
ইংরেজি সাহিত্যের সেক্সপিয়র থেকে ১-২ প্রশ্ন আসেই । তাঁর যেসব গুরুত্বপূর্ণ রচনাবলী যেমন:
ম্যাকবেথ ,হ্যামলেট, ওথেলো, জুলিয়াস সিজার, রোমিও জুলিয়েট এর সংক্ষিপ্ত কাহিনী দেওয়া হলো । আশা করি সবার কাজে লাগবে :
সূত্র- উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট ।
=========
ম্যাকবেথঃ
===================

নাটকের প্রথম দৃশ্যে তিন ডাইনি এক ঊষর প্রান্তরে মিলিত হন। স্থির করেন যে তাঁরা দেখা দেবেন ম্যাকবেথকে। পরবর্তী দৃশ্যে স্কটল্যান্ডের রাজা ডানকানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এক আহত ক্যাপ্টেনের। সেই ক্যাপ্টেন তাঁকে জানান যে তাঁর দুই সেনানায়ক ম্যাকবেথ ও ব্যাঙ্কো এইমাত্র বিদ্রোহী ম্যাকডোনাল্ডের নেতৃত্বাধীন নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ডের যৌথবাহিনীকে পরাস্ত করেছিলেন। ক্যাপ্টেন রাজার আত্মীয় তথা গ্লেমিসের থেন ম্যাকবেথের শৌর্য ও বীর্যের বিশেষ প্রশংসাও করেন।
দৃশ্য বদল হয়। আবহাওয়া ও নিজেদের বিজয় সম্পর্কে আলোচনা করতে করতে প্রবেশ করেন ম্যাকবেথ ও ব্যাঙ্কো ("So foul and fair a day I have not seen")। এক ঊষর প্রান্তরের পথে তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় তিন ডাইনির। ম্যাকবেথ ও ব্যাঙ্কোকে অভিবাদন জানিয়ে তাঁরা তিনটি ভবিষ্যৎবাণী উচ্চারণ করেন। ব্যাঙ্কো তাঁদের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করলে তাঁরা ম্যাকবেথকে অভিবাদন জানান। পরপর তিনটি অভিবাদনে ডাইনিরা প্রথমে ম্যাকবেথকে "থেন অফ গ্লেমিস", তারপর "থেন অফ কডর" ও শেষে "বি কিং হিয়ারআফটার" বলে উল্লেখ করেন। স্তম্ভিত ম্যাকবেথ চুপ করে যান। তবে ব্যাঙ্কো আবার তাঁদের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেন। তখন ডাইনিরা তাঁকে জানান যে ব্যাঙ্কো নিজে রাজা না হলেও রাজবংশের জনক হবেন। এই ভবিষ্যৎবাণীগুলি
ম্যাকবেথ একটি চিঠিতে তাঁর স্ত্রীকে ডাইনিদের ভবিষ্যৎবাণীগুলি
আতিথ্যগ্রহণের রাত্রিতেই ম্যাকবেথ হত্যা করেন ডানকানকে। হত্যার ঘটনাটি মঞ্চে দৃশ্যায়িত করা হয়নি। হত্যার পর ম্যাকবেথ মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে লেডি ম্যাকবেথকে আসরে নেমে অবস্থা সামাল দিতে হয়। ষড়যন্ত্রমাফিক,
ম্যাকবেথের সম্মুখে ব্যাঙ্কোর প্রেত; থিওডোর চেসারিয়া অঙ্কিত চিত্র।
এই সাফল্য সত্ত্বেও স্বস্তি পান না ম্যাকবেথ। ব্যাঙ্কো-সংক্রা
বিধ্বস্ত ম্যাকবেথ আবার যান ডাইনিদের কাছে। তাঁরা ভূত নামিয়ে আরও কিছু ভবিষ্যৎবাণী ও বিপদসংকেত উচ্চারণ করেন। ম্যাকবেথকে তাঁরা ম্যাকডাফের থেকে সাবধান হতে বলেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এও জানান যে নারীর যোনিসম্ভূত কেউ ম্যাকবেথকে হত্যা করতে পারবে না এবং যতদিন না বিশাল বার্নামের বন উচ্চ ডানসিনান পর্বতে তাঁর বিরুদ্ধে উপস্থিত হবে ততদিন তিনি অপরাজেয় থাকবেন। ম্যাকডাফ সেই সময় ইংল্যান্ডে ছিলেন। ম্যাকবেথ তাঁর প্রাসাদে গুপ্তঘাতক পাঠিয়ে তাঁর স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে হত্যা করেন।
এদিকে লেডি ম্যাকবেথ তাঁর ও তাঁর স্বামীর কৃত অপরাধের জন্য অপরাধবোধে ভুগতে থাকেন। একটি বিখ্যাত দৃশ্যে দেখা যায় যে তিনি ঘুমের মধ্যে হাঁটছেন আর তাঁর জানা ভয়ংকর সব কথা বলতে বলতে নিজের হাতের কাল্পনিক রক্তের দাগ মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন।
লেডি ম্যাকবেথ স্লিপওয়াকিং; হেনর ফুসেলি অঙ্কিত চিত্র।
ইংল্যান্ডে রস ম্যালকম এবং ম্যাকডাফকে লেডি ম্যাকডাফ ও তাঁর পুত্রের হত্যাকাণ্ডের সংবাদ দেন। অন্যদিকে ম্যাকবেথকে ষড়যন্ত্রকারী মনে করে তাঁর একাধিক থেন তাঁকে পরিত্যাগ করে চলে যান। ইংল্যান্ডের নর্দামব্রিয়ার আর্ল সিওয়ার্ড (দ্য এল্ডার)-কে সঙ্গে নিয়ে ম্যালকম ডানসিনান দুর্গে ম্যাকবেথের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু করেন।
বার্নামের বনে শিবির করার সময় সৈন্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়, নিজেদের সংখ্যা গোপন রাখতে তাঁরা যেন গাছের ডাল কেটে নিয়ে তার আড়ালে অগ্রসর হতে শুরু করে। এইভাবে ডাইনিদের আর একটি ভবিষ্যৎবাণী ফলে যায়। এদিকে লেডি ম্যাকবেথের মৃত্যুসংবাদ আসে। ম্যাকবেথ এই সময় একটি বিখ্যাত স্বগতোক্তি ("টুমরো, অ্যান্ড টুমরো, অ্যান্ড টুমরো") উচ্চারণ করলেন। লেডি ম্যাকবেথের মৃত্যুর কারণটি নাটকে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়নি। কোনো কোনো মতে, তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। সবশেষে ম্যালকম তাঁর সম্পর্কে বলেন, "'tis thought, by self and violent hands / took off her life"।
যুদ্ধে ইয়াং সিওয়ার্ড নিহত হন। ম্যাকডাফ ম্যাকবেথের মুখোমুখি হন। ম্যাকবেথ ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে বলেন যে নারীর যোনিসম্ভূত কেউ তাঁকে হত্যা করতে পারবে না। তখনই ম্যাকডাফ তাঁকে জানান যে তাঁকে "মায়ের জরায়ু থেকে অসময়ে তুলে আনা হয়েছিল" (অর্থাৎ, অস্ত্রোপচারের ফলে তাঁর জন্ম। এই কারণে তিনি অযোনিসম্ভূত)। ম্যাকবেথ বুঝতে পারেন যে ডাইনিরা তাকে ভুল পথে চালনা করেছে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ম্যাকডাফ ম্যাকবেথের শিরোচ্ছেদ করেন (এই দৃশ্যটি মঞ্চে অভিনীত হয়নি)। এইভাবে সর্বশেষ ভবিষ্যৎবাণীটি ফলে যায়।
এরপর ম্যালকম সিংহাসনে বসেন। ফ্লিয়ান্স রাজা হননি। কিন্তু ডাইনিরা ব্যাঙ্কোকে "রাজবংশের জনক হবেন" বলে যে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, শেকসপিয়রের সময়কালে তাও ফলে যায়। কারণ ইংল্যান্ডের প্রথম জেমসকে (অপর নামে স্কটল্যান্ডের ষষ্ঠ জেমস) ব্যাঙ্কোর বংশধর বলে মনে করা হয়।
উৎস[সম্পাদনা]
=
২। হ্যামলেটঃ কাহিনী সংক্ষেপ।
===============

ডেনমার্কের কয়েকজন প্রহরী রাতের বেলা একটা প্রেতাত্মা দেখেছে।তারা হোরেশিওর মাধ্যমে রাজকুমার হ্যামলেটকে জানায় এ কথা।রাজকুমার হ্যমলেটের পিতা কিছুদিন আগে মারা গেছে।রাজ্যের ক্ষমতা নিয়েছে তার পিতার ভাই,ক্লডিয়াস। ক্লডিয়াস বিবাহ করেছে হ্যামলেটের মা, রাণী
গারট্রুডকে। প্রহরীদের সাথে প্রেতাত্মা দেখতে গেল হ্যামলেট। প্রেতাত্মাটা দেখতে হ্যামলেটের মৃত পিতার মতো। প্রেতাত্মার পিছে পিছে গেল হ্যামলেট তাকে অদ্ভুত কিছু কথা বলল প্রেতাত্মা।এক ষড়যন্ত্রের কথা বলল। হ্যামলেটের পিতার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি,তাকে খুন করা হয়েছে।এ কথা জেনে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ফুঁসতে থাকল হ্যামলেট।কিভাবে
=
৩। ওথেলোঃ
===============

ওথেলোর কাহিনী অনেকেই জানেন হয়ত। প্রধান চরিত্র ওথেলো একজন কৃষ্ণাঙ্গ মূর
সেনাপতি।তার জীবনের বেশিরভাগ অভিজ্ঞতা রনাঙ্গনের।
ডেসডিমোনার ভালবাসা তাকে মুগ্ধ আর বিস্মিত করে তোলে,সেখানে কামুকতা নেই।
ডেসডিমোনার অপরূপ সৌন্দর্য্য,তা যে শুধু দেহের নয় মনের ও তা বুঝতে আমাদের দেরী হয়না।
ইয়েগো খল চরিত্র। যার ছল আর প্রতিশোধস্পৃহার
ভাগ্য ইয়েগোকে অকৃপন হাতে সাহায্য করে,অথচ সে নিজে ভাগ্যের মুখাপেক্ষী
নয়।ওথেলোর মত বীর্যবান কৃতী পুরুষ তাই বলে ওঠে,
'' But o vain boast
Who can control his fate?''
সবার কাছে অনেষ্ট ইয়েগো।নৈপুন্যের
তার দ্বারস্থ হয় ক্যাসিও,ওথেলো,র
এমিলিয়ার মাধ্যমে হস্তগত রুমাল ক্যাসিওর ঘরে ফেলে আসে এবং ওথেলোর কাছে প্রমান করে ডেসডিমোনা ক্যাসিওকে তা ভালবেসে দিয়েছে । ওথেলোর দেয়া ভালবাসার নিদর্শন ছিল এই রুমালটি।
ডেসডিমোনার ট্র্যাজিক মৃত্যু করুন আর বিষাদের।বেশিরভা
ডেসডিমোনা সংসার জীবনে অনভিজ্ঞ বলেই ওথেলোর ভেতরের ক্রোধ পড়তে পারার আগেই তাকে মৃত্যু বরন করতে হয়।শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার বাঁচার আকুতি আমাদের স্পর্শ করে। তাকে নির্বাসিত করার জন্য অনুরোধ করে ওথেলোকে।কিন্তু ওথেলো তখন উন্মত্ত।
অথচ এ দুটি চরিত্রের প্রতি তাদের রোমান্টিসিজমের প্রতি আমাদের আবেগ কখনো কমেনা। মৃত্যুর পূর্বে ও সে তার হত্যাকারী হিসেব স্বামীকে অভিযুক্ত করতে পারেনা।এমিলিয়ার
Nobody- I myself, Farewell
Commend me to my kind lord. O farewell ;
ডেসডিমোনাকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলছে ওথেলো।
ওথেলোর কান্না কেবল শুরু-
এই হাত দিয়ে সে তার প্রিয়তমাকে হত্যা করেছে।
এমিলিয়ার কাছে যখন সে জানতে পারে ডেসডিমোনা ছিল নিষ্পাপ আর পবিত্র,এবং তার হত্যার বিচার করতে লোডোভিকো আসে তখন সে নিজেই ছুরির আঘাতে মৃত্যুকে বরন করে নেয়।নাটকের রক্তাক্ত সমাপ্তি ঘটে।
অবশ্য এ নাটকে সময় সমস্যা রয়েছে।অসঙ্গতিটা
.
4. অল’স ওয়েল দ্যাট এন্ডস ওয়েল:
===============

রুসিলনের কাউন্টেসের পুত্র কাউন্ট বারট্র্যাম গিয়েছিলেন ফ্রান্সের রাজসভায়। তাঁকে মনে মনে ভালবাসত হেলেনা নামে একটি অনাথ মেয়ে। হেলেনার বাবা ছিলেন বিখ্যাত চিকিৎসক। তাঁর মৃত্যুর পর কাউন্টেস স্বয়ং হেলেনাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন নিজের কাছে। রূপে-গুণে হেলেনা আদর্শ নারী হলেও কাউন্ট কিন্তু হেলেনার প্রতি আকর্ষণ বোধ করতেন না। কারণ তিনি ছিলেন সম্ভ্রান্ত পুরুষ, আর হেলেনা ছিলেন সাধারণ ঘরের মেয়ে। এদিকে খবর এল, ফ্রান্সের রাজা খুবই অসুস্থ। এই খবর পেয়ে হেলেনা নিজে গেলেন প্যারিসে। বাবার কাছে শেখা বিদ্যার সাহায্যে সারিয়ে তুললেন রাজাকে। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ রাজা বললেন, হেলেনা নিজের ইচ্ছামতো তাঁর রাজ্যের যে কোনো পুরুষকে পতি হিসাবে গ্রহণ করতে পারবে। হেলেনা বেছে নিলেন বারট্র্যামকে। বারট্রাম এতে খুবই অসন্তুষ্ট হলেন। বিয়ের কিছুদিন পরেই প্যারোলেস নামে একটি বদমাশের সঙ্গে ফ্লোরেন্সে চলে গেলেন সেখানকার ডিউকের হয়ে যুদ্ধ করার জন্য।
হেলেনা কাউন্টসের কাছে ফিরে এল। কাউন্টেসকে চিঠি লিখে বারট্র্যাম জানিয়ে দিলে যে, যতদিন না হেলেনা তাঁর আঙুল থেকে তাঁদের পারিবারিক আংটিটি খুলে নিতে পারবে এবং তাঁর সন্তানকে গর্ভে ধারণ করতে পারবে, ততদিন তিনি হেলেনাকে তাঁর সত্যিকারের স্ত্রী বলে মেনে নেবেন না। সেই সঙ্গে বারট্রাম এও জানিয়ে দিলেন যে, এই দুইয়ের কোনোটাই কোনোদিন ঘটবে না। কাউন্টেস হেলেনাকে ভালবাসতেন। বারট্র্যামের সঙ্গে হেলেনার বিয়ে হওয়ায় তিনি খুবই খুশি হয়েছিলেন। তিনি হেলেনাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু দুঃখিনী হেলেনা স্থির করলেন যে, তিনি তীর্থে চলে যাবেন।
ইতোমধ্যে ফ্লোরেন্সে ডিউকের বাহিনীতে সেনাপতির দায়িত্ব পেলেন বারট্র্যাম। ফ্লোরেন্সে এসে হেলেনা দেখলেন যে, তাঁর স্বামী এক দয়ালু বিধবার কুমারী মেয়ের সতীত্ব নাশ করার চেষ্টা করছেন। মেয়েটির নাম ছিল ডায়ানা। হেলেনা এই ডায়ানার সাহায্য নিয়ে বারট্রামকে বোকা বানানোর ছক কষলেন। বারট্রাম ডায়ানাকে প্রণয়ের চিহ্নস্বরূপ তাঁর আংটিটি দিয়েছিলেন। রাতে ডায়ানার ঘরে লুকিয়ে রইলেন হেলেনা। নিজের অজ্ঞাতসারেই ডায়ানা মনে করে হেলেনার সঙ্গে সহবাস করলেন বারট্রাম। এই সময় সেনাবাহিনীর দুই লর্ড বারট্র্যামকে জানালেন যে, প্যারোলেস একটি কাপুরুষ ও খল। বারট্র্যাম প্যারোলেসের সঙ্গ ত্যাগ করলেন। এমন সময় ক্যাম্পে ভুয়ো এল যে, হেলেনা মারা গিয়েছেন। যেহেতু যুদ্ধও শেষ হয়ে এসেছিল, তাই বারট্র্যাম এই খবর পেয়ে ফ্রান্সে ফেরার কথা ভাবলেন। তাঁর অজ্ঞাতে হেলেনাও ডায়ানা ও তার মাকে নিয়ে যাত্রা করলেন ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে।
রুসিলনে হেলেনার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে সকলেই শোকপালন করছিলেন। রাজা রুসিলনে এলেন। লাফাউ নামে এক বৃদ্ধ অনুগত লর্ডের কন্যার সঙ্গে বারট্র্যামের বিবাহের সম্মতি দিলেন। এমন সময়, বারট্র্যামের আঙুলে একটি আংটি রাজার দৃষ্টি আকর্ষণ করল। আংটিটি ছিল হেলেনার। রাজা তাঁর জীবনরক্ষার উপহারস্বরূপ সেটি হেলেনাকে দিয়েছিলেন। (ফ্লোরেন্সে হেলেনা আংটিটি দেন ডায়ানাকে, যাতে ডায়ানা তাঁর প্রেমিকের আঙুলে আংটিটি পরিয়ে দিতে পারে।) বারট্র্যাম কিছুতেই বুঝতে পারলেন না যে, আংটিটি তাঁর হাতে কী করে এল। এমন সময় ডায়ানাকে নিয়ে তার মা উপস্থিত হয়ে সব কিছু ব্যাখ্যা করলেন। তাদের পিছনে পিছনে এলেন হেলেনাও। হেলেনা বললেন, তাঁর স্বামীর দেওয়া দুই শর্তই তিনি পূর্ণ করেছেন। বারট্র্যামের উপযুক্ত শিক্ষা হল। তিনি হেলেনাকে প্রতিশ্রুতি দিলেন যে, এবার থেকে ভালভাবে স্বামীর দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। তা দেখে সকলেই আনন্দ করতে লাগলেন।
=
5. জুলিয়াস সিজার:
===============

জুলিয়াস সিজার শেক্সপিয়ারের নাটকের মধ্যে মুখ্য চরিত্রে সিজারম, ব্রুটাস এবং অ্যান্টোনি। রোমের নেতা জুলিয়াস সিজার যুদ্ধ জয় করে দেশে ফিরেছেন। চারদিকে উত্সব, সিজারও উত্সবে যোগ দিতে চলেছেন। সঙ্গে বন্ধু অ্যান্টোনি। হঠাত্ পথের মাঝে এক দৈবগ্গ এগিয়ে এসে সিজারকে বলেন, আগামী ১৫ মার্চ আপনার সতর্ক থাকার দিন। সিজার দৈবগ্গের কথায় গুরুত্ব দেন না। কিন্তু দেশের একদল মানুষ তার এই খ্যাতি ও গৌরব দেখে রেগে ওঠে। তারা সিজারের প্রিয় বন্ধুকে উত্তেজিত করতে থাকে। সিজারের এই অপ্রতিহত ক্ষমতা যেমন করেই হোক খুন করতেই হবে। একদিন সিজার সবাইকে ক্রীতদাস হতে হবে। কিন্তু ব্রুটাস কোনো ষড়যন্ত্রে যোগ দিতে চাইছিলেন না। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীর দল নানাভাবে তাকে প্ররোচিত করতে থাকে। মানসিক দিক থেকে দুর্বল ব্রুটাস শেষ পর্যন্ত অসহায়ের মতো ষড়যন্ত্রকারীদের
/
6. রোমিও জুলিয়েট:
===============

ট্র্যাজেডি শেক্সপিয়ারের প্রথম ট্র্যাজেডি রোমিও জুলিয়েট। এতে আছে মানবজীবনের কোনো দন্দ্ব পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রামের যন্ত্রণা। রোমিও জুলিয়েটের জীবনে যে করুণ পরিণতি ঘটেছে তার জন্য দায়ী তার পারিবারিক বিবাদ।
দুটি পরিবার মনগুটে ও ক্যাপিউলেট। প্রভাব-প্রতিপত্
==============