Dream to BCS

Think positive, Be positive, Do positive

তাপ ও তাপগতিবিদ্যা


✿ তাপ ও তাপমাত্রা :

-

● তাপ এক প্রকার শক্তি – যা ঠান্ডাবা গরমের অনুভুতি জাগায়।

● ১ গ্রাম পানির তাপমাত্রা ১ ডিগ্রিসেলসিয়াস বৃদ্ধির জন্য যে তাপেরপ্রয়োজন হয় তাকে বলে – ১ ক্যালরি।

● ১ ক্যালরি = ৪.২ জুল।

● তাপমাত্রা হচ্ছে বস্তুর তাপীয়অবস্থা – যা অন্য বস্তুর তাপীয়সংস্পর্শে অানলে বস্তুটি তাপ গ্রজণকরবে না বর্জন করবে তা নির্ধারণ করে।

● ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ২৭৩কেলভিন তাপমাত্রকে বলা হয় – প্রমাণতাপমাত্রা।

● ৭৬০ মিমি চাপ বা ৭৬ সেমি চাপকেবলা হয় – প্রমাণ চাপ।

● -২৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ০কেলভিন তাপমাত্রাকে বলে – পরম শূন্যতাপমাত্রা।

● পরম শূন্য তাপমাত্রায় গ্যাসের অায়তন– শূন্য।

● তাপমাত্রার বিভিন্ন স্কেলেরতুলনামুলক রাশিমালা – C/5= (F-32)/9=(K-273)/5=R/4

● ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটার দাগকাটা থাকে – ৯৫ ডিগ্রি থেকে -১১০ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত।

● মানব দেহের স্বাভাবিক উষ্ণতা বাতাপমাত্র হলো – ৯৮.৪ ডিগ্রিফারেনহাইট বা ৩৬.৯ ডিগ্রিসেন্টিগ্রেড।

● তাপ প্রয়োগে পদার্থের প্রসারণ ক্রম –বায়বীয়>তরল>কঠিন

● হরিকেনের গরম চিমনির উপর ঠান্ডাপানি পড়লে তা ফেটে যায় কারণ –কাঁচের কিছু অংশে অসম অায়তনসংকোচনের জন্য।

● পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি – ৪ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়।

● তারকাসমূহের তাপমাত্রা নির্ণয়েব্যবহৃত হয় – পাইরোমিটার।

● বাতাসের তাপমাত্রা কমে গেলেঅার্দ্রতা – কমে যায়।

● ফারেনহাইট ও কেলভিন স্কেলে একইপাঠ দেয় তাপমাত্রায় – ৫৭৪.২৫ডিগ্রিতে।

● ফারেনহাইট ও সেন্টিগ্রেড স্কেলেএকই পাঠ দেয় যে তাপমাত্রায় – -৪০ডিগ্রিতে

✿ বস্তুর উপর তাপ ও চাপের প্রভাব:


● চাপ প্রয়োগের ফলে কঠিনবস্তুর গলেযাওয়া এবং চাপ প্রত্যাহারে অাবারকঠিন অবস্থা প্রাপ্ত হওয়াকে বলে –পুনঃশীতলীকরণ।

● চাপে বরফের গলনাংক – কমে যায়।

● চাপ বাড়লে তরলের স্ফুটনাংক –বেড়ে যায়।

● চাপ কমলে স্ফুটনাংক – কমে।

● পৃথিবীর পৃষ্ঠ হতে যত উপরে উঠা যায়তত বায়ুর চাপ – কমতে থাকে।

● সাধারণ পাম্পে পানিকে যেউচ্চতার অধিক উঠানো যায় না – ৩৪ ফুট।

● কাচে ধাতব পাত সংযুক্ত প্লাটিনামব্যবকার করা হয় কারণ – কাচ ওপ্লাটিনামের প্রসারাংক প্রায় সমান।

● পদার্থের গলনাংক নির্ভর করে –চাপের হ্রাস বৃদ্ধির উপর।

● শীতকালে নারকেলের তেল জমারকারণ – তেলের স্বভাবিক তাপমাত্রাগলনাংকের নিচে নেমে যায়।

● দুটি ঘরের তাপমাত্রা সমান কিন্তুঅাপেক্ষিক অার্দ্রতা যথাক্রমে ৫০%এবং ৭৫ শতাংশ হলে তুলমামূলকভাবেঅারামদায়ক হবে – প্রথম ঘরটি।

● এভারেস্ট পর্বত শৃঙ্গে পানি ফুটতে শুরুকরে যে তাপমাত্রায় – ৭০ ডিগ্রিসেন্টিগ্রেডে।

● অাকস্মিক তাপমাত্রা হ্রাসের ফলেবাষ্প জমাট বেধে তৈরি হয় – তুহিন।

● ঠান্ডা ও গরম পানির মধ্যেতাড়াতাড়ি অাগুন নেভাতে সাহায্যকরে – গরম পানি।



✿ ক্যালরিমিতি:

● কোন বস্তুর এক গ্রাম ভরের তাপমাত্রা১ কেলভিন বাড়াতে যে তাপেরপ্রয়োজন হয় তাকে বলে – ঐ বস্তুরউপাদানের অাপেক্ষিক তাপ।

● কোন বস্তুর অন্তর্নিহিত তাপশক্তিরপরিমাণ নির্ভর করে – বস্তুটির ভর,উপাদান এবং তাপমাত্রার উপর।

● স্থলভাগের তুলনায় সামুদ্রিকঅঞ্চলের তাপমাত্রা অনেক ধীরেধীরে বৃদ্ধি হ্রাস পায় কারণ – পানিরঅাপেক্ষিক তাপ মাটির চেয়েবেশি।

● রাতে স্থলভাগ থেকে জলভাগেরদিকে বায়ু প্রবাহিত হয় কারণ – সমুদ্রেরপানির অাপেক্ষিক তাপ বেশি বলেতা অাস্তে অাস্তে ঠান্ডা হয়।

● পানির অাপেক্ষিক তাপ মাটিরঅাপেক্ষিক তাপের চেয়ে – পাঁচগুণেরও বেশি।



✿ তাপ সঞ্চলন:

● তাপ সঞ্চালনের পদ্ধতি – তিনটি।যথা: বিকিরন, পরিবহন, পরিচলন।

● তাপের পরিবহনের জন্য প্রয়োজন – জড়মাধ্যম।

● তাপের পরিবাহকত্বের মাননির্ভরশীল – পরিবাহকের উপাদানেরউপর।

● স্বচ্ছ বস্তুর মধ্য দিয়ে হয় তাপের –বিকিরন।● তাপরোধী পদার্থ – মেঘ।

● তাপ বিকিরণ ও শোষণ করার ক্ষমতাসবচেয়ে বেশি – কালো বস্তুর।

● তাপ বিকিরণ ও শোষণ করার ক্ষমতাসবচেয়ে কম – সাদা রঙের বস্তুর।

● পালিশ করা পৃষ্ঠের তাপ বিকিরণকরার ক্ষমতা – কম।

● যে সব পদার্থের মধ্যে দিয়ে তাপসহজে পরিবাহিত হতে পারে,তাদেরকে বলে – সুপরিবাহী পদার্থ।

● সুপরিবাহী পদার্থের উদাহরণ –লোহা, তামা, অ্যালুমিনিয়াম।

● যে সব পদার্থের মধ্যে দিয়ে তাপসহজে পরিবাহিত হতে পারে না,তাদেরকে বলে – কুপরিবাহী পদার্থ।

● কুপরিবাহী পদার্থের উদাহরণ – তুলা,কাচ, পশম।

● ০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রারপানির চেয়ে ০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডতাপমাত্রার বরফ – বেশি ঠাণ্ডা।

● যে সব বস্তু অাপতিত বিকীর্ণ তাপপ্রায় শোষণ করে তাদেরকে বলে –অাদর্শ কালো বস্তু। যেমন: ভূসা কয়লা,কালো প্লাটিনাম।

● ভূসা কয়লা প্রায় ৯৫% এবং কালোপ্লাটিনাম প্রায় ৯৮% – বিকীর্ণ তাপশোষণ করে।

● পুকুরের উপরের পানি ঠাণ্ডা এবংনিচের গরম মনে হয় – শীতকালে।


-
✿ তাপীয় যন্ত্র :

● যে যন্ত্র তাপশক্তিকে যান্ত্রিকশক্কিতে রূপান্তরিত করে তাকে বলে– তাপইঞ্জিল।

● তাপইঞ্জিনের উদাহরণ – পেট্রোলইঞ্জিল, ডিজেল ইঞ্জিল, গ্যাসইঞ্জিন।

● তাপীয় ইঞ্জিন – দুই প্রকার। যথা:অন্তর্দহ ও বহির্দহ।

● যে ইঞ্জিনে জ্বালানির দহন ক্রিয়াইঞ্জিনের মূল অংশের বাইরে ঘটে,তাকে বলে – বহির্দহ ইঞ্জিন।

● যে ইঞ্জিনে জ্বালানির দহন ক্রিয়াইঞ্জিনের মূল অংশের ভিতরে ঘটেকাকে বলে – অন্তর্দহ ইঞ্জিন।

● অ্যারোপ্লেনের ইঞ্জিন – অন্তর্দহইঞ্জিনের উদাহরণ।

● সর্বপ্রথম পেট্রোল ইঞ্জিন অাবিস্কারকরেন – ড. অটো, ১৮৮৬ সাল।

● পেট্রোল ইঞ্জিনের দক্ষতা – প্রায়৩০%।

● ফ্রেয়ন এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ,যার রাসায়নিক নাম ডাইক্লোরোডাইফ্লোরো মিথেন।

● ফ্রেয়নের বাণিজ্যিক নাম – F-22

● ইঞ্জিনের উত্তাপ কম রাখার যন্ত্র –রেডিয়েটর।

● ইঞ্জিনের কার্বুরেটরের কাজ –পেট্রোলকে বাষ্পে পরিণত করা।

● চতুর্ঘাত ইঞ্জিনের উদাহরণ –পেট্রোল ইঞ্জিন।

● সর্বাপেক্ষা বেশি দক্ষতাসম্পন্নইঞ্জিন – বৈদ্যুতিক মোটর।



তাপ বিজ্ঞানের কতিপয় ব্যবহারিক
প্রয়োগ :

✿ রেফ্রিজারেটর কমপ্রেসরের কাজ —ফ্রেয়নকে বাষ্পে পরিণত করা।

✿ এক গ্রাম পানির তাপমাত্রা ২০ডিগ্রি হতে ৩০ ডিগ্রি বৃদ্ধির জন্যতাপের প্রয়োজন – ১০ ক্যালরি।

✿ কার্বুরেটর থাকে – পেট্রোলইঞ্জিনে।

✿ প্রসার কুকারে রান্না তাড়াতাড়িহয় – কারণ উচ্চচাপে তরলের স্ফুটনাংকবৃদ্ধি পায়।

✿ পাহাড়ের উপর রান্না করতে বেশিসময় লাগে – বায়ুর চাপ কম থাকারকারণে।

✿ ফারেনহাইট ও সেলসিয়াসেরস্কেলে সমান তাপমাত্রা নির্দেশকরে – ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায়।

✿ মাটির পাত্রে পানি ঠান্ডাথাকে – কারণ মাটির পাত্র পানিরবাষ্পীভবনে সাহায্য করে।

✿ অাকাশে মেঘ থাকলে গরম বেশিলগে – মেঘ পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে বিকীর্ণতাপকে ওপরে যেতে বাধা দেয় বলে।

✿ প্রেসার কুকারে পানির স্ফুটনাংক –বেশি হয়।

✿ চা তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয় – কালোরঙের কাপে।

✿ পর্বতের চূড়ায় অারোহণ করলে নাকদিয়ে রক্তপাত হতে পারে, কারণ উচুপর্বত চূড়ায় – বায়ুর চাপ কম।

✿ রান্নার করার পাতিল সাধারণতঅ্যালুমিলিয়াম তৈরি হয়, এদের প্রধানকারণ – এতে দ্রুত তাপ সঞ্চারিতসঞ্চারিত হয়ে খাদ্যদ্রব্য তাড়াতাড়িসিদ্ধ হয়।

✿ মেঘাচ্ছন্ন অাকাশে রাতঅপেক্ষাকৃত গরম হয় – মেঘ মাটি থেকেবায়ুতে তাপ বিকিরণে বাথা দেয়।

✿ যে রঙের বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা কম –সাদা

✿ স্ফুটন শুরু হওয়ার পর পানি জীবাণুমুক্তহয় – ১৫-২০ মিনিট ধরে স্ফুটন করলে।

✿ পাহাড়ের চূড়ায় পানির স্ফুটনাংককমে যায় কারণ ঐ উচ্চতায় – বায়ুর চাপকম।কাপড়ের তাপ বিকিরণ ও শোষণ করারক্ষমতা সবচেয়ে বেশি – কালো রঙের।

✿ তাপ সঞ্চালনের দ্রুততম প্রক্রিয়া –বিকিরণ।

✿ ক্রমশ ব্যারোমিটারে পারদেরউচ্চতা বৃদ্ধি – ভালো অাবহাওয়ারইঙ্গিত।

✿ শীতকালে শরীরের চামড়া ফাটে —অার্দ্রতার অভাবে।

✿ রেললাইনের ফিস প্লেট – দুইটিরেলকে সংযুক্ত করে।

✿ বিকীর্ণ তাপ নির্ভর করে – তরঙ্গেরতীব্রতার উপর।

✿ তাপ প্রয়োগে সবচাইতে বেশিপ্রসারিত হয় – বায়বীয় পদার্থ।

✿ সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ অাসেবিকিরণ পদ্ধতিতে।

✿ মেঘলা রাতে – শিশির উৎপন্ন হয় না।

✿ ভূপৃষ্ঠ হতে উপরে উঠলে শরীর ফেটেরক্ত পড়ে – সেখানে বায়ুর চাপ ভূপৃষ্ঠহতে কম বলে।

✿ শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পেরপরিমাণ – কম থাকে।

✿ একটি বদ্ধ ঘরে একটি চালু ফ্রিজেরদরজা খুলে রাখলে ঘরের তাপমাত্রা –অপরিবর্তিত থাকবে।

✿ শীতে শরীর কাঁপে – শরীরেরতাপের চেয়ে বাহিরের তাপ কম বলে।

✿ শীতকালে ঠোট ও গায়ের চামড়াফেটে যায় – বাতাসের অাপেক্ষিকঅার্দ্রতা কম বলে।

✿ গ্রীষ্মকালে অামরা গরম কাপড়পরিনা কারণ – কালো কাপড় শরীরেরতাপকে বাইরে যেতে বাধা দেয় না।

✿ ফ্যান চালালে অামরা ঠান্ডাঅনুভব করি, কারণ ফ্যান – শরীর থেকেবাষ্পীভবনের হার বাড়িয়ে দেয়।

✿ বর্ষাকলে ভেজা কাপড় শুকাতেদেরি হয় – কারণ বাতাসেজলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে।

✿ রেফ্রিজারেটরে ব্যবহৃত হয় –অ্যামোনিয়া ও ফ্রেয়ন।

✿ ফারেনহাইট স্কেলে পানিরস্ফুটনাংক -২১২ ডিগ্রি।

✿ শীতকালে ভিজা কাপড়তাড়াতাড়ি শুকায় – বাতাসেজলীয়বাষ্প কম থাকে।

✿ পরম শূন্য তাপমাত্রার সমান – – ২৭৩ডিগ্রি সেলসিয়াস

✿ শহরের রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশসাধারণত সাদা ছাতা ও সাদা জামাব্যবহার করে – তাপ বিকিরণ থেকেবাচার জন্য

✿ মোটরগাড়ির ইঞ্জিনকে ঠান্ডারাখার জন্য পানি ব্যবহার করা হয়, কারণ– তাপ শোষণ করলেও পানির উষ্ণতাঅল্প বৃদ্ধি পায়।

✿ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে কার্বনেররোধ – হ্রাস পায়।

✿ শীতকালে অামাদের দেশে ভিজাকাপড় দ্রুত শুকায় এবং গায়ের চামড়াবা ঠোট ফেটে যায় – অাপেক্ষিকঅার্দ্রতা কম থাকে বলে।

✿ সমান তাপমাত্রা দিলে দুধ পানিঅপেক্ষা অাগে ফোটে – দুধেরতাপগ্রহীতা বেশি বলে।