Dream to BCS

Think positive, Be positive, Do positive

সেক্সপিয়র এর ম্যাকবেথ ,হ্যামলেট, ওথেলো, জুলিয়াস সিজার, রোমিও জুলিয়েট এর সংক্ষিপ্ত কাহিনী ।


ইংরেজি সাহিত্যের সেক্সপিয়র থেকে ১-২ প্রশ্ন আসেই । তাঁর যেসব গুরুত্বপূর্ণ রচনাবলী যেমন:
ম্যাকবেথ ,হ্যামলেট, ওথেলো, জুলিয়াস সিজার, রোমিও জুলিয়েট এর সংক্ষিপ্ত কাহিনী দেওয়া হলো । আশা করি সবার কাজে লাগবে :
সূত্র- উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট ।
=========





ম্যাকবেথঃ
===================

নাটকের প্রথম দৃশ্যে তিন ডাইনি এক ঊষর প্রান্তরে মিলিত হন। স্থির করেন যে তাঁরা দেখা দেবেন ম্যাকবেথকে। পরবর্তী দৃশ্যে স্কটল্যান্ডের রাজা ডানকানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এক আহত ক্যাপ্টেনের। সেই ক্যাপ্টেন তাঁকে জানান যে তাঁর দুই সেনানায়ক ম্যাকবেথ ও ব্যাঙ্কো এইমাত্র বিদ্রোহী ম্যাকডোনাল্ডের নেতৃত্বাধীন নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ডের যৌথবাহিনীকে পরাস্ত করেছিলেন। ক্যাপ্টেন রাজার আত্মীয় তথা গ্লেমিসের থেন ম্যাকবেথের শৌর্য ও বীর্যের বিশেষ প্রশংসাও করেন।
দৃশ্য বদল হয়। আবহাওয়া ও নিজেদের বিজয় সম্পর্কে আলোচনা করতে করতে প্রবেশ করেন ম্যাকবেথ ও ব্যাঙ্কো ("So foul and fair a day I have not seen")। এক ঊষর প্রান্তরের পথে তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় তিন ডাইনির। ম্যাকবেথ ও ব্যাঙ্কোকে অভিবাদন জানিয়ে তাঁরা তিনটি ভবিষ্যৎবাণী উচ্চারণ করেন। ব্যাঙ্কো তাঁদের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করলে তাঁরা ম্যাকবেথকে অভিবাদন জানান। পরপর তিনটি অভিবাদনে ডাইনিরা প্রথমে ম্যাকবেথকে "থেন অফ গ্লেমিস", তারপর "থেন অফ কডর" ও শেষে "বি কিং হিয়ারআফটার" বলে উল্লেখ করেন। স্তম্ভিত ম্যাকবেথ চুপ করে যান। তবে ব্যাঙ্কো আবার তাঁদের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেন। তখন ডাইনিরা তাঁকে জানান যে ব্যাঙ্কো নিজে রাজা না হলেও রাজবংশের জনক হবেন। এই ভবিষ্যৎবাণীগুলি শুনিয়ে দুজনকে অবাক করে দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যান ডাইনিরা। রস নামে অপর এক থেন রাজার দূত হয়ে প্রবেশ করেন। তিনি জানান যে ম্যাকবেথকে "থেন অফ কডর" উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। এইভাবে প্রথম ভবিষ্যৎবাণীটি ফলে যায় এবং ম্যাকবেথের মনে রাজা হওয়ার ইচ্ছা বলবতী হয়ে ওঠে।
ম্যাকবেথ একটি চিঠিতে তাঁর স্ত্রীকে ডাইনিদের ভবিষ্যৎবাণীগুলি সম্পর্কে জানান। এরপর ডানকান ম্যাকবেথের ইনভার্নেসের দুর্গে রাত্রিবাসের সিদ্ধান্ত নিলে লেডি ম্যাকবেথ তাঁর স্বামীকে সিংহাসনে বসানোর লক্ষ্যে রাজহত্যার পরিকল্পনা করেন। ম্যাকবেথ প্রথমে রাজহত্যায় রাজি ছিলেন না। কিন্তু লেডি ম্যাকবেথ নানা কৌশলে তাঁকে বুঝিয়ে রাজি করান। নিজের পরিকল্পনা সফল করতে তিনি স্বামীর পৌরুষ নিয়ে প্রশ্নও উত্থাপন করেন।
আতিথ্যগ্রহণের রাত্রিতেই ম্যাকবেথ হত্যা করেন ডানকানকে। হত্যার ঘটনাটি মঞ্চে দৃশ্যায়িত করা হয়নি। হত্যার পর ম্যাকবেথ মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে লেডি ম্যাকবেথকে আসরে নেমে অবস্থা সামাল দিতে হয়। ষড়যন্ত্রমাফিক, একটি রক্তমাখা ছোরা ডানকানের ঘুমন্ত পরিচারকদের কাছে রেখে তাদের উপর হত্যার দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে স্কটিশ রাজপুরুষ লেনক্স ও ফিফের অনুগত থেন ম্যাকডাফ এসে উপস্থিত হন।[১] দ্বাররক্ষক দরজা খুলে দেয়। ম্যাকবেথ তাঁদের রাজার কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে ম্যাকডাফ রাজার মৃতদেহ আবিষ্কার করেন। ছদ্মক্রোধে ম্যাকবেথ তৎক্ষণাৎ রাজপরিচারকদের হত্যা করেন। তাঁদের আত্মপক্ষ-সমর্থনের সুযোগটুকুও দেন না। ম্যাকডাফ সেই মুহুর্তেই ম্যাকবেথকে খুনি বলে সন্দেহ করেন। কিন্তু মুখে কিছুই বলেন না। প্রাণভয়ে ডানকানের দুই পুত্র পলায়ন করেন। জ্যেষ্ঠ পুত্র ম্যালকম ইংল্যান্ডে ও কনিষ্ঠ পুত্র ডোনালবেইন আয়ারল্যান্ডে চলে যান। ডানকানের বৈধ উত্তরাধিকারগণের এহেন পলায়নে স্বভাবতই সন্দেহের আঙুল তাদের দিকেই উঠতে থাকে। এই সুযোগে রাজার নিকটাত্মীয় হিসেবে ম্যাকবেথ নিজেকে স্কটল্যান্ডের নতুন রাজা ঘোষণা করেন।
ম্যাকবেথের সম্মুখে ব্যাঙ্কোর প্রেত; থিওডোর চেসারিয়া অঙ্কিত চিত্র।
এই সাফল্য সত্ত্বেও স্বস্তি পান না ম্যাকবেথ। ব্যাঙ্কো-সংক্রান্ত ভবিষ্যৎবাণীটি তাড়া করে ফেরে তাঁকে। এক রাজকীয় ভোজসভায় আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন যে সেই রাতেই ব্যাঙ্কো ও তাঁর পুত্র ফ্লিয়ান্স বাইরে যাচ্ছেন। এঁদের খুন করার জন্য দুজন গুপ্তঘাতক নিয়োগ করেন ম্যাকবেথ। হত্যার ঠিক পূর্বে অপর এক খুনি রহস্যজনকভাবে আবির্ভুত হয় ঘটনাস্থলে। ব্যাঙ্কো খুন হন। কিন্তু ফ্লিয়ান্স পালিয়ে যান। ভোজসভায় উপস্থিত হয় ব্যাঙ্কোর প্রেত। সে ম্যাকবেথের কাছে গিয়ে বসে। কেবল ম্যাকবেথই তাঁকে দেখতে পান। একটি খালি চেয়ার দেখে উত্তেজিত হয়ে উঠছেন ম্যাকবেথ। মরিয়া হয়ে লেডি ম্যাকবেথ অভ্যাগতদের চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
বিধ্বস্ত ম্যাকবেথ আবার যান ডাইনিদের কাছে। তাঁরা ভূত নামিয়ে আরও কিছু ভবিষ্যৎবাণী ও বিপদসংকেত উচ্চারণ করেন। ম্যাকবেথকে তাঁরা ম্যাকডাফের থেকে সাবধান হতে বলেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এও জানান যে নারীর যোনিসম্ভূত কেউ ম্যাকবেথকে হত্যা করতে পারবে না এবং যতদিন না বিশাল বার্নামের বন উচ্চ ডানসিনান পর্বতে তাঁর বিরুদ্ধে উপস্থিত হবে ততদিন তিনি অপরাজেয় থাকবেন। ম্যাকডাফ সেই সময় ইংল্যান্ডে ছিলেন। ম্যাকবেথ তাঁর প্রাসাদে গুপ্তঘাতক পাঠিয়ে তাঁর স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে হত্যা করেন।
এদিকে লেডি ম্যাকবেথ তাঁর ও তাঁর স্বামীর কৃত অপরাধের জন্য অপরাধবোধে ভুগতে থাকেন। একটি বিখ্যাত দৃশ্যে দেখা যায় যে তিনি ঘুমের মধ্যে হাঁটছেন আর তাঁর জানা ভয়ংকর সব কথা বলতে বলতে নিজের হাতের কাল্পনিক রক্তের দাগ মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন।
লেডি ম্যাকবেথ স্লিপওয়াকিং; হেনর ফুসেলি অঙ্কিত চিত্র।
ইংল্যান্ডে রস ম্যালকম এবং ম্যাকডাফকে লেডি ম্যাকডাফ ও তাঁর পুত্রের হত্যাকাণ্ডের সংবাদ দেন। অন্যদিকে ম্যাকবেথকে ষড়যন্ত্রকারী মনে করে তাঁর একাধিক থেন তাঁকে পরিত্যাগ করে চলে যান। ইংল্যান্ডের নর্দামব্রিয়ার আর্ল সিওয়ার্ড (দ্য এল্ডার)-কে সঙ্গে নিয়ে ম্যালকম ডানসিনান দুর্গে ম্যাকবেথের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু করেন।
বার্নামের বনে শিবির করার সময় সৈন্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়, নিজেদের সংখ্যা গোপন রাখতে তাঁরা যেন গাছের ডাল কেটে নিয়ে তার আড়ালে অগ্রসর হতে শুরু করে। এইভাবে ডাইনিদের আর একটি ভবিষ্যৎবাণী ফলে যায়। এদিকে লেডি ম্যাকবেথের মৃত্যুসংবাদ আসে। ম্যাকবেথ এই সময় একটি বিখ্যাত স্বগতোক্তি ("টুমরো, অ্যান্ড টুমরো, অ্যান্ড টুমরো") উচ্চারণ করলেন। লেডি ম্যাকবেথের মৃত্যুর কারণটি নাটকে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়নি। কোনো কোনো মতে, তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। সবশেষে ম্যালকম তাঁর সম্পর্কে বলেন, "'tis thought, by self and violent hands / took off her life"।
যুদ্ধে ইয়াং সিওয়ার্ড নিহত হন। ম্যাকডাফ ম্যাকবেথের মুখোমুখি হন। ম্যাকবেথ ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে বলেন যে নারীর যোনিসম্ভূত কেউ তাঁকে হত্যা করতে পারবে না। তখনই ম্যাকডাফ তাঁকে জানান যে তাঁকে "মায়ের জরায়ু থেকে অসময়ে তুলে আনা হয়েছিল" (অর্থাৎ, অস্ত্রোপচারের ফলে তাঁর জন্ম। এই কারণে তিনি অযোনিসম্ভূত)। ম্যাকবেথ বুঝতে পারেন যে ডাইনিরা তাকে ভুল পথে চালনা করেছে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ম্যাকডাফ ম্যাকবেথের শিরোচ্ছেদ করেন (এই দৃশ্যটি মঞ্চে অভিনীত হয়নি)। এইভাবে সর্বশেষ ভবিষ্যৎবাণীটি ফলে যায়।
এরপর ম্যালকম সিংহাসনে বসেন। ফ্লিয়ান্স রাজা হননি। কিন্তু ডাইনিরা ব্যাঙ্কোকে "রাজবংশের জনক হবেন" বলে যে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, শেকসপিয়রের সময়কালে তাও ফলে যায়। কারণ ইংল্যান্ডের প্রথম জেমসকে (অপর নামে স্কটল্যান্ডের ষষ্ঠ জেমস) ব্যাঙ্কোর বংশধর বলে মনে করা হয়।
উৎস[সম্পাদনা]
=

২। হ্যামলেটঃ কাহিনী সংক্ষেপ।
===========================

 


ডেনমার্কের কয়েকজন প্রহরী রাতের বেলা একটা প্রেতাত্মা দেখেছে।তারা হোরেশিওর মাধ্যমে রাজকুমার হ্যামলেটকে জানায় এ কথা।রাজকুমার হ্যমলেটের পিতা কিছুদিন আগে মারা গেছে।রাজ্যের ক্ষমতা নিয়েছে তার পিতার ভাই,ক্লডিয়াস। ক্লডিয়াস বিবাহ করেছে হ্যামলেটের মা, রাণী
গারট্রুডকে। প্রহরীদের সাথে প্রেতাত্মা দেখতে গেল হ্যামলেট। প্রেতাত্মাটা দেখতে হ্যামলেটের মৃত পিতার মতো। প্রেতাত্মার পিছে পিছে গেল হ্যামলেট তাকে অদ্ভুত কিছু কথা বলল প্রেতাত্মা।এক ষড়যন্ত্রের কথা বলল। হ্যামলেটের পিতার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি,তাকে খুন করা হয়েছে।এ কথা জেনে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ফুঁসতে থাকল হ্যামলেট।কিভাবে সেইবিশ্বাসঘাতকদের শায়েস্তা করবে ভাবতে লাগল।
=

৩। ওথেলোঃ
===============



ওথেলোর কাহিনী অনেকেই জানেন হয়ত। প্রধান চরিত্র ওথেলো একজন কৃষ্ণাঙ্গ মূর
সেনাপতি।তার জীবনের বেশিরভাগ অভিজ্ঞতা রনাঙ্গনের।
ডেসডিমোনার ভালবাসা তাকে মুগ্ধ আর বিস্মিত করে তোলে,সেখানে কামুকতা নেই।
ডেসডিমোনার অপরূপ সৌন্দর্য্য,তা যে শুধু দেহের নয় মনের ও তা বুঝতে আমাদের দেরী হয়না।
ইয়েগো খল চরিত্র। যার ছল আর প্রতিশোধস্পৃহার শিকার হয় ওথেলোর জীবন। বর্তমান পৃথিবীতে আমরা যাদের সাইকোটিক বলি এবং যাদের কুকর্মের জন্য তাদের সরাসরি দায়ী না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলতে হয়,তেমনি একজন ইয়েগো। আপাত ভাবে ওথেলোর ক্যাসিওকে সহ সেনাপতি করায় মূল কারন মনে হতে পারে,কিন্তু সে শুনেছে তার স্ত্রী এমিলিয়ার সাথে ওথেলোর গোপন সম্পর্কের কথা,আবার ক্যাসিও সম্পর্কেও এমন কিছু।ক্যাসিওর যে সহজাত সৌন্দর্য্য তা তাকে পীড়া দেয়। সব মিলিয়ে সে ঈর্ষার চরম প্রতীক। আত্মস্বার্থ উদ্ধার করতে গিয়ে সে মিথ্যে আর কূটচাল দিয়ে বিপর্যস্ত করে তোলে গোছানো জীবন। ওথেলোর মনে বিষ ঢুকিয়ে দেয় ডেসডিমোনা সম্পর্কে।
ভাগ্য ইয়েগোকে অকৃপন হাতে সাহায্য করে,অথচ সে নিজে ভাগ্যের মুখাপেক্ষী
নয়।ওথেলোর মত বীর্যবান কৃতী পুরুষ তাই বলে ওঠে,
'' But o vain boast
Who can control his fate?''
সবার কাছে অনেষ্ট ইয়েগো।নৈপুন্যের সাথে ধূর্ত সে অভিনয় করে চলে।সাহায্যের জন্য
তার দ্বারস্থ হয় ক্যাসিও,ওথেলো,রোডেরিগো,ডেসডিমোনা। ওথেলো প্রমান চাইলে
এমিলিয়ার মাধ্যমে হস্তগত রুমাল ক্যাসিওর ঘরে ফেলে আসে এবং ওথেলোর কাছে প্রমান করে ডেসডিমোনা ক্যাসিওকে তা ভালবেসে দিয়েছে । ওথেলোর দেয়া ভালবাসার নিদর্শন ছিল এই রুমালটি।
ডেসডিমোনার ট্র্যাজিক মৃত্যু করুন আর বিষাদের।বেশিরভাগ সময় সে নিষ্ক্রিয় তবু তার সারল্য,স্বভাবের মাধুর্য্য,নোংরা দিকের অজ্ঞতা,ওথেলোর প্রতি চূড়ান্ত ভালবাসা তাকে অন্যতম আকর্ষনীয় করেছে।
ডেসডিমোনা সংসার জীবনে অনভিজ্ঞ বলেই ওথেলোর ভেতরের ক্রোধ পড়তে পারার আগেই তাকে মৃত্যু বরন করতে হয়।শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার বাঁচার আকুতি আমাদের স্পর্শ করে। তাকে নির্বাসিত করার জন্য অনুরোধ করে ওথেলোকে।কিন্তু ওথেলো তখন উন্মত্ত।
অথচ এ দুটি চরিত্রের প্রতি তাদের রোমান্টিসিজমের প্রতি আমাদের আবেগ কখনো কমেনা। মৃত্যুর পূর্বে ও সে তার হত্যাকারী হিসেব স্বামীকে অভিযুক্ত করতে পারেনা।এমিলিয়ার প্রশ্নের উত্তরে তাই সে বলে,
Nobody- I myself, Farewell
Commend me to my kind lord. O farewell ;
ডেসডিমোনাকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলছে ওথেলো।
ওথেলোর কান্না কেবল শুরু-
এই হাত দিয়ে সে তার প্রিয়তমাকে হত্যা করেছে।
এমিলিয়ার কাছে যখন সে জানতে পারে ডেসডিমোনা ছিল নিষ্পাপ আর পবিত্র,এবং তার হত্যার বিচার করতে লোডোভিকো আসে তখন সে নিজেই ছুরির আঘাতে মৃত্যুকে বরন করে নেয়।নাটকের রক্তাক্ত সমাপ্তি ঘটে।
অবশ্য এ নাটকে সময় সমস্যা রয়েছে।অসঙ্গতিটাও সময় নিয়েই।হঠাৎ মনে হয় খুব অল্প সময়ের মধ্যে সব ঘটে যাচ্ছে,আবার কাহিনী মাঝে মাঝে দীর্ঘ সময় দাবী করে।যাই হোক সবমিলিয়ে ওথেলো চমৎকার একটি নাটক।শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আপনাকে আবেশিত করে রাখবে তাতে সন্দেহ নেই।
 .



4. অল’স ওয়েল দ্যাট এন্ডস ওয়েল:

==============================



রুসিলনের কাউন্টেসের পুত্র কাউন্ট বারট্র্যাম গিয়েছিলেন ফ্রান্সের রাজসভায়। তাঁকে মনে মনে ভালবাসত হেলেনা নামে একটি অনাথ মেয়ে। হেলেনার বাবা ছিলেন বিখ্যাত চিকিৎসক। তাঁর মৃত্যুর পর কাউন্টেস স্বয়ং হেলেনাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন নিজের কাছে। রূপে-গুণে হেলেনা আদর্শ নারী হলেও কাউন্ট কিন্তু হেলেনার প্রতি আকর্ষণ বোধ করতেন না। কারণ তিনি ছিলেন সম্ভ্রান্ত পুরুষ, আর হেলেনা ছিলেন সাধারণ ঘরের মেয়ে। এদিকে খবর এল, ফ্রান্সের রাজা খুবই অসুস্থ। এই খবর পেয়ে হেলেনা নিজে গেলেন প্যারিসে। বাবার কাছে শেখা বিদ্যার সাহায্যে সারিয়ে তুললেন রাজাকে। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ রাজা বললেন, হেলেনা নিজের ইচ্ছামতো তাঁর রাজ্যের যে কোনো পুরুষকে পতি হিসাবে গ্রহণ করতে পারবে। হেলেনা বেছে নিলেন বারট্র্যামকে। বারট্রাম এতে খুবই অসন্তুষ্ট হলেন। বিয়ের কিছুদিন পরেই প্যারোলেস নামে একটি বদমাশের সঙ্গে ফ্লোরেন্সে চলে গেলেন সেখানকার ডিউকের হয়ে যুদ্ধ করার জন্য।
হেলেনা কাউন্টসের কাছে ফিরে এল। কাউন্টেসকে চিঠি লিখে বারট্র্যাম জানিয়ে দিলে যে, যতদিন না হেলেনা তাঁর আঙুল থেকে তাঁদের পারিবারিক আংটিটি খুলে নিতে পারবে এবং তাঁর সন্তানকে গর্ভে ধারণ করতে পারবে, ততদিন তিনি হেলেনাকে তাঁর সত্যিকারের স্ত্রী বলে মেনে নেবেন না। সেই সঙ্গে বারট্রাম এও জানিয়ে দিলেন যে, এই দুইয়ের কোনোটাই কোনোদিন ঘটবে না। কাউন্টেস হেলেনাকে ভালবাসতেন। বারট্র্যামের সঙ্গে হেলেনার বিয়ে হওয়ায় তিনি খুবই খুশি হয়েছিলেন। তিনি হেলেনাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু দুঃখিনী হেলেনা স্থির করলেন যে, তিনি তীর্থে চলে যাবেন।
ইতোমধ্যে ফ্লোরেন্সে ডিউকের বাহিনীতে সেনাপতির দায়িত্ব পেলেন বারট্র্যাম। ফ্লোরেন্সে এসে হেলেনা দেখলেন যে, তাঁর স্বামী এক দয়ালু বিধবার কুমারী মেয়ের সতীত্ব নাশ করার চেষ্টা করছেন। মেয়েটির নাম ছিল ডায়ানা। হেলেনা এই ডায়ানার সাহায্য নিয়ে বারট্রামকে বোকা বানানোর ছক কষলেন। বারট্রাম ডায়ানাকে প্রণয়ের চিহ্নস্বরূপ তাঁর আংটিটি দিয়েছিলেন। রাতে ডায়ানার ঘরে লুকিয়ে রইলেন হেলেনা। নিজের অজ্ঞাতসারেই ডায়ানা মনে করে হেলেনার সঙ্গে সহবাস করলেন বারট্রাম। এই সময় সেনাবাহিনীর দুই লর্ড বারট্র্যামকে জানালেন যে, প্যারোলেস একটি কাপুরুষ ও খল। বারট্র্যাম প্যারোলেসের সঙ্গ ত্যাগ করলেন। এমন সময় ক্যাম্পে ভুয়ো এল যে, হেলেনা মারা গিয়েছেন। যেহেতু যুদ্ধও শেষ হয়ে এসেছিল, তাই বারট্র্যাম এই খবর পেয়ে ফ্রান্সে ফেরার কথা ভাবলেন। তাঁর অজ্ঞাতে হেলেনাও ডায়ানা ও তার মাকে নিয়ে যাত্রা করলেন ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে।
রুসিলনে হেলেনার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে সকলেই শোকপালন করছিলেন। রাজা রুসিলনে এলেন। লাফাউ নামে এক বৃদ্ধ অনুগত লর্ডের কন্যার সঙ্গে বারট্র্যামের বিবাহের সম্মতি দিলেন। এমন সময়, বারট্র্যামের আঙুলে একটি আংটি রাজার দৃষ্টি আকর্ষণ করল। আংটিটি ছিল হেলেনার। রাজা তাঁর জীবনরক্ষার উপহারস্বরূপ সেটি হেলেনাকে দিয়েছিলেন। (ফ্লোরেন্সে হেলেনা আংটিটি দেন ডায়ানাকে, যাতে ডায়ানা তাঁর প্রেমিকের আঙুলে আংটিটি পরিয়ে দিতে পারে।) বারট্র্যাম কিছুতেই বুঝতে পারলেন না যে, আংটিটি তাঁর হাতে কী করে এল। এমন সময় ডায়ানাকে নিয়ে তার মা উপস্থিত হয়ে সব কিছু ব্যাখ্যা করলেন। তাদের পিছনে পিছনে এলেন হেলেনাও। হেলেনা বললেন, তাঁর স্বামীর দেওয়া দুই শর্তই তিনি পূর্ণ করেছেন। বারট্র্যামের উপযুক্ত শিক্ষা হল। তিনি হেলেনাকে প্রতিশ্রুতি দিলেন যে, এবার থেকে ভালভাবে স্বামীর দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। তা দেখে সকলেই আনন্দ করতে লাগলেন।
=


5. জুলিয়াস সিজার:
==================




জুলিয়াস সিজার শেক্সপিয়ারের নাটকের মধ্যে মুখ্য চরিত্রে সিজারম, ব্রুটাস এবং অ্যান্টোনি। রোমের নেতা জুলিয়াস সিজার যুদ্ধ জয় করে দেশে ফিরেছেন। চারদিকে উত্সব, সিজারও উত্সবে যোগ দিতে চলেছেন। সঙ্গে বন্ধু অ্যান্টোনি। হঠাত্ পথের মাঝে এক দৈবগ্গ এগিয়ে এসে সিজারকে বলেন, আগামী ১৫ মার্চ আপনার সতর্ক থাকার দিন। সিজার দৈবগ্গের কথায় গুরুত্ব দেন না। কিন্তু দেশের একদল মানুষ তার এই খ্যাতি ও গৌরব দেখে রেগে ওঠে। তারা সিজারের প্রিয় বন্ধুকে উত্তেজিত করতে থাকে। সিজারের এই অপ্রতিহত ক্ষমতা যেমন করেই হোক খুন করতেই হবে। একদিন সিজার সবাইকে ক্রীতদাস হতে হবে। কিন্তু ব্রুটাস কোনো ষড়যন্ত্রে যোগ দিতে চাইছিলেন না। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীর দল নানাভাবে তাকে প্ররোচিত করতে থাকে। মানসিক দিক থেকে দুর্বল ব্রুটাস শেষ পর্যন্ত অসহায়ের মতো ষড়যন্ত্রকারীদের ইচ্ছের কাছেই আত্মসমর্পণ করেন। জুলিয়াস সিজার নাটকে ব্রুটাস হত্যাকারী বিশ্বাসঘাতক অন্তর্দ্বন্দ্ব, মানসিক দুর্বলতা, অন্তিম পরিণতি আমাদের মনকে বিষণ্ন করে তোলে।
/


6. রোমিও জুলিয়েট:
===============






ট্র্যাজেডি শেক্সপিয়ারের প্রথম ট্র্যাজেডি রোমিও জুলিয়েট। এতে আছে মানবজীবনের কোনো দন্দ্ব পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রামের যন্ত্রণা। রোমিও জুলিয়েটের জীবনে যে করুণ পরিণতি ঘটেছে তার জন্য দায়ী তার পারিবারিক বিবাদ।
দুটি পরিবার মনগুটে ও ক্যাপিউলেট। প্রভাব-প্রতিপত্তিতে কেউ কম যায় না। কিন্তু দুই পরিবারের মধ্যে তীব্র বিবাদ। সারাটা বছরই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই আছে। ক্যাপিউলেট পরিবারের কন্যা জুলিয়েট। অপরদিকে মন্টেগু পরিবারের সন্তান রোমিও, পরিবারের সবার চেয়ে আলাদা। একদিন দুজনের দেখা হয়। রূপে মুগ্ধ দুই তরুণ-তরুণী দুজনেই প্রেমের বাঁধনে বাধা পড়ে যায়। কিন্তু এই প্রেম তো দুই পরিবারের কেউ স্বীকার করেনি। তাই চলে গোপন অভিসার। কিন্তু মিলনের পথে বাধা এসে দাঁড়ায়। জুলিয়েটের বিবাহ স্থির হয় এক জায়গায়। অসহায় জুলিয়েট তার গুরু সন্ন্যাসীর কাছে সাহায্য চায় যেমন করেই হোক এই বিয়ে বন্ধ করতেই হবে। লরেন্স তাকে এক শিশি ওষুধ দেয়। সেই ওষুধের আচ্ছন্ন প্রভাবে গভীর ঘুমে নিমগ্ন্ন হয়ে পড়বে জুলিয়েট। মনে হবে মারা গেছে। সেইভাবে থাকবে বিয়াল্লিশ ঘণ্টা। তাকে সমাধি দেয়া হবে। এই ঘটনা জানবে শুধু রোমিও। যখন জুলিয়েটের ঘুম ভাঙবে, দুজনে পালিয়ে যাবে। বিয়ের রাতেই জুলিয়েট সেই ওষুধ খায়, মৃত মনে করে সমস্ত প্রাসাদে কান্নার রোল ওঠে। বিয়ের সাজেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়। অসাধারণত্বের জন্য রোমিও জুলিয়েট যুগ যুগ ধরে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে।
==============