Dream to BCS

Think positive, Be positive, Do positive

বাংলা ব্যাকরণের প্রকারভেদ সমূহ:


বাংলা ব্যাকরণের প্রকারভেদ সমূহ:
.==========================
১। বাংলা ভাষা কত প্রকার ?
= ২প্রকার । ক. মৌলিক খ. লৈখিক । মৌখিক ভাষা : ২ প্রকার : মান মৌখিক ও আঞ্চলিক । লৈখিক ভাষা দুই প্রকার । যথা : সাধু ও চলিত ( এদের বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য, রুপ দেখে নিন , ।
২। ব্যাকরণে সাধারণ আলোচ্য বিষয় কয়টি ?
= ৩টি । যথা : ধ্বনিতত্ত্ব , শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব এবং বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম । (সূত্র : সৌমিত্র শেখরের সাহিত্য জিজ্ঞাসা ) । ৯-১০ শ্রেণির বই অর্থতত্ত্ব সহ ৪টির কথা আছে । ব্যাকরণের বিভিন্ন বিষয় কে কোনটিতে আলোচিত হয় দেখে নিন )
৩। ব্যাকরণে সার্বিক আলোচ্য বিষয় কয়টি ?
= ৬টি । ধ্বনিতত্ত্ব , শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব , বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম , ছন্দ ও অলঙ্কার প্রকরণ , বাগর্থ বিজ্ঞান বা অর্থতত্ত্ব , অভিধানতত্ত্ব ।
৪। বাংলা ভাষায় মৌলিক ধ্বনিগুলো কয়ভাগে বিভক্ত ?
= ২ ভাগে । যথা : স্বরধ্বনি (১১টি) , ব্যঞ্জনধ্বনি (৩৯) । এসম্পর্কিত অধ্যায়টি ভালো করে দেখেনিন , ১টা তো কমন পাবেনই ।
৫। বাংলা বর্ণমালায় মোট বর্ণের সংখ্যা কত ?
= ৫০টি ।
৬। ণ -ত্ব বিধানের নিয়ম কয়টি ?
= ৪টি । (বাংলা বানানের নিয়ম ও ণ-ত্ব এবং ষ-ত্ব বিধান ভালো করে দেখে রাখুন )
৭। বাংলা সন্ধি কত প্রকার ?
= ২ প্রকার । স্বরসন্ধি , ব্যঞ্জন সন্ধি নোট : সংস্কৃত সন্ধি ৩ প্রকার । যথা: স্বরসন্ধি , ব্যঞ্জন সন্ধি , বিসর্গ সন্ধি। ( এই অধ্যায়ের নিপাতনে সিদ্ধ ও বিশেষ নিয়মে সাধিত সন্ধির উদাহরণগুলো ভালো করে দেখে নিন । )
৮ । লিঙ্গ কত প্রকার ?
= ২ প্রকার । যথা: পুং লিঙ্গ ও স্ত্রী লিঙ্গ । ( এই অধ্যায়ের নিত্য স্ত্রী , নিত্য পুং এবং উভয় লিঙ্গ সহ একই লিঙ্গের একাধিক লিঙ্গ গুলো দেখে নিন। )
৯ । বচন কত প্রকার?
= ২ প্রকার । যথা : একবচন , বহুবচন । ( ব্যতিক্রম গুলো দেখে নিন । )
১০ । উপসর্গ কত প্রকার ?
= ৩ প্রকার । খাঁটি বাংলা ( ২১) , তৎসম(২০) ও বিদেশি ) । { সবগুলোই একবার দেখে নিন ।
১১। প্রত্যয় কত প্রকার ?
= ২ প্রকার । ধাতুপ্রত্যয় বা কৃৎপ্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয় ।
১২। কারক কত প্রকার ?
= ৬ প্রকার । কর্তৃকারক, কর্মকারক , করণ , অপাদান, সম্প্রদান , অধিকরণ ।
১৩। বিভক্তি কত টি ?
= ৭টি ।
১৪ । সমাস সাধারণত কত প্রকার ?
= ৬ প্রকার । দ্বন্দ্ব , কর্মধারয়, তৎপুরুষ, অব্যয়ীভাব , দ্বিগু , বহুব্রিহি । { নোট : বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে সমাস ৪ প্রকার । যথা: অব্যয়ীভাব , তৎপুরুষীয় , দ্বন্দ্বমূলক, বহুব্রিহিমূলক । নিত্য , প্রাদি, অলুক , উপপদ , মধ্যপদলোপী এগুলো ভালো করে দেখে নিন। }
১৫ । সমাসের প্রতীতি কয়টি ?
= ৫টি । যথা: সমস্তপদ , পূর্বপদ , পরপদ , ব্যাসবাক্য ও সমস্যমান পদ ।
১৬ । কতটি উপায়ে শব্দ গঠন করা যায় ?
= ৮টি । যথা: সন্ধির মাধ্যমে , সমাসের , বহুবচনের , বাক্য সংকোচনের , উপসর্গ, পদ পরিবর্তনের , প্রত্যয়ের , দ্বিরুক্তি শব্দের সহযোগে ।
১৭ । উৎপত্তিগত ভাবে শব্দ কত প্রকার ?
= ৫ । তৎসম, অর্ধতৎসম , তদ্ভব, দেশি, বিদেশি । ( উদাহরণ গুলো দেখে নিন । )
১৮। গঠনগত ভাবে শব্দ কত প্রকার ?
= ২ । মৌলিক ও সাধিত । ( উদাহরণ গুলো দেখে নিন । )
১৯ । অর্থগত ভাবে শব্দ কত প্রকার ?
= ৩ প্রকার । যৌগিক , রুঢ়, যোগরুঢ় । উদাহরণ গুলো দেখে নিন । )
২০ । দ্বিরুক্তি কত প্রকার ?
= ৩ প্রকার । শব্দের দ্বিরুক্তি, পদের দ্বিরুক্তি , অনুকার দ্বিরুক্তি । উদাহরণ গুলো দেখে নিন । )
২১। পদ প্রধানত কত প্রকার ?
= ২ প্রকার । যথা: নামপদ ও ক্রিয়াপদ ।
২২। নামপদ কত প্রকার ?
= ৪ প্রকার , বিশেষ্য , বিশেষণ , অব্যয় , সর্বনাম । ( নোট : পদ পরিবর্তন থেকে একটি প্রশ্ন পাবেন তাই দেখে নিন। )
২৩। অব্যয় কত প্রকার ?
= ৪ প্রকার । যথা : সমুচ্চয়ী বা সম্বন্ধবাচক , অনন্বয়ী , অনুসর্গ, অনুকার অব্যয়।
২৪। বাক্য প্রধানত কত প্রকার ?
= ৩ প্রকার । সরল , জঠিল বা মিশ্র , যৌগিক । ( নোট : বাক্যের অংশ ২টি > উদ্দেশ্য ‍ও বিধেয় ; বাক্যের গুণ ৩টি : আকাঙ্ক্ষা , আসত্তি, যোগ্যতা। বিভিন্ন প্রকার দোষ ও বাক্যে রুপান্তর দেখে নিন)
২৫ । যতিচিহ্ন কয়টি ?
= ১২ টি । { বাংলা গদ্যে প্রথম যতিচিহ্ন ব্যবহার করেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৪৭ সালে বেতালপঞ্চবিংশতি গ্রন্থে । নোট : বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ(২য় খণ্ড, পৃঃ২২৭, ২য় সংস্করণ,২০১২) অনুযায়ী যতি বা ছেদ চিহ্ন ১৬ টি।} বিভিন্ন যতিচিহ্নের ব্যবহার ও অপরনাম গুলো দেখে নিন)
২৬। অক্ষর কত প্রকার ?
= ২ প্রকার । মুক্তাক্ষর ও বদ্ধাক্ষর
২৭। বাংলা ছন্দ কত প্রকার ?
= ৩ প্রকার । যথা : অক্ষরবৃত্ত, স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ( গঠন গুলো দেখে নিন)
২৮ ।ব্যাকরণে অলঙ্গকার কত প্রকার ?
= ২ প্রকার । যথা: শব্দালঙ্কার , অর্থালঙ্কার ।
২৯ । ক্রিয়ার কাল কত প্রকার ?
= ৩ প্রকার । বর্তমান কাল , অতীতকাল , ভবিষ্যৎকাল
৩০ । ক্রিয়ার ভাব কত প্রকার ?
= ৪ প্রকার । নির্দেশক , সাপেক্ষ, আকাঙ্ক্ষা , অনুজ্ঞা
৩১। সংখ্যাবাচক শব্দ কত প্রকার ?
= ৪ প্রকার । যথা: অঙ্ক বাচক ,পরিমাণবাচক , , ক্রমবাচক, তারিখ বাচক ।
৩২। ভাব প্রকাশের দিক থেকে ক্রিয়া পদ কত প্রকার ?
= ২ প্রকার । যথা: সমাপিকা ও অসমাপিকা ।
৩৩। বাক্যের অর্থ গঠনের বিচার করে ক্রিয়া পদকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ?
= ২ প্রকার । সকর্মক , অকর্মক ।
====================
মনে রাখি কাজে দিবে
১। ভাষার মূল উপকরণ >> বাক্য
২। ভাষার মূল উপাদান >>> ধ্বনি
৩। ভাষার মৌলিক উপাদান >> শব্দ
৪। বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক/ মৌলিক উপাদান>>> শব্দ
৫। শব্দের ক্ষুদ্রতম একক >>>> ধ্বনি
৫ । বাক্যের প্রাণ >>>>>> শব্দ
৬। উপসর্গ পদের আগে বসে , আর প্রত্যয় পদের পরে বসে ।
৭। উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই , কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে ।
৮। যে ৪টি উপসর্গ বাংলা , তৎসম উভয় ক্ষেত্রেই রয়েছে >> আ, সু , নি , বি।
৯। অনুসর্গের অপর নাম কর্মপ্রবচনীয় বলে। এরা স্বাধীন পদ রুপে ও শব্দ বিভক্তির ন্যায় ব্যবহৃত হতে পারে।
১০। বিভক্তিহীন নাম শব্দ বলে >>>>> প্রাতিপাদিক বা নাম প্রকৃতি ।
১১। বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে বলে >> পদ ।
১২। ক্রিয়াপদের মূলকে বলে >>>>>>> ধাতু ।
১৩। বাক্যে অপরিহার্য>>>>>>>>>>> ক্রিয়াপদ ।
১৪। সন্ধির সুবিধা > ১. উচ্চারণ সহজ ২. ধ্বনিগত মাধুর্য স্থাপন সম্পাদন ।
১৫। ভাষার অপপ্রয়োগ ঘটে মূলত ৩টি কারণে । ১. উচ্চারণগত , ২ শব্দগঠনজনিত ৩. শব্দের অর্থগত
১৬। খাঁটি বাংলা শব্দে বিসর্গের ব্যবহার নাই
১৭। তৎসম শব্দে ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান খাটে না ।
১৮ । সমাসবদ্ধ শব্দে ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান খাটে না ।
১৯ । সমাস ভাষাকে >> সংক্ষেপ করে ।
২০। সমাসের রীতি >> সংস্কৃত থেকে আগত
২১। ব্যাকরণ শব্দটি >> সংস্কৃত থেকে আগত
২২। শব্দের অন্ত্য বর্ণের পূর্ব বর্ণ বলে > উপধা ।
২৩। সমন্ধ পদ , তারিখ লিখতে , ঠিকানা লিখতে পদের পর > কমা বসাতে হয়।
==============