ইংরেজি সাহিত্য
কবি পরিচিতি:
John Milton
জন্ম: ৯ ডিসেম্বর ১৬০৮
মৃত্যু: ৮ নভেম্বর ১৬৭৪
জন মিল্টন ১৬০৮ সালের ৯ ডিসেম্বর লন্ডনের ব্রীড স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সিনিয়র জন মিলটন ও মা সারাহ জেফরি। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার দিকে ছিল তার প্রবল আসক্তি।প্রথমে মিলটনকে সেইন্ট পল স্কুলে ভর্তি করা হয়। এখানে গ্রীক ও ল্যাটিন ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন তিনি। এরপরে কেম্ব্রিজের ক্রাইস্ট কলেজে ভর্তি হন এবং তারপর কেম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করেন। ১৬৩২ সালে স্নাতকোত্তর লাভ করার পর তিনি পিতার কাছে হার্টনে চলে যান চার্চের পাদ্রী হওয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তুু পরে সেই ইচ্ছা পরিত্যাগ করেন। ১৬৩৭ সালে মায়ের মৃত্যুর পর তিনি বেরিয়ে পড়েন দেশ ভ্রমণে। ভ্রমন করেন প্যারিস, জেনোয়া, ফ্লোরেন্স ও রোমে। রোমে প্রবাসী জীবনের বেশিরভাগ সময় তার কাটে ভ্যাটিকান লাইব্রেরিতে বসে। মিলটন দেখা করেন গ্যালিলিওর সাথে। এরপরে মিলটন নেপলস যান।
তৎকালীন রাজা প্রথম চার্লস ছিলেন চার্চের শাসনে বিশ্বাসী। সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মূল উৎস হয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান চার্চ পরিণত হয়েছিল দুর্নীতির আখড়ায়। জাতির এই দুর্দিনে মিলটন দূরে থাকতে পারলেন না। ১৬৪০ থেকে ১৬৬০ সাল পর্যন্ত, ২০ বছর মিলটন সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে একজন কট্টর বিপ্লবীর ভূমিকা পালন করেন। তার শক্তিশালী লেখনী এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে তার মতামত সেদিন বিপ্লবের শক্তি যুগিয়েছিল। বিপ্লবের প্রচন্ডতায় শেষমেষ রাজশক্তি হার মানলো। রাজা চার্লসের জনসমক্ষে শিরচ্ছেদ করা হলো। ১৬৪৯ সালে রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে মিলটন ল্যাটিন সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত হলেন।
এই সময় মিলটনের জীবনে দুর্ভোগ নেমে এলো। তিনি দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসলেন। অবশ্য ছোটবেলা থেকেই তার দৃষ্টিশক্তি একটু করে ক্ষীণ হয়ে আসছিল। ১৬৫২ সালে দৃষ্টি হারিয়ে পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গেলেন মিলটন।
১৬৬০ সালে ক্রমওয়েলের মৃত্যুর পর প্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্রের অবসান ঘটলো এবং রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলো। প্রথম চার্লসের পুত্র দ্বিতীয় চার্লস সিংহাসনে বসলেন। মিলটন হলেন পদচ্যুত। তার সমস্ত রচনা আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হলো। অন্ধত্বের জন্য রাজরোষ থেকে কোনোরকমে মুক্তি পেলেন তিনি। লন্ডনের অদূরে এক গ্রামের ছোট্ট কুটিরে পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয় নিলেন মিলটন।অন্ধ অবস্থাতেই এক পর্ণকুটিরে বসে রচনা করলেন দুই কালজয়ী মহাকাব্য "Paradise Lost" আর ‘Paradise Regained ’। বৃদ্ধ, অন্ধ মিলটন মুখে বলে যেতেন, আর তার হয়ে লিপিবদ্ধ করতো তার কন্যা দিবোরা।
মিলটনের বয়স যখন ৩৪ তিনি ১৬ বছর বয়সের মেরী পাওয়েলকে বিয়ে করেন। বিয়ের এক মাস পরেই মেরী চলে গেলেন বাবার বাড়ি ফিরে এলেন তিন বছর পর। কিন্তু নিজের স্বভাবগত কঠোরতা নিয়ে ঠিক মন থেকে স্ত্রীকে ক্ষমা করতে পারেননি মিলটন । ১৬৫২ সালে মেরী মারা যান। ১৬৫৬ সালে মিলটন ক্যাথরিন উডকে বিয়ে করেন। কিন্তু এক বছর না যেতেই তিনিও মারা যান। তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে মিলটন গ্রহণ করেন এলিজাবেথ মিনসেলকে। এলিজাবেথ তেমন উচ্চশিক্ষিত ছিলেন না। তা সত্ত্বেও প্রয়োজন অনুযায়ী স্বামীর অনেক লেখা লিখে দিতেন। মিলটন তার শেষ রচনাটি এলিজাবেথকে উৎসর্গ করে যান।
মিলটন English, France, Latin, German, Greek, Hebrew, Italian, Spanish, Aramaic ওSyriac ভাষায় দক্ষ ছিলেন।
১৬৭৪ সালের ৮ নভেম্বর কবি জন মিলট মৃত্যু বরন করেন।
সাহিত্যকর্ম :
Arcedis
Lycidas
Paradise Lost
Paradise Regained
Samson Agonistes
Areopagitica
Comus (নৃত্যনাট্য)
On Shakespeare ( প্রবন্ধ)
On Arriving at the age of Twenty-three ( প্রবন্ধ)
Of education( প্রবন্ধ)
The Agreement of the People (রাজনৈতিক প্রবন্ধ)
**********-----
-----********** *---------***** ****
# He is a poet of Puritan / Caroline Age.
# He is Known as "Epic Poet".
# He is also known as "Great Master of Verse".
#"Paradise Lost" is written in blank verse.
# 'Paradise Lost' attempted to justify the ways of God to man.
*********------ -**********---- ---************
কবি পরিচিতি:

John Milton
জন্ম: ৯ ডিসেম্বর ১৬০৮
মৃত্যু: ৮ নভেম্বর ১৬৭৪
জন মিল্টন ১৬০৮ সালের ৯ ডিসেম্বর লন্ডনের ব্রীড স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সিনিয়র জন মিলটন ও মা সারাহ জেফরি। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার দিকে ছিল তার প্রবল আসক্তি।প্রথমে মিলটনকে সেইন্ট পল স্কুলে ভর্তি করা হয়। এখানে গ্রীক ও ল্যাটিন ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন তিনি। এরপরে কেম্ব্রিজের ক্রাইস্ট কলেজে ভর্তি হন এবং তারপর কেম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করেন। ১৬৩২ সালে স্নাতকোত্তর লাভ করার পর তিনি পিতার কাছে হার্টনে চলে যান চার্চের পাদ্রী হওয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তুু পরে সেই ইচ্ছা পরিত্যাগ করেন। ১৬৩৭ সালে মায়ের মৃত্যুর পর তিনি বেরিয়ে পড়েন দেশ ভ্রমণে। ভ্রমন করেন প্যারিস, জেনোয়া, ফ্লোরেন্স ও রোমে। রোমে প্রবাসী জীবনের বেশিরভাগ সময় তার কাটে ভ্যাটিকান লাইব্রেরিতে বসে। মিলটন দেখা করেন গ্যালিলিওর সাথে। এরপরে মিলটন নেপলস যান।
তৎকালীন রাজা প্রথম চার্লস ছিলেন চার্চের শাসনে বিশ্বাসী। সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মূল উৎস হয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান চার্চ পরিণত হয়েছিল দুর্নীতির আখড়ায়। জাতির এই দুর্দিনে মিলটন দূরে থাকতে পারলেন না। ১৬৪০ থেকে ১৬৬০ সাল পর্যন্ত, ২০ বছর মিলটন সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে একজন কট্টর বিপ্লবীর ভূমিকা পালন করেন। তার শক্তিশালী লেখনী এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে তার মতামত সেদিন বিপ্লবের শক্তি যুগিয়েছিল। বিপ্লবের প্রচন্ডতায় শেষমেষ রাজশক্তি হার মানলো। রাজা চার্লসের জনসমক্ষে শিরচ্ছেদ করা হলো। ১৬৪৯ সালে রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে মিলটন ল্যাটিন সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত হলেন।
এই সময় মিলটনের জীবনে দুর্ভোগ নেমে এলো। তিনি দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসলেন। অবশ্য ছোটবেলা থেকেই তার দৃষ্টিশক্তি একটু করে ক্ষীণ হয়ে আসছিল। ১৬৫২ সালে দৃষ্টি হারিয়ে পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গেলেন মিলটন।
১৬৬০ সালে ক্রমওয়েলের মৃত্যুর পর প্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্রের অবসান ঘটলো এবং রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলো। প্রথম চার্লসের পুত্র দ্বিতীয় চার্লস সিংহাসনে বসলেন। মিলটন হলেন পদচ্যুত। তার সমস্ত রচনা আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হলো। অন্ধত্বের জন্য রাজরোষ থেকে কোনোরকমে মুক্তি পেলেন তিনি। লন্ডনের অদূরে এক গ্রামের ছোট্ট কুটিরে পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয় নিলেন মিলটন।অন্ধ অবস্থাতেই এক পর্ণকুটিরে বসে রচনা করলেন দুই কালজয়ী মহাকাব্য "Paradise Lost" আর ‘Paradise Regained ’। বৃদ্ধ, অন্ধ মিলটন মুখে বলে যেতেন, আর তার হয়ে লিপিবদ্ধ করতো তার কন্যা দিবোরা।
মিলটনের বয়স যখন ৩৪ তিনি ১৬ বছর বয়সের মেরী পাওয়েলকে বিয়ে করেন। বিয়ের এক মাস পরেই মেরী চলে গেলেন বাবার বাড়ি ফিরে এলেন তিন বছর পর। কিন্তু নিজের স্বভাবগত কঠোরতা নিয়ে ঠিক মন থেকে স্ত্রীকে ক্ষমা করতে পারেননি মিলটন । ১৬৫২ সালে মেরী মারা যান। ১৬৫৬ সালে মিলটন ক্যাথরিন উডকে বিয়ে করেন। কিন্তু এক বছর না যেতেই তিনিও মারা যান। তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে মিলটন গ্রহণ করেন এলিজাবেথ মিনসেলকে। এলিজাবেথ তেমন উচ্চশিক্ষিত ছিলেন না। তা সত্ত্বেও প্রয়োজন অনুযায়ী স্বামীর অনেক লেখা লিখে দিতেন। মিলটন তার শেষ রচনাটি এলিজাবেথকে উৎসর্গ করে যান।
মিলটন English, France, Latin, German, Greek, Hebrew, Italian, Spanish, Aramaic ওSyriac ভাষায় দক্ষ ছিলেন।
১৬৭৪ সালের ৮ নভেম্বর কবি জন মিলট মৃত্যু বরন করেন।
সাহিত্যকর্ম :
Arcedis
Lycidas
Paradise Lost
Paradise Regained
Samson Agonistes
Areopagitica
Comus (নৃত্যনাট্য)
On Shakespeare ( প্রবন্ধ)
On Arriving at the age of Twenty-three ( প্রবন্ধ)
Of education( প্রবন্ধ)
The Agreement of the People (রাজনৈতিক প্রবন্ধ)
**********-----
# He is a poet of Puritan / Caroline Age.
# He is Known as "Epic Poet".
# He is also known as "Great Master of Verse".
#"Paradise Lost" is written in blank verse.
# 'Paradise Lost' attempted to justify the ways of God to man.
*********------