯। এডিটরঃ সম্ভব হলে ইংরেজিতে ভাল এমন কাউকে প্রতি সপ্তাহে না হলেও ১৫ দিনে অন্তত একবার আপনার লেখা গুলো দেখান।
১০। দয়া করে এটাকে অভ্যাসে পরিণত করুন।
শেষ করছি একটা প্রিয় একটা উক্তি দিয়েঃ Either write something worth reading or do something worth writing.
Home
English Grammar
Learning Techniques
Spoken English
ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং নিয়ে যাদের সমস্যা তারা পড়ুন
ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং নিয়ে যাদের সমস্যা তারা পড়ুন
Tags
# English Grammar
# Learning Techniques
# Spoken English
Share This
Spoken English
Labels:
English Grammar,
Learning Techniques,
Spoken English